বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জ্বর নিয়ন্ত্রণে এসেছে। দুয়েকদিনের মধ্যেই তা সেরে যাবে বলে জানিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সরকার তাকে উন্নত চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
আজ রোববার সকালে ১০টার দিকে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান মির্জা ফখরুল। তিনি আরও বলেন, খালেদা জিয়া জ্বরে আক্রান্ত হয়েছিলেন। চিকিৎসকেরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে তার চিকিৎসা করছেন। চিকিৎসকদের সুচিকিৎসায় খালেদা জিয়ার জ্বর নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তার জ্বর আর আসবে না বলে চিকিৎসকেরা আশা করছেন।
এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের দুঃখ হয়, যে নেত্রী গণতন্ত্রের জন্য আজীবন সংগ্রাম করেছেন, ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর কারা–নির্যাতন ভোগ করেছেন, তাকে চিকিৎসার জন্য সুযোগ দেওয়া হয় না। বারবার বলা হয়েছে, তার অ্যাডভান্সড (উন্নত) চিকিৎসা দরকার। সেটা একটা অ্যাডভান্সড চিকিৎসা সেন্টারে করা প্রয়োজন। কিন্তু সরকার প্রতিহিংসামূলক রাজনীতির কারণে তাকে চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করছে।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৭ এপ্রিল ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন খালেদা জিয়া। এর ২৭ দিন পর তার নমুনা পরীক্ষার ফলাফল নেগেটিভ আসে। তিনি এখনও এভার কেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আজ ৩০ মে, সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪০তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে সেনাবাহিনীর একদল বিপথগামী সেনা সদস্যদের ব্যর্থসামরিক অভ্যুত্থানে চট্টগ্রাম নিহত হন জিয়াউর রহমান। সেই থেকে এই দিনকে ‘শাহাদাত দিবস’ হিসেবে পালন করে আসছে বিএনপি। আজ শহীদ জিয়ার কবরে ফুলেল শ্রদ্ধা জানানোর পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মির্জা ফখরুল। সেখানেই খালেদা জিয়ার ব্যাপারে কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর দেন তিনি। এও বলেন, আওয়ামী লীগ সচেতনভাবে উদার গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা ধ্বংস করে একদলীয় শাসনের পথে হাঁটছে। তারা সুপরিকল্পিতভাবে রাজনীতির পরিবেশ নষ্ট করছে। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে শুধু বিএনপি নয়, গোটা জাতিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।