সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:২৯ পূর্বাহ্ন

‘ইনসুইং করতে চাইলে, আউটসুইং হয়ে যায় গোলাপী বল’

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ১৮ নভেম্বর, ২০১৯
  • ২৫৬ বার

গোলাপী বলের বিপ্লবের শুরুটা তিনি খুব কাছ থেকে দেখেছেন। ২০১৭ সালে অ্যাডিলেডে ইংল্যান্ড বনাম অস্ট্রেলিয়ার দিনরাতের টেস্টে তিনিই ছিলেন জো রুটদের কোচ। সেই অভিজ্ঞতা থেকে ইংল্যান্ডের প্রাক্তন কোচ ট্রেভর বেলিস একটা সতর্কবার্তা শুনিয়ে রাখছেন মোহম্মদ শামিদের— ‘‘সুইং পাবে ঠিকই, কিন্তু সেই সুইংটাকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।’’

বেলিসের যে শুধু অ্যাডিলেড টেস্টের সময়ই গোলাপি বলের অভিজ্ঞতা হয়েছে, তা নয়। ইংল্যান্ডের মাটিতেও গোলাপি বলের ক্রিকেটের সঙ্গে জুড়ে ছিলেন তিনি। লাল এবং গোলাপী বলের মধ্যে পার্থক্য কী দেখেছেন? বলের রং বদল কতটা প্রভাব ফেলতে পারে খেলাটার উপরে?

এই মুহূর্তে আবুধাবিতে টি-টেন লিগের কোচের দায়িত্বে রয়েছেন বেলিস। আনন্দবাজারের প্রশ্নের জবাবে তিনি বললেন, ‘‘এটা দেখেছি, লাল বলের চেয়ে গোলাপী বল বেশি সুইং করে। কিন্তু এখানেই পার্থক্যটা শেষ হয়ে যাচ্ছে না। আরও একটা বড় পার্থক্য আছে। গোলাপী বল একটু অন্য রকম সুইং করে।’’

সেই অন্য রকম সুইংটা কী? ইংল্যান্ডকে বিশ্বকাপ জেতানো কোচ বুঝিয়ে দিলেন, ‘‘গোলাপী বলে সুইংটা কিন্তু সব সময় হিসাব মেনে চলে না। মানে পেসাররা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না সুইংটা। ওরা নিশ্চিত করে বলতে পারে না, কোন দিকে বল সুইং করবে।’’ এর পরে আরও একটা অবাক করা কথা বললেন বেলিস। ‘‘আমি নিজে এমন কয়েকটা ঘটনা জানি, যেখানে পেসার ইনসুইং বল করতে চেয়েছিল, কিন্তু সেটা আউটসুইং হয়ে যায়। সুইং নিয়ন্ত্রণ করাটা তাই একটা সমস্যা। সেটা করতে পারলে, কিন্তু সুইং বোলাররা ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবে।’’

ভারতীয় ক্রিকেট মহলে এখন সব চেয়ে আলোচিত বিষয়টি হল ২২ নভেম্বর থেকে শুরু ইডেনে ভারত-বাংলাদেশ দিনরাতের টেস্ট। দু’বছর আগে অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ডের দিন রাতের টেস্টও এই ভাবে শিরোনামে উঠে এসেছিল। অ্যাডিলেডে মিচেল স্টার্ক এবং জিমি অ্যান্ডারসন বিপক্ষ ব্যাটসম্যানদের ত্রাস হয়ে উঠেছিলেন। দু’ইনিংস মিলিয়ে স্টার্ক আটটি, অ্যান্ডারসন ছ’টি উইকেট তুলে নিয়েছিলেন। স্টার্কদের দাপটের কাছে অবশ্য হার মানতে হয়েছিল ইংল্যান্ডকে। সেই টেস্টের কথা উঠতেই বেলিস বলছেন, ‘‘অ্যাডিলেডে বল ভাল সুইং করেছিল। স্টার্ক আর অ্যান্ডারসন— দু’জনেই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছিল। জিমি এমনিতে খুব ভাল সুইং বোলার। নিজের সুইংটা নিয়ন্ত্রণ করতে পেরে ও সফল হয়েছিল।’’

সেই সুইংটা যদি ইডেনে পেসাররা পান, তা হলে কিন্তু সমস্যায় পড়বেন ব্যাটসম্যানেরা। বেলিস আরও একটা ব্যাপারে সতর্ক করে দিতে চান ব্যাটসম্যানদের। তিনি মনে করেন, দিনরাতের ম্যাচের একটা বিশেষ সময় বল বেশি সুইং করে। ‘‘আমি ঠিক কারণটা বলতে পারব না, তবে এটা দেখেছি ঠিক সন্ধ্যার মুখে বল বেশি সুইং করে। ওই সময় কিন্তু সমস্যায় পড়ে যায় ব্যাটসম্যানেরা। একে তো ফ্লাডলাইট জ্বলে উঠলে মানিয়ে নিতে একটু সময় লাগে। তার উপরে সুইং। তাই ওই সময়টা ব্যাটসম্যানদের পক্ষে সমস্যার হয়ে দাঁড়ায়।’’

সন্ধ্যা হওয়ার মুহূর্তে যে কিছুটা সমস্যা হয়, তা দিন কয়েক আগেই বলেছিলেন চেতেশ্বর পুজারা। এই ব্যাটসম্যানের ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেটে গোলাপি বলে খেলার অভিজ্ঞতা আছে। কিন্তু আন্তর্জাতিক মঞ্চে যে সব ব্যাটসম্যান গোলাপী বলের পরীক্ষায় বসতে চলেছেন, তাদের জন্য কী পরামর্শ থাকবে? সূত্র- আনন্দবাজার পত্রিকা

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019 bangladeshdailyonline.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com