ক্রিকেটার নাসির হোসেনের বিয়ে নিয়ে তোলপাড় সর্বত্র। তৈরি হচ্ছে নানা আলোচনা। বিয়ের দ্বিতীয় সপ্তাহেই এই নয়া দম্পতির বিরুদ্ধে মামলা করেন রাকিব হাসান নামের এক ব্যক্তি। নিজেকে তামিমার স্বামী দাবি করেন তিনি। এরই জের ধরে তামিমা ও নাসিরের সংবাদ সম্মেলন। তাতে সাংবাদিকদের কাছে তামিমা তার অবস্থান পরিস্কার করেন। তিনি দাবি করেন, ক্রিকেটার নাসিরকে বিয়ের অনেক আগেই রাকিবকে তালাকের নোটিশ দেন। সব রীতিনীতি মেনেই নাসিরের ঘরণী হন তামিমা।
এদিকে তামিমার সংবাদ সম্মেলনের কিছুক্ষণ বাদেই তার সবশেষ ইস্যু করা পাসপোর্টের ছবি ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে। সাংবাদিকদের কাছে তিনি বলেছেন, রাকিবকে ২০১৬ সালে তালাক নোটিশ দেন। কিন্তু ২০১৮ সালে ইস্যু করা পাসপোর্টে তামিমার স্বামীর নামের জায়গায় রাকিবের নামই উল্লেখ করা রয়েছে। এ নিয়ে নেটিজেনরা বিভিন্ন প্রশ্ন তুলছেন। যদিও কেউ কেউ বলছেন, তখন পর্যন্ত পাসপোর্টে বিষয়টি সংশোধন নাও হয়ে থাকতে পারে।
বুধবার সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের হাতে একটি কাগজ দিয়েছেন তামিমা তাম্মী, এসময় ক্রিকেটার নাসির ও তাদের আইনজীবী ব্যারিস্টার আসিফ বিন আনওয়ারও উপস্থিত ছিলেন। যে কাগজের শিরোনাম ছিলো ‘স্ত্রী কর্তৃক স্বামীকে তালাকে নোটিশ’।
ওই নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৬ সালের ২৩ ডিসেম্বর তামিমা সুলতানা তাম্মী তার স্বামী রাকিব হাসানকে তালাক প্রদানের নোটিশ দিয়েছেন। তবে রাকিব এটি পুরোপুরি অস্বীকার করে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। এদিকে, আদালতে ক্রিকেটার নাসির ও তামিমা সুলতানার বিরুদ্ধে মামলার ডকেটে একটি নথী সংযুক্ত করেছেন আইনজীবী ইশরাত হাসান। যেটিতে তামিমার স্বামীর নাম উল্লেখ রয়েছে ‘রাকিব হাসান’। একই সঙ্গে ইমার্জেন্সি কন্ট্রাকেও স্বামী রাকিব হাসানের নাম উল্লেখ রয়েছে।
পাসপোর্টটি প্রদান করার তারিখ হিসেবে উল্লেখ রয়েছে- ৪ মার্চ ২০১৮ সাল। যেটির মেয়াদোত্তীর্ণ ৩ মার্চ ২০২৩ সালের কথাও উল্লেখ রয়েছে। পাসপোর্টের ধরণ বলছে, এটি রি-ইস্যু করা। পাসপোর্টটির বর্তমান নম্বর বিআর দিয়ে শুরু হয়ে ৫৩ ডিজিট উল্লেখ করে শেষ হয়েছে। অন্যদিকে তার পুরাতন পাসপোর্টটি বিএ দিয়ে শুরু হয়ে ১১ ডিজিট উল্লেখ করে শেষ হয়েছে।
রাকিব হাসানের আইনজীবী ইশারত হাসান এ ব্যাপারে গণমাধ্যমে বলেন, তামিমা সুলতানা আমার মক্কেল রাকিবের স্ত্রী হয়েও তাকে তালাক না দিয়ে ক্রিকেটার নাসিরকে বিয়ে করেছেন। যা আইনসিদ্ধ নয়। এখানে রাকিব হাসান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তার সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে এবং তার মানহানি হয়েছে। এ সংক্রান্তে পাসপোর্টের কপিসহ অন্যান্য নথী আমরা মামলার ডকেটে সংযুক্ত করেছি। ইতোমধ্যে মামলাটি তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। মামলাটি তদন্ত করে আগামি ৩০ মার্চ প্রদিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।