বেসরকারি খাতে বৈদেশিক ঋণের নীতিমালা শিথিল করল বাংলাদেশ ব্যাংক। বৈদেশিক মুদ্রার মজুদের চাপ কমাতে প্রতি তিন মাস অন্তর এসব ঋণ পরিশোধ করতে হতো; কিন্তু এখন পরিশোধ করতে হবে ঋণের মেয়াদপূর্তিতে। এ নির্দেশনা আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত বহাল থাকবে। এতে একসাথে ঋণ পরিশোধ করতে গিয়ে বৈদেশিক মুদ্রার মজুদে চাপ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানিয়েছে, করোনার প্রাদুর্ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা স্বাভাবিকভাবে ঋণ পরিশোধ করতে পারছিলেন না। অনেকের বিরুদ্ধেই স্থানীয় ব্যাংক থেকে ঋণ করে তা বৈদেশিক মুদ্রায় রূপান্তর করে ঋণ পরিশোধ করার অভিযোগ ওঠে। এ পরিস্থিতিতে ব্যবসায়ীদের সুবিধা দেয়ার জন্য তিন মাস অন্তর ঋণ পরিশোধের শর্ত রহিত করা হয়। প্রথমে এ নির্দেশনা ৩১ মার্চ পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়। গতকাল কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে এ বিষয়ে জারি করা এক সার্কুলারে বলা হয়েছে, সাপ্লায়ার্স/বায়ার্স ক্রেডিটের আওতায় আমদানির ক্ষেত্রে দায় পরিশোধের আগের নির্দেশনা আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত বহাল থাকবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারে আরো বলা হয়েছে, ৩১ মার্চ পর্যন্ত বহাল করা রফতানি বাণিজিক লেনদেনের নীতি সহায়তার সময়সীমা আগামী জুন পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। একই সাথে নীতি সহায়তার অংশ হিসেবে রফতানি মূল্য প্রত্যাবাসন সময় ২১০ দিন পর্যন্ত রাখা হয়েছে। প্রযোজ্য সুদ হারে ব্যাক টু ব্যাক ঋণপত্রের সময়সীমা অতিরিক্ত ১৮০ দিন বৃদ্ধি করার সুযোগ থাকছে। পাশাপাশি রফতানি উন্নয়ন তহবিলের (ইডিএফ) ঋণের অতিরিক্ত সময় ৯০ দিনের পরিবর্তে ১৮০ দিন পর্যন্ত বৃদ্ধি করা যাবে। এ ছাড়াও সাপ্লায়ার্স/বায়ার্স ক্রেডিটের আওতায় স্থাপিত ব্যাক টু ব্যাক ঋণপত্রের দায় পরিশোধের জন্য ইডিএফ থেকে ১৮০ দিন সময়ের জন্য অর্থায়ন সুবিধা গ্রহণ করা যাবে।
এ খাতের উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, বাংলাদেশ ব্যাংক গৃহীত ব্যবস্থা বৈদেশিক বাণিজ্যে স্বস্তি প্রদান করবে। আলোচ্য তিন মাসের সহায়তায় রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারবে বলে আশা করা যাচ্ছে।