শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫, ০৯:২৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
ক্ষমতা পেলে দলের মত দেশও নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে জামায়াত: শফিকুর রহমান মাইলস্টোন ট্রাজেডি মাকিন নামের আরেক ছাত্রের মৃত্যু ফিলিস্তিনকে ফ্রান্সের স্বীকৃতি দেওয়া নিয়ে যা বলল সৌদি আরব মাইলস্টোন ট্রাজেডি নিহত লামিয়াকে চোখের জলে বিদায় বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের জন্য দেশজুড়ে বিশেষ দোয়া সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হকের উপযুক্ত শাস্তি চায় বিএনপি বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পোশাক সংক্রান্ত নির্দেশনা প্রত্যাহার সাগরে লঘুচাপ, বন্দরে ৩ নম্বর সতর্কসংকেত টি-টোয়েন্টি সিরিজে ইতিহাস গড়ার হাতছানি বাংলাদেশের সামনে নাটোরে সড়ক দুর্ঘটনা : পাশাপাশি কবরে শায়িত এক পরিবারের ৪ জন

অনলাইন শপিংয়ে বাড়ছে মানসিক রোগ!

বিডি ডেইলি অনলাইন ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০১৯
  • ৩৯৩ বার

অফিসে কাজের ফাঁকে কিংবা অবসরে মোবাইলে প্রতিদিনই অনায়াসে চোখ ঘোরাফেরা করছে নানা সাইটে। ল্যাপটপে একসঙ্গে একগুচ্ছ উইন্ডো খোলা কিংবা মোবাইলে অনলাইন শপিং সাইট খুলে রাখা, এটা নিত্যদিনের অভ্যাসে পরিণত হয়ে গেছে। অনেকে আবার বেশির ভাগ সময় অনলাইন কেনাকাটায় পুরো সময়টাই নিজেকে ব্যস্ত রাখেন।

জামা, জুতা, শ্যাম্পু কিংবা লাইফস্টাইলের নানা পণ্যও শপিং সাইটগুলো থেকে হুট করেই কিনে ফেলেন। যারা প্রতিনিয়ত অনলাইনে এমন কেনাকাটায় অভ্যস্ত, তাদের অনেকেই মানসিক বিকারগ্রস্থ।

সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় এমন ভয়ংকর চিত্র উঠে এসেছে। ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এই সময়ের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সমীক্ষা বলছে, যারা এ ধরনের কেনাকাটা করে থাকেন তাদের বেশির ভাগই নাকি মানসিক সমস্যায় জর্জরিত, ডিপ্রেশনে ভোগেন। তারা নিজেদের অজান্তেই এমনট করে থাকেন। এই কেনাকাটায় কোনো সীমা-পরিসীমা নেই। একে বলা হচ্ছে বাইং-শপিং ডিসঅর্ডার (বিএসডি)।

১২২ জনের ওপর চালানো একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, তাদের বেশির ভাগই সর্বদাই অনলাইন কেনাকাটায় ব্যস্ত থাকেন। প্রতি সপ্তাহে নতুন কিছু চাই তাদের। আসলে আর কিছু না, এটা একরকম মানসিক ব্যাধি। কোথাও গিয়ে তারা একাকিত্ববোধ করেন। তাই কেনাকাটা, সাজগোজ, বাড়ি সাজানো, পাপোশ বদলানোর মধ্যে দিয়ে নিজেদের মন অন্যদিকে ব্যস্ত রাখেন। যা নিজেরাও টের পান না।

চিকিৎসকরা বলছেন, এই রোগ শুরুতেই সামাল দিতে না পারলে পরিস্থিতি অন্য দিকে যেতে পারে। যারা সারাক্ষণ অনলাইন কেনাকাটায় থাকেন তাদের অবিলম্বে কাউন্সেলিং করানো উচিত।

এ বিষয়ে আগে প্রয়োজন পরিবারের সহযোগিতা। কাছের আত্মীয় বন্ধুদের বোঝাতে হবে যা করছেন তা ঠিক করছেন না। এদের ব্যবহারের পরিবর্তন আগে প্রয়োজন।

‘কগনেটিভ বিহেভিয়ারাল থেরাপি’র মধ্যে দিয়ে গেলে অনেকাংশে তা সেরে যায়। প্রয়োজন মতো নিজের ফোন থেকে কিছু অ্যাপ আনইন্সটল করুন। মনে রাখবেন একটা জুতা কিংবা জামা থেকে কখনই আপনার জীবন বদলে যাবে না।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019 bangladeshdailyonline.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com