সিনেটে রিপাবলিকান সংখ্যালঘু নেতা কেভিন ম্যাককার্থির সঙ্গে বৈঠকের মধ্য দিয়ে গত বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) প্রেসিডেন্টের মেয়াদ শেষ হওয়ার সপ্তাহ পার হতেই সক্রিয় রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড শুরু করেছেন ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রে রিপাবলিকান শিবিরের রাজনৈতিক ঐক্যের স্বার্থে ট্রাম্প-ম্যাককার্থির মধ্যে বৈঠকটি হয় ফ্লোরিডার পাম বিচে ট্রাম্পের মার-এ-লাগো রিসোর্টে। ট্রাম্পের সহযোগিতা ছাড়া রিপাবলিকান দলের কোনো বিকল্প নেই। তাই ২০২২ সালের মধ্যবর্তী নির্বাচনে রিপাবলিকানদের সাহায্য চান ম্যাককার্থি। ট্রাম্পও সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
তিনি একটি রাজনৈতিক দল করতে পারেন বলে ঘনিষ্ঠজনেরা প্রচার করছেন। আবার নিজস্ব রক্ষণশীল প্ল্যাটফর্ম গঠনের প্রচারণাও আছে। ফলে রিপাবলিকান নেতৃত্ব ট্রাম্পকে ক্ষেপাতে ইচ্ছুক নন।
বর্তমানে সিনেটে ট্রাম্পের অভিশংসনের বিচার প্রক্রিয়াধীন। ট্রাম্প এই বিচার মোকাবিলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। পাশাপাশি রিপাবলিকানদের পক্ষে কাজ করে যাবেন।
কংগ্রেসের মধ্যবর্তী নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিশ্চিত করতে কাজ করবেন ট্রাম্প। উল্লেখ্য, প্রতিনিধি পরিষদে মাত্র ১০ জন ও সিনেটে পাঁচজন রিপাবলিকান সদস্য ছাড়া দলের আইনপ্রণেতাদের কেউই ট্রাম্পবিরোধী নন। ক্ষমতার শেষ দিকের ৭৬ শতাংশ থেকে বেড়ে এই সমর্থন ৮১ শতাংশে দাঁড়িয়ে ট্রাম্পের সমর্থনও বেড়েছে।
নির্বাচনের ফল উল্টে দেওয়ার চেষ্টায় যেসব রিপাবলিকান ট্রাম্পের বিরোধিতা করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবেন ও বাকি রিপাবলিকানদের পক্ষে থাকবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে ।