মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:২২ পূর্বাহ্ন

চীনা কোম্পানির জন্য বন্ধ হচ্ছে মার্কিন স্টক এক্সচেঞ্জের দরজা!

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০২০
  • ১৭৮ বার

বিল পাস হলো মার্কিন কংগ্রেসে। যার জেরে চীনা কোম্পানিগুলোর কাছে মার্কিন স্টক এক্সচেঞ্জের দরজা বন্ধ হতে পারে।

আমেরিকার তদারকিতে আর্থিক অডিট করানো না হলে কোনো বিদেশি কোম্পানিকে আর মার্কিন স্টক এক্সচেঞ্জের তালিকায় রাখা হবে না। বুধবার এই বিল পাস করেছে মার্কিন কংগ্রেস। এর ফলে চীনের কোম্পানিগুলোর কাছে মার্কিন স্টক এক্সচেঞ্জের দরজা বন্ধ হয়ে যেতে পারে। কারণ, চীনা সংস্থাগুলো বাইরের কোনো দেশের তদারকিতে অডিট করায় না। তাই তারা সিদ্ধান্ত বদল না করলে মার্কিন স্টক এক্সচেঞ্জের তালিকায়  চীনা কোম্পানিগুলো থাকতে পারবে না। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, চীনের উপর চাপ দেয়ার জন্যই এই বিল পাস করেছে আমেরিকা।

সংসদের দুই কক্ষে পাস হওয়া বিলটির নাম- ‘দ্য হোল্ডিং ফরেন কোম্পানিস অ্যাকাউন্টেবেল অ্যাক্ট’। এ বার তা অনুমোদনের জন্য প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে যাবে। তিনি সই করলেই আইন চালু হয়ে যাবে। আর গত চার বছর ধরে চীনকে চাপে রাখার নীতি নিয়ে চলা ট্রাম্প যে বিলটিতে সই করবেন তা নিয়েও বিশেষজ্ঞদের মধ্যে দ্বিমত নেই।

বিলে বলা হয়েছে, বিদেশি কোম্পানিগুলো যদি মার্কিন স্টক এক্সচেঞ্জে নথিভুক্ত হতে চায়, তা হলে ইউএস সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) বেঁধে দেয়া নিয়ম মানতে হবে। বিল অনুযায়ী, এসইসি-র তদরকিতে কোম্পানির অডিট না হলে মার্কিন স্টক এক্সচেঞ্জে নাম নথিভুক্ত করা যাবে না।

যদিও এখানে সব বিদেশি কোম্পানির কথা বলা হয়েছে, তবে মার্কিন কংগ্রেস সদস্যরা বিতর্কের সময় যা বলেছেন, তা থেকে পরিষ্কার, আমেরিকার লক্ষ্য হলো চীনের কোম্পানিগুলো। তাদের চাপে রাখতেই এই আইন পাস করানো হয়েছে। চীনের কোম্পানিগুলোকে জানাতে হবে, সে দেশের কমিউনিস্ট পার্টির কোনো কর্মকর্তা বোর্ড সদস্য হিসাবে আছেন কি না।

অধিকাংশ বিদেশি কোম্পানিই এসইসি-র তদারকিতে অডিট করায়। কিন্তু চীনা আইন অনুসারে কোনো চীনা কোম্পানি বিদেশে এই ধরনের অডিট করাতে পারে না। ফলে কোম্পানি সম্পর্কে খুব বেশি তথ্য আমেরিকার স্টক রেগুলেটারদের হাতে থাকে না।  দীর্ঘদিন ধরে এ নিয়ে এসইসি ও চীনা কোম্পানিগুলোর মধ্যে টানাপোড়েন চলছে। ২০১৩ সালে আমেরিকা ও চীনের মধ্যে অডিট করা নিয়ে চুক্তি হয়েছিল। কিন্তু তারপরেও আমেরিকা অভিযোগ করে, চীনা সংস্থাগুলো প্রয়োজনীয় নথি জমা দেয়নি। সূত্র : ডয়চে ভেলে

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019 bangladeshdailyonline.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com