প্রাচীনকাল থেকেই কালিজিরা মানবদেহের জন্য মহৌষধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। চিকিৎসাবিজ্ঞানী ইবনে সিনা তার বিখ্যাত গ্রন্থ ক্যানন অব মেডিসিন-এ বলেছেন, ‘কালিজিরা দেহের প্রাণশক্তি বাড়ায় এবং ক্লান্তি দূর করে। এতে রয়েছে প্রায় শতাধিক পুষ্টি উপাদান। এটির প্রধান উপাদানের মধ্যে রয়েছে প্রোটিন ২১ শতাংশ, শর্করা ৩৮ শতাংশ, স্নেহ ৩৫ শতাংশ।
এ ছাড়াও রয়েছে ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ। এটির গুণের শেষ নেই। প্রতিদিন সকালে এক চিমটি কালিজিরা এক গ্লাস পানির সঙ্গে খেলে ডায়াবেটিস রোগীর রক্তের গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে। ভেষজবিদরা কালিজিরা বিভিন্ন রোগের মহৌষধ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
হাঁপানি রোগীর শ্বাসকষ্টজনিত জটিলতায় দীর্ঘদিন কালিজিরা গ্রহণে উপকার পেতে পারেন। কালিজিরা হরমোনসমৃদ্ধ হওয়ায় পুরুষত্বহীনতায় বা নারী-পুরুষের যৌন অক্ষমতায় নিয়মিত কালিজিরা গ্রহণে যৌনশক্তি বাড়ে। কালিজিরায় রয়েছে ১৫টি অ্যামাইনো অ্যাসিড। মানবদেহের জন্য প্রয়োজন নয়টি অ্যাসেনসিয়াল অ্যামাইনো অ্যাসিড, যা দেহে তৈরি হয় না। অবশ্যই খাবারের মাধ্যমে এটির অভাব পূরণ করতে হয়।
কালিজিরায় রয়েছে আটটি অ্যাসেনসিয়াল অ্যামাইনো অ্যাসিড। সর্দি-কাশি সারাতে এবং দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এটির ভূমিকা অনস্বীকার্য। প্রসুতির দুগ্ধ বাড়াতে ও নারীদেহের মাসিক নিয়মিতকরণে এবং মাসিকের ব্যথা নিবারণে কালিজিরার ভূমিকা রয়েছে।
নিয়মিত কালিজিরা গ্রহণে চুলের গোড়ায় পুষ্টি পায়। ফলে চুলের বৃদ্ধি ভালো হয় এবং চুল পড়া বন্ধ হয়। নিয়মিত অল্প পরিমাণ কালিজিরা খেলে মস্তিষ্ক এবং অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের রক্তসঞ্চালন বাড়ে এবং সুস্বাস্থ্য বজায় থাকে।