ভোট চুরি করার জন্যই ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) তৈরি করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। আজ শনিবার রাজধানীর রায় সাহেব বাজার মোড়ে ছাত্রদলের সহসভাপতি ওমর ফারুক কাউসারের উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণের আগে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘এই সরকার নির্বাচনকে ধ্বংস করে দিয়েছে। আপনি ভোট দিতে যাবেন, আপনার ভোটার আইডি কার্ড আছে কিন্তু আপনি গিয়ে দেখবেন আপনার ভোট দেওয়া হয়ে গেছে। একটি ইভিএম মেশিন তৈরি করেছে ভোট চুরি করার জন্য। যে লোক দিনের ভোট রাতে করে, মানুষকে ভোট দিতে দেয় না, নির্বাচনকে ধ্বংস করে দিয়েছে, নিজেদের লোক দিয়ে নির্বাচন কমিশন তৈরি করে নিজেদের লোকদের বিজয়ী করছে। তিনি ইভিএম মেশিন দিয়েছেন যাতে এই মেশিন দিয়ে জালিয়াতি করা যায়। এই জালিয়াতির মেশিন অর্থাৎ আপনি ধানের শীষে চাপ দেবেন নৌকায় চলে যাবে। নিশিরাতের এই সরকার কারসাজি, জালিয়াতি ও ধোঁকাবাজির সরকার।’
তিনি বলেন, ‘এই সরকার শীতার্ত মানুষের জন্য কিছুই করেনি। তারা ঘরের মধ্যে বন্দী হয়ে আছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ওবায়দুল কাদের ঘর থেকে বের হন না। প্রধানমন্ত্রীর মানুষের প্রতি দরদ থাকলে বের হয়ে দেখতেন মানুষ কত কষ্টে আছেন। মানুষ কীভাবে হাসপাতলে বেড পায় না, অক্সিজেন পায় না, ধুঁকতে ধুঁকতে মানুষ মারা যাচ্ছে।’
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘মানুষের জীবন নিয়ে সরকার ছিনিমিনি খেলছে। এই সরকার মানুষের নিরাপত্তা দিতে পারে না। হাজার হাজার মানুষ শীতে কষ্ট পাচ্ছে। কোথায় আওয়ামী লীগের এমপি-মন্ত্রীরা? তারা সাধারণ মানুষের পাশে না দাঁড়িয়ে লুটপাটে ব্যস্ত।’
তিনি বলেন, ‘করোনা থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য সরকার টিকা দেওয়ার কথা বলছে। এই টিকায় মানুষ বাঁচবে কি বাঁচবে না তা নিশ্চিত নয়। আমরা আগেই বলেছি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আগে নিন কিন্তু তারা কেউ নেননি। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে বলা হয়েছে ভারতের এই টিকা বাংলাদেশ টেস্ট করার জন্য দেওয়া হয়েছে। এই টিকা দেওয়ার পর মানুষ বাঁচে না মারা যায় তা দেখার জন্য। এই টিকা দেওয়া শুরু করেছে একজন নার্সকে দিয়ে। পৃথিবীর অন্যান্য দেশে এই কাজটি করা হয়নি। আমেরিকায় টিকা নিয়েছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট প্রথম টিকা নিয়েছেন। এই কারণে এদেরকে দৃষ্টান্ত করে দেখে মানুষ।’
এ সময় ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আবু আশফাকসহ স্থানীয় বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।