বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৪৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
ইসকন ইস্যুতে দেশি-বিদেশি ইন্ধন থাকতে পারে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যা, যে নির্দেশ দিলেন প্রধান উপদেষ্টা স্বৈরাচার পালিয়ে গেলেও তাদের লেজ রেখে গেছে : তারেক রহমান আইনজীবীকে ‘কুপিয়ে হত্যা করল’ ইসকন সদস্যরা অনির্দিষ্টকালের জন্য সেন্ট গ্রেগরি হাইস্কুল বন্ধ ঘোষণা অহিংস গণঅভ্যুত্থানের আহ্বায়কসহ ১৮ জনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ ঢাকা ও চট্টগ্রামে ১০ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন রাষ্ট্রদ্রোহের ঘটনায় যুক্ত থাকলে ছাড় দেয়া হবে না : আসিফ মাহমুদ চিন্ময়কে গ্রেফতারের নিন্দা জানিয়ে ভারতের বিবৃতি মানুষ কেন তাদের ওপর বিক্ষুব্ধ, গণমাধ্যমের তা স্পষ্ট করা উচিত : নাহিদ ইসলাম

পুরো পরিবারকে হত্যার পর ‘আত্মহত্যা’ বাংলাদেশি দুই ভাইয়ের

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ৬ এপ্রিল, ২০২১
  • ১৭২ বার

যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের ডালাস শহরের উপকণ্ঠে একটি বাড়ি থেকে একই পরিবারের ৬ বাংলাদেশির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার সকালে মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়। একটি মৃতদেহর পাশ থেকে চিঠি উদ্ধার করেছে পুলিশ, যাতে লেখা ছিল- ‘আমি আমার পুরো পরিবারকে হত্যা করেছি। এখন নিজেকেও হত্যা করছি।’

টেক্সাস পুলিশ জানায়, গতকাল রাত ১টার দিকে তারা পাইন ব্লাফ রোডের একটি বাড়ি থেকে জরুরি কল পেয়ে ছুটে যান। সেখানে ৬টি লাশ পড়েছিল। নিহতরা হলেন- দুই কিশোর ভাই, তাদের বোন, তাদের বাবা এবং মা এবং দাদি।

টেক্সাস পুলিশ প্রধান ট্রয় ফিনার স্থানীয় গণমাধ্যমগুলোকে জানিয়েছেন, ফোনটি নিহতদের বাড়ি থেকেই এসেছিল। হত্যাকাণ্ডের পর আত্মহত্যার আগে বাংলাদেশি ওই পরিবারের কোনো হন্তারক পুলিশকে ফোনটি করেন।

এদিকে, অ্যালান শহরের পুলিশ জানিয়েছে, ওই পরিবারের কোনো এক সদস্য আত্মহত্যা করেছেন বলে তাদের পারিবারিক এক বন্ধু পুলিশকে জানানোর পর তারা ওই বাড়িতে যান।

নিহতদের পাশ থেকে যে চিঠি উদ্ধার হয়েছে। দীর্ঘ ওই চিঠির বরাত দিয়ে টেক্সাস পুলিশ মুখপাত্র সার্জেন্ট জন ফেল্টি বলেন, ধারণা করা হচ্ছে হত্যাকাণ্ডের পেছনে পরিবারটির দুই সন্তান জড়িত ছিল। তারা দুই ভাই, নিজেদের মধ্যে একটি চুক্তি করে যে তারা আত্মহত্যা করবে, কিন্তু তার আগে পুরো পরিবারকে হত্যা করবে।

তদন্ত কাজের স্বার্থের পরিবারটির কারও নাম প্রকাশ করেনি পুলিশ। কেনই বা এ হত্যা তাও জানায়নি। তবে জানিয়েছে, পরিবারটি বাংলাদেশি। তারা অভিবাসনের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে স্থানান্তরিত হয়েছিলেন।

হত্যাকাণ্ডটি কখন ঘটেছে, তা এখনও নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ। তবে পুলিশের ধারণা, শনি অথবা রোববার হত্যাকাণ্ডটি ঘটে থাকতে পারে।

পুলিশ কর্মকর্তা জন ফেল্টি জানান, পরিবারটির পক্ষ থেকে প্রতিবেশিদের ওপর কোনো হুমকি ছিল না। বাংলাদেশি ওই পরিবারটির কোনো ধরনের সমস্যার কথাও শোনা যায়নি।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019 bangladeshdailyonline.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com