যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার অঙ্গরাজ্যের মিয়ামির সার্ফসাইড এলাকায় ১২ তলা একটি ভবন ধসে একজনের মৃত্যু হয়েছে। ওই ঘটনায় এখনো শতাধিক মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার এ ঘটনা ঘটে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, কনডমিনিয়াম নামের ওই টাওয়ারের ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনো শতাধিক লোক আটকা পড়েছেন বলে উদ্ধারকর্মীরা জানিয়েছেন। তারা ধ্বংসস্তুপ থেকে অনেককে উদ্ধার করেছেন।
মিয়ামি কর্তৃপক্ষ বলেছেন, এখনো ৯৯ জনকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ধ্বংসস্তুপের আশেপাশের ভবনগুলোও খালি করে দেওয়া হয়েছে। মানুষকে সেখান থেকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
ভবনটিতে ঠিক কতজন ছিলেন তা জানে না কর্তৃপক্ষ। আবাসিক ওই ভবনটি যখন ধসে পড়ে তখন অনেকেই ঘুমিয়ে ছিলেন। ধসে যাওয়া ভবনের একটি অংশ এখনো দাঁড়িয়ে রয়েছে।
উদ্ধারকর্মীরা আটকা পড়া মানুষদের উদ্ধারে প্রশিক্ষিত কুকুর এবং ড্রোন ব্যবহার করছেন। পুলিশ বলেছে, ওই ভবনটি নির্মাণ করা হয়েছিল ১৯৮০ সালে। এতে ১৩০টি ইউনিট ছিল। এই ধসের কারণে অর্ধেক ইউনিট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর ধসের সময় ঠিক কতজন ভবনে উপস্থিত ছিলেন তা জানা যায়নি।
মিয়ামি-ডেড এলাকার মেয়র ড্যানিয়েল লেভিন ক্যাভা বলেছেন, এখন পর্যন্ত ৯৯ জন নিখোঁজ আছেন। নিখোঁজদের মধ্যে কমপক্ষে ১৮ জন লাতিন আমেরিকার বিভিন্ন দেশের নাগরিক।
কর্তৃপক্ষ বলেছে, ওই ভবনের কিছু অংশ সংস্কারের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। ভবনের পাশেই আরেকটি নতুন ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। তবে ঠিক কী কারণে ভবনটি ধসে গেছে তা এখনো জানা যায়নি। সার্ফসাইডের অগ্নিনির্বাপণ বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ৩৫ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।