ফতুল্লা বিসিক শিল্পনগরীর মুসলিমনগর এলাকায় শুক্রবার রাতে বসতবাড়িতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। অগ্নিকাণ্ডের সময় ঘরে তালাবদ্ধ থাকায় শম্পা আক্তার (২২) নামের এক গার্মেন্টকর্মী অগ্নিদ্ধগ্ধ হয়ে মারা গেছেন।
ঘুমন্ত স্ত্রী শম্পাকে তালাবদ্ধ করে নামাজে যান স্বামী সুমন মিয়া। অগ্নিকাণ্ডে ওই বাড়ির টিনের তৈরি ২০টি রুমও পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
জানা গেছে, নিহত শম্পা আক্তার জামালপুরের মাদারগঞ্জ থানার ফৈটামারী এলাকার সোহরাব মিয়ার মেয়ে। আর সুমনের স্ত্রী।
শম্পা আক্তারকে রুমে তালাবদ্ধ করে স্বামী নামাজ পড়তে যান। এসে দেখেন পুরো বাড়ি পুড়ে ছাই এবং স্ত্রী সম্পাও পুড়ে ছাই। স্ত্রীকে বাঁচাতে গিয়ে তিনিও অসুস্থ হন।
প্রত্যক্ষর্শী ও ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, ফতুল্লার মুসলিমনগর নয়াবাজার এলাকার ইলিয়াস মিয়ার বাড়িতে টিনের তৈরি দ্বিতল বাড়ি করা হয়। নিচে ১০টি এবং দ্বিতীয় তলায় ১০টি রুম তৈরি করে ভাড়া দেয়া হয়। সন্ধ্যায় দ্বিতীয় তলা হতে হঠাৎ করে আগুন লেগে খুব অল্প সময়ের মধ্যে পুরো বাড়িতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। আগুনের সংবাদ পেয়ে ফতুল্লার বিসিক ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আরেফিন জানান, কীভাবে আগুন লেগেছে তা এখনো জানা যায়নি। আগুন লাগার বাড়ির সবাই বের হতে পারলেও একটি কক্ষ তালাবদ্ধ থাকায় ওই নারী বের হতে পারেননি। ফায়ার সার্ভিসের লোকজন ওই নারীর পুড়ে ছাই হওয়া লাশ উদ্ধার করে।
আগুনের সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদা বারিক, ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের অফিসার-ইন-চার্জ (ওসি) মো. আসলাম হোসেন।
ঘটনাস্থলে যাওয়া ফতুল্লা মডেল থানার ওসি মো.আসলাম হোসেন জানান, মাগরিবের নামাজের পরপরই আগুন লাগে। ওই বাড়িতে গ্যাসের লাইনও নেই। ওই বাড়ির প্রতিটি ঘরই টিনের। তবে ধারনা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হতে পারে।
আগুনে প্রায় বেশ কয়েকটি ঘর পুড়ে গেছে। অন্যান্য ঘরের লোকজন আগুন লাগার পরপর বের হয়ে আসতে পারলেও শম্পা বের হতে পারেননি। সে ঘরের ভেতরই দগ্ধ হয়ে মারা যান। এ ঘটনায় তার স্বামী সুমনও আহত হয়েছেন। লাশ উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।