তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, রাজনীতি ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নয়, রাজনীতি মন্ত্রী-এমপি হওয়ার জন্য নয়। দেশ পরিবর্তন করতে হলে সমাজ পরিবর্তন করতে হলে দলকে ক্ষমতায় নিতে হয়। রাজনীতি হচ্ছে দেশ ও সমাজ পরিবর্তনের জন্য। আমি যেই কর্মসূচিতে বিশ্বাস করি, যে মূল্যবোধে বিশ্বাস করি, যে রাজনৈতিক চেতনায় বিশ্বাস করি, সেটিকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য হচ্ছে রাজনীতি। এটি আজকে রাজনীতিবিদরা ভুলে গেছেন।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে মুক্তিযুদ্ধের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংগঠক, মুক্তিযুদ্ধকালীন যৌথ গেরিলা বাহিনীর প্রধান সংগঠক, ন্যাপ প্রধান অধ্যাপক মোজাফ্ফর আহমদের নাগরিক শোকসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অধ্যাপক মোজাফ্ফর আহমদ নাগরিক শোকসভা কমিটি আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাপের প্রেসিডিয়াম সদস্য আইভি আহমদ। মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন, নঈম উদ্দিন চৌধুরী, ন্যাপের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ইসমাঈল হোসেন প্রমূখ।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, রাজনীতি একটা ব্রত, রাজনীতি মানুষের কল্যাণের জন্য, সমাজ পরিবর্তনের জন্য, সমাজের অসহায়দের পাশে দাঁড়ানো এবং দেশ বিনির্মাণের জন্য হচ্ছে রাজনীতি। দেশের ইতিহাসে একজন কিংবদন্তির নাম অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদ। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে অনন্য অবদান রেখেছেন তিনি। তার অসামান্য অবদান ছিল মুক্তিযুদ্ধে। তিনি রাজনীতিকে ব্রত হিসেবে নিয়েছিলেন এবং সে জন্য তিনি আরাম-আয়েশ ত্যাগ করেছিলেন। তিনি চাইলে মন্ত্রী ও অনেক বিত্ত-বৈভবের মালিক হতে পারতেন।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সংসার পেতেছিলেন কিন্তু সংসার করেননি। জননেত্রী শেখ হাসিনার একটি লেখা সবাই পড়েছেন নিশ্চয়ই, সেখানে তিনি লিখেছেন বঙ্গবন্ধুকে গোপালগঞ্জের আদালতে আসামি হিসেবে হাজিরা দেয়ার জন্য এনেছিলেন। বছরের পর বছর কারাগারে থাকা বঙ্গবন্ধুকে সেখানে দেখতে গিয়েছিলেন ছোট ভাই শেখ কামালকে নিয়ে। বাবার সাথে তখন শেখ কামাল শেখ হাসিনাকে বলেছিলেন হাসু আপু হাসু আপু আমি কি তোমার বাবাকে বাবা ডাকতে পারি! এটিই ছিল তাদের জীবন। তিনি জীবনে সংসার পেতেছিলেন কিন্তু সংসার করেননি। তখনকার যারা রাজনীতিতে ছিলেন তারা এভাবেই দেশের এবং সমাজের জন্য রাজনীতিকে ব্রত হিসেবে নিয়েছিলেন। আজকে রাজনীতিবিদরা এটি ভুলে গেছেন। রাজনীতি যে একটি ব্রত সেটা মানুষও এখন মনে করেন না।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজনীতিকে ব্রত হিসেবে নিয়েছেন। আমাদের মনে আছে ৮১ সালে বাংলাদেশে পদার্পণ করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে ১৯ বার তাকে হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু তিনি বারবার মৃত্যু উপত্যকা থেকে ফিরে এসেছেন। কখনো বিচলিত হননি। আজকের তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ নতুন উচ্চতায় উন্নীত হয়েছে।