সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:২৫ অপরাহ্ন

৩৪১-এর প্যাঁচে পেঁয়াজ

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০১৯
  • ৩০৬ বার

পেঁয়াজ নিয়ে যে নৈরাজ্য চলছে, তাতে কিছুতেই লাগাম পরানো যাচ্ছে না। দেড় মাস ধরে এ নিত্যপণ্যটির ঊর্ধ্বমূল্যে পুরো বাজারের চিত্রই পাল্টে গেছে, বিরাজ করছে এক ধরনের অস্থিরতা। মাত্র ৩০ টাকা কেজিতে কেনা পেঁয়াজ ২৫০ টাকায় বিক্রির খবরও গণমাধ্যমের বদৌলতে জনসমক্ষে এসেছে। রাতারাতি কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা কামানোর লোভে মাছ, তেল, চাল, ফলসহ অন্যান্য খাদ্যপণ্যের কারবারিরাও পেঁয়াজ আমদানিতে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। তবে আমদানিকারক বাড়লেও দামের কোনো গতি হয়নি বরং আরও বেড়ে যায় কারসাজি। এহেন পরিস্থিতিতে সরকারের তরফে নানা রকম উদ্যোগ নিয়েও ফল আসেনি। বরং হিতে বিপরীত হয়েছে। একশ্রেণির কারবারি পেঁয়াজের এই আক্রার বাজারকে কাজে লাগিয়ে কৌশলে কয়েকশ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর মাঠপর্যায় থেকে পাওয়া তথ্য এটি।

পেঁয়াজের দাম নিয়ে যখন সাধারণ মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ছিল হাহুতাশ, তখন অনেক আমদানিকারী প্রতিষ্ঠান এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে চালিয়ে গেছে অসাধু কর্মকাণ্ড। পেঁয়াজ নিয়ে কারসাজিতে জড়িত এমন ৩৪১টি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে সম্প্রতি চিহ্নিত করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। বোর্ডের প্রাথমিক অনুসন্ধানে উঠে এসেছে এসব প্রতিষ্ঠান কবে, কত দরে, কি পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানি করেছে এবং কত দরে বাজারে ছেড়েছে। এক্ষেত্রে বিস্ময়কর মুনাফার তথ্যাদি পাওয়া গেছে। এগুলো এখন যাচাই-বাছাই করে দেখছেন এনবিআরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। পাশাপাশি চিহ্নিত এসব প্রতিষ্ঠানকে একের পর এক তলব করা হচ্ছে।

আজ সোমবার ১৩টি প্রতিষ্ঠানকে তাদের আমদানি ও বিক্রির কাগজপত্র নিয়ে যেতে বলা হয়েছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে। আগামীকাল মঙ্গলবারও তলব করা হয়েছে ৩৩ আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে।

এনবিআর কর্মকর্তারা বলছেন, অনুসন্ধানে যেসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মূল্য কারসাজির সুনির্দিষ্ট তথ্য মিলবে তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করবে সরকার। প্রয়োজনে অধিকতর অনুসন্ধান ও তদন্তে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহায়তা নেওয়ার কথাও ভাবা হচ্ছে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রের খবর, গত অক্টোবরে ৩২ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানি হয়। সে সময় প্রতিকেজি পেঁয়াজের আমদানি মূল্য ছিল ৫২ থেকে ৫৮ টাকায়। কিন্তু সেই পেঁয়াজ খুচরা বাজারে বিক্রি হয়েছে ২৬০ টাকা পর্যন্ত। ক্রয় আর বিক্রয়মূল্যের মাঝে যে অস্বাভাবিক ব্যবধান, সেই ব্যবধানের বদৌলতে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে চক্রটি। পেঁয়াজের মূল্যে কারসাজির এ বিষয়টি এখন খতিয়ে দেখা হচ্ছে সরকারের তরফে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবে, পেঁয়াজের লাগামছাড়া দাম নিয়ন্ত্রণ-তৎপরতার অংশ হিসেবে সারাদেশ থেকে আড়াই হাজার খুচরা ব্যবসায়ীকে শাস্তির আওতায় আনা হয়েছে। কিন্তু যারা উপর মহলের কারবারি, তারা ছিল দৃষ্টিসীমা ছাড়িয়ে। এখন তাদেরই ধরার চেষ্টা করছে সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো।

শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা জানান, যেসব ব্যবসায়ী এক হাজার টনের বেশি পেঁয়াজ আমদানি করেছেন তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। কী দামে পেঁয়াজ এনেছেন, কোথায় বিক্রি করেছেন, বিক্রয়মূল্য কত, চালান আছে কিনা- এসব বিষয় যাচাই করে দেখা হবে; মেলানো হবে এ সংক্রান্ত নথিও।

সন্দেহজনক প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে পাঠানো তলবিপত্রে শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ উল্লেখ করেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়, বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির উদ্দেশ্যে আমদানিকৃত পেঁয়াজ অবৈধভাবে মজুদ করা হয়েছে। এ ছাড়া আপনার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অর্থপাচারের অভিযোগও আছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ছক অনুযায়ী আমদানিকৃত পেঁয়াজের বিস্তারিত তথ্যসহ উপস্থিত হয়ে বক্তব্য প্রদানের জন্য অনুরোধ করা গেল।

অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. সহিদুল ইসলাম আমাদের সময়কে বলেন, পেঁয়াজের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির মাধ্যমে যেসব ব্যবসায়ী অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করেছে, কার্যত আমরা তাদের চিহ্নিত করার চেষ্টা করছি। তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, দায়ী অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জানা গেছে, গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত দেশে পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে ৪ লাখ ৭২ হাজার ৫৭৮ টন।

এদিকে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি গতকাল গণমাধ্যমে বলেন, ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করায় কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সুযোগ নিয়েছে। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকার বিমানে ও জাহাজে করে পেঁয়াজ আমদানির উদ্যোগ নিয়েছে। আগামী মাসের ১০ তারিখের মধ্যে এ সংকট কেটে উঠবে।

পেঁয়াজের মূল্য কারসাজির সঙ্গে জড়িত বলে রাজস্ব বোর্ডের করা ৩৪১ প্রতিষ্ঠান হলো- টিএম এন্টারপ্রাইজ, দীপা এন্টার প্রাইজ, আরএম এগ্রো, নূর এন্টারপ্রাইজ, বিএইচ ট্রেডিং অ্যান্ড কোম্পানি, জগদীশচন্দ্র রয়, সাজ্জাদ এন্টারপ্রাইজ, একতা শস্যভাণ্ডার, ফুল মোহাম্মাদ ট্রেডার্স, ফারহা এন্টারপ্রাইজ, সুমাইয়া এন্টারপ্রাইজ, হামিদ এন্টারপ্রাইজ, আলী রাইস মিল, খান ট্রেডার্স, এসএম করপোরেশন, রহমান ইমপ্যাক্ট, গোল্ডেন এন্টারপ্রাইজ, রায়হান ট্রেডার্স, সোহা এন্টারপ্রাইজ, মরিয়ম এন্টারপ্রাইজ, নূর এন্টারপ্রাইজ, শামীম এন্টারপ্রাইজ, খান ট্রেডার্স, এম আর ট্রেডার্স, ডিএ এন্টারপ্রাইজ, টাটা ট্রেডার্স, মা এন্টারপ্রাইজ, হুদা ইন্টারন্যাশনাল, সাহা ভাণ্ডার, আরডি এন্টারপ্রাইজ, জেনি এন্টারপ্রাইজ, মাহী অ্যান্ড ব্রাদার্স, মুক্তা এন্টারপ্রাইজ, রায়হান ট্রেডার্স, সাইফুল এন্টারপ্রাইজ, রিজু-রিতু এন্টারপ্রাইজ, জাভেদ অ্যান্ড ব্রাদার্স, আলম অ্যান্ড সন্স, নিউ বড়বাজার শপিংমল, রচনা ট্রেডিং কোম্পানি, এসএস ট্রেডিং, সুপ্তি এন্টারপ্রাইজ, ব্রাদার্স ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল, আল মদিনা স্টোর, বিকে ট্রেডার্স, ধ্রুব ফারিহা ট্রেডার্স, সালাহা ট্রেডার্স, ফিরোজ এন্টারপ্রাইজ, শার্প ট্রেডার্স, আলিফ এন্টারপ্রাইজ, মাহী এন্টারপ্রাইজ, রফিক ট্রেডার্স, আমান ক্লথ স্টোর, বড় হাজী ট্রেডার্স, আমি অ্যান্ড সন্স, আশিক এন্টারপ্রাইজ, সৌরভ এন্টারপ্রাইজ, আল্লাহর দান ফুড এজেন্সি, মারিয়া করপোরেশন, স্বপ্ন টেডিং, কবির এন্টারপ্রাইজ, আরআর এন্টারপ্রাইজ, আসমা এন্টারপ্রাইজ, ব্রাদার্স ইমপ্যাক্সট, রাফসান ট্রেডার্স, হাফিজ করপোরেশন, করিম এন্টারপ্রাইজ, হক এন্টারপ্রাইজ, মেজবাহ এন্টারপ্রাইজ, এমএ ট্রেডিং, বিকে ইন্টারন্যাশনাল, এসআর ট্রেডিং, খাদিজা এন্টারপ্রাইজ, এএস ট্রেডার্স, রাইসা এন্টারপ্রাইজ, সততা বাণিজ্যালয়, রাফি ইন্টারন্যাশনাল, চৌধুরী ট্রেডার্স, নিশি এন্টারপ্রাইজ, ইয়াসির ইন্টারন্যাশনাল, একে ট্রেডার্স, কানিত এন্টারপ্রাইজ, স্টার ব্রাদাস, কবির টেডিং, অভি এন্টারপ্রাইজ, বেলাল এন্টারপ্রাইজ, আমির এন্টারপ্রাইজ, মরিয়ম ট্রেডার্স, শীতল এন্টারপ্রাইজ, এজিএমবি ট্রেডার্স, ইউনাইটেড রাইস মিলস, খুশি ইন্টারন্যাশনাল, রূপালী করপোরেশন, নাঈম এন্টারপ্রাইজ, নূর এন্টারপ্রাইজ, আকাশ ট্রেডার্স, এআর এন্টারপ্রাইজ, এশিয়ান ওলে ট্রেডার্স, ধ্রুব ফারিহা ট্রেডার্স, ভীষণ এন্টারপ্রাইজ, সাদিয়া ট্রেডার্স, রফিক ট্রেডার্স, কৃষ্ণ এন্টারপ্রাইজ, সুন্দরবন এন্টারপ্রাইজ, জাকির এন্টারপ্রাইজ, পায়েল অ্যান্ড ব্রাদার্স, এন ইসলাম এন্টারপ্রাইজ, খাদিজা ট্রেডার্স, এমবি ট্রেডিং, এএইচ এন্টারপ্রাইজ, এম হোসেন এন্টারপ্রাইজ, এ রহিম এন্টারপ্রাইজ, মাসুম এন্টারপ্রাইজ, আরবি ট্রেডিং, হিলি শিপিং লাইন, মনির ট্রেডার্স, এমজেড এন্টারপ্রাইজ, আশরাফ এন্টারপ্রাইজ, খান অ্যান্ড সন্স, প্রাইম ট্রেডিং, মহিব ফ্রুট, মামা-ভাগ্নে বাণিজ্য ভাণ্ডার, সাতক্ষীরা এক্সিম লিমিটেড, ইবনুল এন্টারপ্রাইজ, এটিএম ট্রেডার্স, বাবা লোকনাথ এন্টারপ্রাইজ, নীলা ট্রেডিং, হেলাল এন্টারপ্রাইজ, সাদ ইন্টারন্যাশনাল, আর আর এন্টারপ্রাইজ, মাইশা এন্টারপ্রাইজ, এ রহমান এজেন্সি, হক এন্টারপ্রাইজ, ইউসুফ অ্যান্ড সন্স, জাহিদ ট্রেডার্স, ফানিসুর রহমান, মা বাণিজ্যালয়, রাফসান ট্রেডার্স, মুন এন্টারপ্রাইজ, সুমাইয়া সুমি ইন্টারন্যাশনাল, জেএস ট্রেডার্স, এনএস এন্টারপ্রাইজ, বিসমিল্লাহ ট্রেড সেন্টার, এডিএম করপোরেশন, হামিদ এন্টারপ্রাইজ, শোভা এন্টারপ্রাইজ, জান্নাত এন্টারপ্রাইজ, নাহার ট্রেডার্স, বাবু এন্টারপ্রাইজ, এএমআর ট্রেডিং, সুন্দরবন এন্টারপ্রাইজ, জাভেদ এন্টারপ্রাইজ, জামাল স্টোর, মিম এন্টারপ্রাইজ, হাজী আমিরুজ্জামান অ্যান্ড সন্স, রুবেল ট্রেডার্স, মিতা এন্টারপ্রাইজ, হাসান ট্রেডিং, আল মদিনা ট্রেডিং অ্যান্ড কোম্পানি, তাজিন এন্টারপ্রাইজ, এসএস ইন্টারন্যাশনাল, এ হুসাইন ব্রাদার্স, রহিম এন্টারপ্রাইজ, এসকে রাইস মিল, আরকেপি এন্টারপ্রাইজ, নাবিনা ফ্রুটস ইন্টারন্যাশনাল, আবুল বাসার অ্যান্ড সন্স, এফএফ ইন্টারন্যাশনাল, বিসমিল্লাহ বাণিজ্যালয়, বিসমা নূর, সবুজ এন্টারপ্রাইজ, হাজী নূর টেডিং, এশিয়া এন্টারপ্রাইজ, মক্কা এন্টারপ্রাইজ, জাভেদ স্টোর, সালাম অ্যান্ড ব্রাদার্স, এএস এন্টারপ্রাইজ, সুমিত এন্টারপ্রাইজ, এআর ইন্টারন্যাশনাল, তুসি এন্টারপ্রাইজ, মৌ এন্টারপ্রাইজ, সিয়াম ইন্টারন্যাশনাল, রিলায়েন্স এন্টারপ্রাইজ, নাঈম এন্টারপ্রাইজ, মা ট্রেডার্স, মুকুল ট্রেডার্স, কবির অ্যান্ড সন্স, নূর ট্রেডার্স, স্কেল্যান্ড ট্রেড এজেন্ট, আপন ট্রেডার্স, নিশি এন্টারপ্রাইজ, সর্দার ইন্টারন্যাশনাল, এএফ এজেন্সি, সিফাত এন্টারপ্রাইজ, শুক্কুর অ্যান্ড ব্রাদার্স, জেএস টেডিং, এনএস ইন্টারন্যাশনাল, রশিদ এন্টারপ্রাইজ, এমআর ট্রেডিং, রফিক ট্রেডার্স, আতিক এন্টারপ্রাইজ, আরিবা ফারহানা ফ্রুট এজেন্সি, মাস্টার এন্টারপ্রাইজ, সিদ্ধার্থ এন্টারপ্রাইজ, নূর এন্টারপ্রাইজ, তুরাজ এন্টারপ্রাইজ, এএস এন্টারপ্রাইজ, আল্লাহর দান এন্টারপ্রাইজ, রিয়াজ এন্টারপ্রাইজ, ঘোষ ট্রেডিং, নূর এন্টারপ্রাইজ, শাকিল ট্রেডার্স, জিমি এন্টারপ্রাইজ, নাঈম অ্যান্ড নেওয়াজ ব্রাদার্স, শফি এন্টারপ্রাইজ, ইয়াসিন ফিশিং, সেলিম এন্টারপ্রাইজ, সুমাইয়া এন্টারপ্রাইজ, হাকিম ট্রেডার্স, গফর এন্টারপ্রাইজ, কৃষ্ণ সেবাজি ইন্টারন্যাশনাল, মোমিন এন্টারপ্রাইজ, হক অ্যান্ড সন্স, ঘোষ এজেন্সি, সায়েম এন্টারপ্রাইজ, মিম এন্টারপ্রাইজ, এমএনকে সাপ্লায়ার্স, রামিতা বিডি লিমিটেড, আবসার অ্যান্ড ব্রাদার্স, লেনদেন ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল, জিহাদ এন্টারপ্রাইজ, সাদিয়া এন্টারপ্রাইজ, এসএম ট্রেডিং, গাজী এন্টারপ্রাইজ, মনিদা এন্টারপ্রাইজ, সায়েম এন্টারপ্রাইজ, এসএন ট্রেডার্স, ত্রিশা এন্টারপ্রাইজ, ইস্ট-ওয়েস্ট ট্রেড এজেন্ট, মিফতাহুল এন্টারপ্রাইজ, জয়েন এন্টারপ্রাইজ, এএফ মেরিন ট্রেড সেন্টার, সাঈদ এন্টারপ্রাইজ, রিজেন্সি ট্রেডিং, হামিম এন্টারপ্রাইজ, মানিক এন্টারপ্রাইজ, নূর ট্রেডার্স, এমএইচ করপোরেশন, মুমতাহা এন্টারপ্রাইজ, আল মদিনা স্টোর, জিন্নাহ অ্যান্ড ব্রাদার্স, কাদের এন্টারপ্রাইজ, জুনায়েদ এন্টারপ্রাইজ, আরএস এন্টারপ্রাইজ, রহমান ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল, রুহান এন্টারপ্রাইজ, জনসেবা পয়েন্ট, বিসকিস ট্রেডার্স, পদ্মা এন্টারপ্রাইজ, মদিনা এন্টারপ্রাইজ, আল আকসা ট্রেডিং করপোরেশন, আবু সাঈদ এন্টারপ্রাইজ, মা এন্টারপ্রাইজ, দিদার অয়েল কোম্পানি, আরবি ট্রেডিং, সালেহা এন্টারপ্রাইজ, আরকে এন্টারপ্রাইজ, জাফর এন্টারপ্রাইজ, এনএইচ ইন্টারন্যাশনাল, আনিকা এন্টারপ্রাইজ, মুসাব অ্যান্ড সাদ ব্রাদার্স, আহসান হাবীব এন্টারপ্রাইজ, তাজমহল শপিংমল, জেপি এন্টারপ্রাইজ, সুপার এন্টারপ্রাইজ, ইকবাল অ্যান্ড ব্রাদার্স, এমএম ট্রেডিং করপোরেশন, ইকবাল ট্রেডিং, পিনু এন্টারপ্রাইজ, করিম অ্যান্ড ব্রাদার্স, ঝর্ণা এন্টারপ্রাইজ, রাইহান করপোরেশন, জে টি এন্টারপ্রাইজ, দুলাল এন্টারপ্রাইজ, আলকা এন্টারপ্রাইজ, অপু এন্টারপ্রাইজ, পারভিন এন্টারপ্রাইজ, মামুন ইন্টারন্যাশনাল, রনি এক্সপ্রেস, আবেদিন এন্টারপ্রাইজ, হক ট্রেডার্স, দিলদার বেগম অ্যান্ড ব্রাদার্স, কায়েস এন্টারপ্রাইজ, হামিদ অ্যান্ড ব্রাদার্স, নজরুল অ্যান্ড সন্স, ইউসুফ এন্টারপ্রাইজ, জাহাঙ্গীর এন্টারপ্রাইজ, মিয়া হোসেন অ্যান্ড ব্রাদার্স, মালা এন্টারপ্রাইজ, আলী অ্যান্ড সন্স, শাকিল ট্রেডার্স, মজিবুর এন্টারপ্রাইজ, সোনালী ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল, আরএন এন্টারপ্রাইজ, আশরাফ এন্টারপ্রাইজ, মোহাম্মাদ জাহাঙ্গীর ট্রেডার্স, এসটি ট্রেডিং, দ্য ট্রিমস, পলাশ এন্টারপ্রাইজ, উম্মেদ উম্মাহ এক্সপোর্ট, ইমপ্যাক্স ইন্টারন্যাশনাল, হাশেম এন্টারপ্রাইজ, আজাদ ইন্টারন্যাশনাল, সেলিম রাইস মিল, মরিয়ম এন্টারপ্রাইজ, অয়ন এন্টারপ্রাইজ, রেড ডট এন্টারপ্রাইজ, ইএইস এন্টারপ্রাইজ, অরিজিন ইন্টারন্যাশনাল, পায়েল অ্যান্ড ব্রাদার্স, আপন এন্টারপ্রাইজ, আহনাফ এন্টারপ্রাইজ, আহসান মতিনা ফুড, ফ্লাগশিপ ইন্টারন্যাশনাল এবং আরহাম ট্রেডিং।

বাজারচিত্র

রাজধানীর কারওয়ানবাজার, মালিবাগ, শান্তিনগরসহ বেশ কয়েকটি বাজার গতকাল ঘুরে দেখা যায়, কেজিতে ৩০ থেকে ৪০ টাকা বেড়ে বাজারভেদে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকায়। গত বৃহস্পতিবারও যা ছিল ১৭০ টাকা। অন্যদিকে মিয়ানমারের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা।

এ ছাড়া মিসরের পেঁয়াজ ১১০ থেকে ১৩০ এবং চীনা পেঁয়াজ ১২০ টাকা কেজি। এ ছাড়া নতুন দেশি পেঁয়াজ কেজিপ্রতি ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা কেজি এবং পাতাসহ পেঁয়াজ ১২০ থেকে ১৪০ টাকা। রাজধানীর সবচেয়ে বড় দুটি পাইকারি বাজার শ্যামবাজার ও কারওয়ানবাজারেও এমন দর দেখা গেছে।

কারওয়ানবাজারে বিক্রমপুর বাণিজ্যালয়ের মালিক পাইকারি ব্যবসায়ী মোহাম্মদ ফয়েজ বলেন, বর্তমানে বাজারে সত্যিই ফুরিয়ে গেছে দেশি পেঁয়াজ। এ কারণে দামও বেড়েছে। এ ছাড়া পেঁয়াজের বড় বড় চালান দেশে এলেও আমরা চুনোপুঁটিরা এসব পেঁয়াজ পাচ্ছি না। আবার অনেক সময় হাতের মুঠোয় পেলেও দাম অনেক বেশি থাকায় তা কিনতে পারেন না বেশিরভাগ পাইকার। একই চিত্র অন্যান্য পাইকারি বাজারেও। মালিবাগ বাজারের খোরশেদ বাণিজ্যালয়ের পাইকারি ব্যবসায়ী মো. শাহবুদ্দিনও বলেন, পেঁয়াজের ঘাটতি রয়েছে জানিয়ে দাম বেশি রাখা হচ্ছে। তাই আমরা পাইকাররাই পেঁয়াজ কিনছি কম।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019 bangladeshdailyonline.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com