শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ০১:০৬ অপরাহ্ন

স্কুল খুললেও কমছে পাঠ্যসূচি

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ৪ মার্চ, ২০২১
  • ১৬৫ বার

স্কুল খুললেও পড়াশোনার চাপে থাকবে না কোনো শিক্ষার্থী। দীর্ঘ এক বছর পর ক্লাসে ফেরার কারণে শিক্ষার্থীদের মানসিকভাবে উৎফুল্ল রাখতে নেয়া হচ্ছে স্বল্প সিলেবাসের কৌশল। এরই প্রথম ধাপ হিসেবে সিলেবাস কমানো হচ্ছে সব ক্লাসের। পুরো শিক্ষাবর্ষের পড়ালেখা বাকি ৯ মাসে শেষ করতে হবে এমন ভয় কাটাতে স্কুল খোলার আগেই সংক্ষিপ্ত ও পরিমার্জিত একটি পাঠ্যসূচি শিক্ষার্থীদের হাতে দিয়ে মনের ভয়ও কাটানো হবে। এর আগে সংক্ষিপ্ত একটি সিলেবাস প্রকাশ করা হলেও সেটি এখন আরো কমানোর সব প্রস্তুতিও শেষ করেছে সংশ্লিষ্ট বিভাগ।

এ দিকে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে অনেকেই মনে করছেন, আগামী ৩০ মার্চ স্কুল কলেজ খুললেও চলতি শিক্ষাবর্ষের তিন মাস চলে যাচ্ছে। তাই বছরের বাকি ৯ মাসে হয়তো শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার চাপ বাড়বে। শিক্ষার্থীদের এই ভীতি কাটাতেই জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) সিলেবাস কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে। যদিও এর আগেই এনসিটিবির পক্ষ থেকে মাধ্যমিক স্তরের সিলেবাস কমিয়ে একটি সংক্ষিপ্ত সিলেবাস প্রকাশ করা হয়েছিল। এখন আগের সেই পরিমার্জিত সিলেবাস আরো কাটছাঁট করে সংক্ষিপ্ত করা হচ্ছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, সম্প্রতি এনসিটিবির সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে মাধ্যমিকের জন্য সংক্ষিপ্ত একটি সিলেবাস প্রকাশ করা হয়েছিল। সেখানে চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য পরিমার্জিত ও সংক্ষিপ্ত বিষয়বস্তুর আলোকে সিলেবাস দেয়া হয়। এখন নতুন করে সেই সিলেবাস আরো সংক্ষিপ্ত করা হচ্ছে।

সূত্র জানায়, আগামী ৩০ মার্চ স্কুল খুললেও ইতোমধ্যে চলে যাচ্ছে চলতি শিক্ষাবর্ষের তিন মাস। বাকি রয়েছে মাত্র ৯ মাস। তাই শিক্ষাবর্ষের বাকি সময়ের জন্য অর্থাৎ ৯ মাসের সিলেবাস তৈরি করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। পাঠ্যসূচি ও ক্লাসের সময় গড়ে সব মিলিয়ে ১৫০ কর্মদিবসের সিলেবাস তৈরি করা হয়েছে।

এনসিটিবি সূত্র জানায়, গত ২৭ জানুয়ারি এনসিটিবির কারিকুলাম বিশেষজ্ঞদের সাথে শিক্ষামন্ত্রী ডা: দীপু মনির বৈঠক হয়। সেখানে রাজধানীর বেশ কয়েকটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও বিষয়ভিত্তিক শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন। সেখানেই সিদ্ধান্ত হয় শিক্ষার্থীদের মানসিক চাপে রাখা যাবে না। তাই স্কুল খোলার পর সিলেবাস সংক্ষিপ্ত করেই তাদের বাকি শিক্ষাবর্ষের সময়ের জন্য ক্লাসে ফেরানো হবে। অন্য দিকে মাধ্যমিকের সিলেবাস কমানোর পাশাপাশি কমানো হয়েছে প্রাথমিক স্তরের সিলেবাসও। ইতোমধ্যে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমির (নেপ) পরামর্শে সিলেবাসে করোনা পরবর্তীতে স্কুল খোলার পর কতটুকু পাঠদান করানো যাবে তা ঠিক করা হয়েছে।

এ বিষয়ে প্র্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো: জাকির হোসেন নয়া দিগন্তকে জানান, আমরা কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মানসিক চাপে রাখতে চাই না। শিক্ষা হতে হবে বিনোদনের মতো। শিশুরা খেলার ছলেই শিখবে। তিনি বলেন, করোনায় কমবেশি যতটুকু ক্ষতিই হোক না কেন চলতি শিক্ষাবর্ষে আমরা শিক্ষার্থীদের মানসিক কোনো চাপ দিতে চাই না। তাই সিলেবাস কমিয়ে তাদের মনোবলকে আরো বাড়াতে চাই। তিনি বলেন স্কুল যখন খোলা হবে ওই সময় থেকেই সংক্ষিপ্ত সিলেবাস পড়ানো শুরু হবে। সংক্ষিপ্ত এ সিলেবাস শুধু চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণীর জন্য করা হচ্ছে। বাকি শ্রেণীগুলোতে শিক্ষকরা যতটুকু পড়াতে পারবেন, ঠিক ততটুকুর ওপর মূল্যায়ন করবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019 bangladeshdailyonline.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com