চলমান রোহিঙ্গা সঙ্কটের আশু কোনো সমাধান নেই উল্লেখ করে বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডার হাইকমিশনার বেনোই প্রেফনটেইন বলেছেন, রোহিঙ্গা সঙ্কট নিরসনে মিয়ানমারের নেতৃবৃন্দ ও প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপসহ নিজেদের এখতিয়ারে থাকা সব ধরনের কৌশল ব্যবহারের পাশাপাশি কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে কানাডা। আগামী বছরগুলোতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এ লক্ষ্যে সমন্বিত ও টেকসই তৎপরতা চালাতে হবে।
বাংলাদেশ-কানাডা সম্পর্কের ওপর শনিবার রাজধানীর এক হোটেলে আয়োজিত সংলাপে হাইকমিশনার এ সব কথা বলেন। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক।
বাংলাদেশ-কানাডা সম্পর্ককে ‘ঝামেলামুক্ত’ হিসেবে আখ্যায়িত করে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, এ সম্পর্ক সব ক্ষেত্রে বিকাশ লাভ করছে। পরিবর্তনশীল বিশ্ব ব্যবস্থাতে কানাডার কাছ থেকে ভারসাম্যপূর্ণ ভূমিকা আশা করেন শহীদুল হক।
হাইকমিশনার প্রেফনটেইন বলেন, উদ্বাস্তুদের সাহায্য প্রদান এবং স্বাগত জানানোর দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে কানাডার। আমাদের নাগরিকরা রোহিঙ্গা ও কক্সবাজারের স্থানীয় বাসিন্দারা কোন পরিস্থিতিতে রয়েছেন সে বিষয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। নিপীড়িত রোহিঙ্গাদের জন্য সীমান্ত খুলে দিয়ে বাংলাদেশের জনগণ ও সরকার যে অপরিসীম উদারতা দেখিয়েছে তাকে সাধুবাদ জানায় কানাডা। তিনি বলেন, এ সঙ্কটে সাড়া দেয়া প্রথম দেশগুলোর একটি কানাডা। মানবিক সহায়তাকারী হিসেবে কানাডা বিশ্বে শীর্ষস্থানীয় একটি দেশ।
কানাডা দ্বিপক্ষীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতাপূর্ণ সম্পর্ক অব্যাহত রাখতে চায় বলে জানান হাইকমিশনার।
কসমস ফাউন্ডেশনের ‘অ্যাম্বাসেডর লেকচার সিরিজ’-এর আওতায় এ সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুরের ইনস্টিটিউট অব সাউথ এশিয়ান স্ট্যাডিজের প্রিন্সিপাল রিসার্চ ফেলো ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন কসমস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এনায়েতুল্লাহ খান।