যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের ডালাস শহরের উপকণ্ঠে একটি বাড়ি থেকে একই পরিবারের ৬ বাংলাদেশির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার সকালে মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়। একটি মৃতদেহর পাশ থেকে চিঠি উদ্ধার করেছে পুলিশ, যাতে লেখা ছিল- ‘আমি আমার পুরো পরিবারকে হত্যা করেছি। এখন নিজেকেও হত্যা করছি।’
টেক্সাস পুলিশ জানায়, গতকাল রাত ১টার দিকে তারা পাইন ব্লাফ রোডের একটি বাড়ি থেকে জরুরি কল পেয়ে ছুটে যান। সেখানে ৬টি লাশ পড়েছিল। নিহতরা হলেন- দুই কিশোর ভাই, তাদের বোন, তাদের বাবা এবং মা এবং দাদি।
টেক্সাস পুলিশ প্রধান ট্রয় ফিনার স্থানীয় গণমাধ্যমগুলোকে জানিয়েছেন, ফোনটি নিহতদের বাড়ি থেকেই এসেছিল। হত্যাকাণ্ডের পর আত্মহত্যার আগে বাংলাদেশি ওই পরিবারের কোনো হন্তারক পুলিশকে ফোনটি করেন।
এদিকে, অ্যালান শহরের পুলিশ জানিয়েছে, ওই পরিবারের কোনো এক সদস্য আত্মহত্যা করেছেন বলে তাদের পারিবারিক এক বন্ধু পুলিশকে জানানোর পর তারা ওই বাড়িতে যান।
নিহতদের পাশ থেকে যে চিঠি উদ্ধার হয়েছে। দীর্ঘ ওই চিঠির বরাত দিয়ে টেক্সাস পুলিশ মুখপাত্র সার্জেন্ট জন ফেল্টি বলেন, ধারণা করা হচ্ছে হত্যাকাণ্ডের পেছনে পরিবারটির দুই সন্তান জড়িত ছিল। তারা দুই ভাই, নিজেদের মধ্যে একটি চুক্তি করে যে তারা আত্মহত্যা করবে, কিন্তু তার আগে পুরো পরিবারকে হত্যা করবে।
তদন্ত কাজের স্বার্থের পরিবারটির কারও নাম প্রকাশ করেনি পুলিশ। কেনই বা এ হত্যা তাও জানায়নি। তবে জানিয়েছে, পরিবারটি বাংলাদেশি। তারা অভিবাসনের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে স্থানান্তরিত হয়েছিলেন।
হত্যাকাণ্ডটি কখন ঘটেছে, তা এখনও নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ। তবে পুলিশের ধারণা, শনি অথবা রোববার হত্যাকাণ্ডটি ঘটে থাকতে পারে।
পুলিশ কর্মকর্তা জন ফেল্টি জানান, পরিবারটির পক্ষ থেকে প্রতিবেশিদের ওপর কোনো হুমকি ছিল না। বাংলাদেশি ওই পরিবারটির কোনো ধরনের সমস্যার কথাও শোনা যায়নি।