শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) এক শিক্ষার্থীকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রক্টোরিয়াল বডির বিরুদ্ধে। ওই শিক্ষার্থী শিবির করেন কিনা তা নিয়েও তারা প্রশ্ন করেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।
হুমকির শিকার শেকৃবির কৃষি অনুষদের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আহসান হাবীব বলেন, ‘গত মঙ্গলবার আমি শেকৃবির নবাব চত্বর থেকে প্রক্টোরিয়াল বডিকে গাড়ি নিয়ে মাইকিং করতে দেখি। তখন আমি আমার ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন দিয়ে ভিডিও করেছিলাম। এটা দেখে সহকারী প্রক্টর রাকিবুল রহমান স্যার আমার হাত থেকে ফোন ছিনিয়ে নেন এবং সঙ্গে সঙ্গে ১০-১৫ জন শিক্ষক আমাকে ঘিরে ফেলেন।’
তিনি বলেন, ‘প্রক্টর হারুনুর রশীদ সুমন স্যার জোরপূর্বক আমার ফোনের পাসওয়ার্ড দেওয়ার জন্য হুমকি দেন। এ সময় তিনি আমাকে বলেন, ‘‘এই ছেলে তোমার ব্যাচ কত? কোন লেভেল? এ সময় পাশ থেকে আরেকজন শিক্ষক বলেন, ‘এই ছেলে তোমার রেজিস্ট্রেশন কত? এই ভিডিও কোথায় পাঠাবা?তুমি কী শিবির করো?’ তিনি মাস্ক পরে থাকায় আমি তাকে চিনিনি। শেষ পর্যন্ত তারা আমার মোবাইলের পার্সওয়ার্ড নিয়ে, ধারণকৃত ভিডিও ডিলিট করে দেন। পরে ফোন ফেরত দেন।’
আহসান হাবীব বলেন, ‘এ সময় সহকারী প্রক্টর রাকিবুল রহমান স্যার আমাকে বলেন, ‘‘এত স্মার্টনেস ভালো না, বিপদে পড়বে’’।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তরের এক শিক্ষার্থী জানান, সিরাজউদ্দৌলা হলের কর্তৃপক্ষ তাকে দ্রুত হল ছাড়তে বলেন, না হলে তার পুলিশ ভ্যারিফিকেশনে নেগিটিভ রিপোর্ট আসবে বলে হুমকি দেন তারা।
উল্লেখ্য, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গত মঙ্গলবার সকাল দশটার মধ্যে সকল হল খালি করতে বলে। ওই দিন হল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অসৌজন্যমূলক ও দুর্ব্যবহারের অভিযোগ পাওয়া যায়।
শিক্ষার্থীকে হুমকি ও ভিডিও ডিলিট করার ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ও প্রক্টর ড. মো. হারুনুর রশীদ সুমন বলেন, ‘বিষয়টি এরকম ছিল না। হল চেক করার সময়ে এক শিক্ষার্থী ভিডিও করছিল। পরে তার ফোন নিয়ে ভিডিও ডিলিট করে দেওয়া হয় এবং তার ফোন তাকে ফেরত দিয়ে দেওয়া হয়।’
তিনি বলেন, ‘আসলে কোনো কিছুর ভিডিও করতে হলে অনুমতি লাগে। আমাদের লেডি টিচারও ছিলেন ওই সময়। সেই ছেলে অনুমতি না নিয়ে ভিডিও করছিল।’
প্রক্টর বলেন, ‘ওই ছেলে যে কথাগুলো বলেছে এগুলো বানোয়াট। তার যদি কোনো মন্তব্য থাকে তাহলে সে আমাদেরকে লিখিতভাবে জানাক।’