বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান বলেছেন, ‘বর্তমান ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন প্রায় অবশ্যম্ভাবী। তারা জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এই বিচ্ছিন্ন অবস্থায় সকল নেতাকর্মী, পেশাজীবী সংগঠন সকলকে সাথে নিয়ে আজ আমাদের সময় হয়েছে একযোগে আবারো গর্জে উঠার। আজকে মানুষ খুব অসহায়, সে মানুষদের বাঁচাতে হলে আজকে যে পর্যন্ত একজন বিএনপির নেতাকর্মী বেঁচে থাকবে সে পর্যন্ত আমাদের লড়াই করে চলতে হবে। লড়াই করে আমাদেরকে এগিয়ে যেতে হবে।’
ডা: শামসুল আলম খান মিলনের ৩০তম শাহাদাৎবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম হলে এ সভার আয়োজন করে ৯০’র ডাকসু ও সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য।
সেলিমা রহমান আরো বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া আজকে গৃহবন্দী অবস্থায় আছেন। তিনি জামিন পান নাই, জামিন পাওয়ার যোগ্য হওয়া সত্ত্বেও তাকে জমিন দেয়া হয়নি। বেগম জিয়াকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখার জন্য কারাগারে রাখা হয়েছে। তিনি যে অবস্থায় আছেন, তিনি অত্যন্ত অসুস্থ। আজকে সময় এসেছে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার, তাকে যদি আমরা ওখান (কারাগার) থেকে মুক্ত করতে পারি, তাকে যদি সুচিকিৎসা দিতে পারি, তিনি আবারো আমাদের মাঝে ফিরে নেতৃত্ব দিবেন।’
ডাকসুর সাবেক ভিপি ও বিএনপি নেতা আমানউল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে এসময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা সাবেক ছাত্রনেতা হাবিবুর রহমান হাবিব, তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, আসাদুজ্জামান রিপন, ’৯০-এর গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারী সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের ও ছাত্রদলের বর্তমান নেতৃবৃন্দ।
সভা থেকে বিএনপির আটককৃত নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবি জানানো হয়।