মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য এম নাসের রহমান বলেছেন, দেশে ২০২১ সালের ভেতরে আরেকটি জাতীয় নির্বাচন আসছে। দেশের যে পরিস্থিতি তাতে মনে হয়, এদেশে আগামী বছরই হতে পারে অবৈধ আওয়ামীলীগ সরকারের পরিবর্তনের বছর। তাই আগামী ফেব্রুয়ারীর মধ্যে দলের সকল স্তরের কমিটি সম্মেলনের মাধ্যমে শক্তিশালী করতে হবে। কেন্দ্রের নির্দেশ মোতাবেক যে কোনো আন্দোলন সংগ্রামে দলের একনিষ্ঠ নেতাকর্মীদের ত্যাগ স্বীকারের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। তারা যতই লাফালাফি করুক এই অবৈধ সরকারের শেষ সময় ঘনিয়ে এসেছে। তারা জনবিচ্ছিন্ন।
শনিবার দুপুরে শহরের একটি রেস্টুরেন্টের হল রুমে মৌলভীবাজার সদর উপজেলা বিএনপির বর্ধিত সভায় তৃণমূলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি একথা বলেন।
নাসের রহমান বলেন, শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকা আর না থাকার মাঝখানে একমাত্র শক্তি হল পুলিশ। পুলিশ ছাড়া দেশের আর কোনও জনগন তাদের সাথে নেই। বিগত ৩০ শে ডিসেম্বরের সংসদ নির্বাচনে যেইভাবে হরিলুটের মতো ভোট চুরি করে ব্যালট বাক্স নিয়ে গেছে। তাতে মনে হয়, শেখ হাসিনাও আনন্দে বা তৃপ্তিতে নেই।
সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. হেলু মিয়ার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ফখরুল ইসলামের সঞ্চালনায় বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য এম নাসের রহমান।
বিশেষ অতিথি ছিলেন- জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি সাবেক পৌর মেয়র ফয়জুল করিম ময়ুন, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আলহাজ এম মুকিত, মোয়াজ্জেম হোসেন মাতুক, আশিক মোশাররফ, জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ফয়সল আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক বকসী মিসবাহ উর রহমান। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা কর্মী।
সভায় তৃণমূলের বিএনপির নেতাকর্মীরা অভিযোগ তুলেন, ‘বিগত সংসদ নির্বাচনে বিএনপির নেতাকর্মী ও সমর্থকরা আওয়ামীলীগের সাথে নয়, আইশৃঙ্খলা বাহীনির সাথে নির্বাচন করতে হয়েছে। ভোটের তফসীল ঘোষণার আগ থেকেই পুলিশের বিভিন্ন মিথ্যামামলা, নির্যাতন, নিপীড়নসহ ঘরবাড়ী ছেড়ে পালিয়ে সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে হয়েছে। প্রতিটি সেন্টারে সেন্টারে ভোটের আগের রাতে ও ভোটের দিন লাঞ্চের কথা বলে দুপুরে পোলিং এজেন্ট বের করে দিয়ে নৌকার সিল মারা ব্যালট বাক্সে ঢুকিয়ে জনগনের সত্যিকারের মতামতের উল্টো ফলাফল ঘোষণা করেছে। যা এই অবৈধ নির্বাচন জনগন কোন ভাবেই মেনে নিতে পারছে না’।