শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:০৫ পূর্বাহ্ন

অবশেষে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মাইকেল ব্লুমবার্গ

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর, ২০১৯
  • ৩৪১ বার

যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দৌড়ে যুক্ত হলেন বিলিয়নিয়ার, নিউ ইয়র্কের সাবেক মেয়র মাইকেল ব্লুমবার্গ। আনুষ্ঠানিকভাবে তিনি এ ঘোষণা দিয়েছেন। এক বিবৃতিতে ৭৭ বছর বয়সী ব্লুমবার্গ বলেছেন, তিনি নির্বাচনে দাঁড়াচ্ছেন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পকে পরাজিত করতে এবং আমেরিকাকে পুনর্গঠন করতে। এ জন্য তিনি ডেমোক্রেট দল থেকে প্রার্থিতা চাইছেন। তার কণ্ঠে দৃপ্ত প্রত্যয়- এই নির্বাচনে আমাদেরকে জিততেই হবে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।
আগামী বছর নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। সেই নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের প্রার্থী প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প।
তাকে টেক্কা দিতে মনোনয়ন চাইছেন বিরোধী ডেমোক্রেট দলের ১৭ জন প্রার্থী। সেই দলের সঙ্গে যুক্ত হলেন মাইকেল ব্লুমবার্গ। এত প্রার্থীর মধ্য থেকে দল মনোনয়ন দেবে একজনকে। কে হবেন সেই সৌভাগ্যবান তা নির্ধারণ করা হবে প্রাইমারি নির্বাচনের মাধ্যমে। এখন পর্যন্ত ফ্রন্ট রানার বা সামনের সারিতে আছেন সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, সিনেটর এলিজাবেথ ওয়ারেন এবং বার্নি স্যান্ডার্স। তাদের সঙ্গে দলীয় মনোনয়নের প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামার ঘোষণা দিয়ে ব্লুমবার্গ বলেছেন, আমি প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পকে পরাজিত করতে এবং আমেরিকাকে নতুন করে গড়ে তোলার জন্য প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচন করবো। আমি বিশ্বাস করি ব্যবসা, সরকারে থাকা এবং মানবপ্রীতির মতো একগুচ্ছ অভিজ্ঞতা আমাকে সাহায্য করবে বিজয়ী হতে এবং নেতৃত্ব দিতে। ব্লুমবার্গ মনে করেন, বর্তমানে যারা নির্বাচনী মাঠে আছেন তারা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে শক্তিশালী চ্যালেঞ্জ জানাতে যথেষ্ট নন।
যুক্তরাষ্ট্রে সম্পদের অসমতা, বার্নি স্যান্ডার্স ও এলিজাবেথ ওয়ারেন বিলিয়নিয়ারদের জন্য ট্যাক্স বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছেন। এ নিয়ে কয়েক মাস ধরে যখন বিতর্ক চলছে তখন এই নির্বাচনী মাঠে প্রবেশ করলেন মাইকেল ব্লুমবার্গ। এর আগে সেপ্টেম্বর মাসে আয়কর বিষয়ক প্রস্তাবে বার্নি স্যান্ডার্স বলেছেন, বিলিয়নিয়ারদের অস্তিত্ব থাকা উচিত নয়।
ফোর্বস ম্যাগাজিনের মতে মাইকেল ব্লুমবার্গের নিট সম্পদ ৫৪৪০ কোটি ডলার। এই হিসাবে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের অষ্টম ধনী। তার জন্ম ম্যাসাচুসেটসে। প্রথমে তিনি ওয়াল স্ট্রিটের একজন ব্যাংকার হিসেবে ব্যবসা শুরু করেছিলেন। তারপর নিজের আর্থিক প্রকাশনা সাম্রাজ্য গড়ে তোলেন। এর সঙ্গে যুক্ত হয়ে আছে তার নাম। বছরের পর বছর তিনি বিভিন্ন শিক্ষা, চিকিৎসা ও রাজনৈতিক সহ বিভিন্ন কারণে লাখ লাখ ডলার দান করে আসছেন। ২০০১ সালে তিনি নিউ ইয়র্কের মেয়র পদে প্রচারণায় নামেন। এতে সফল হন তিনি। ২০১৩ সাল পর্যন্ত একটানা তিন বছর তিনি সেখানকার মেয়রের দায়িত্ব পালন করেন। এক দশকেরও বেশি সময় গুজব ছিল যে, তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করবেন।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019 bangladeshdailyonline.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com