খুলনা বিভাগে এইচআইভি-এইডস পজেটিভ রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। ২০১৮ সালের নভেম্বর থেকে ২০১৯ সালের অক্টোবর পর্যন্ত খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে অ্যান্টিভাইরাল থেরাপি (এআরটি) সেন্টার থেকে ৬৪৮ জনকে এইচআইভি পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ৫৬ জন এইচআইভি সংক্রমিত ব্যক্তি পাওয়া যায়।
আক্রান্তদের মধ্যে পুরুষ রয়েছে ২৬ জন, নারী ২৪ জন এবং ৬ জন শিশু। এই বছরে খুমেক হাসপাতালের চিকিৎসার আওতায় এইচআইভি-এইডস আক্রান্ত ১২ জন ব্যক্তি মারা গেছেন। এর মধ্যে চার জন পুরুষ ও ৮ জন নারী।
খুমেক হাসপাতালের স্টেনদেনিং অফ এইচআইভি সার্ভিসেস প্রকল্পের সূত্র জানায়, ২০১৮ সালে খুলনা বিভাগে ৬৭ জন এইচআইভি সংক্রমিত রোগী চিহ্নিত করা হয়। পাশাপাশি ২০১৭ সালের ১৫ নভেম্বর থেকে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় আওতাধীন এইডস/এসটিডি প্রোগ্রাম এবং ইউনিসেফের কারিগরি ও আর্থিক সহযোগিতায় স্টেনদেনিং অফ এইচআইভি সার্ভিসেস প্রকল্পের আওতায় আওতায় এ সেবা দেয়া হচ্ছে।
বর্তমানে খুমেক হাসপাতালের এআরটি সেন্টার থেকে ২৫০ জন বিনামূল্যে স্বাস্থ্য সেবা গ্রহণ করছেন। এর মধ্যে খুলনা জেলার বাসিন্দা রয়েছে ৮৬ জন। এছাড়া যশোরের ৬২ জন, সাতক্ষীরার ৩৪, নড়াইলের ২৫, বাগেরহাটের ১২, ঝিনাইদহের ১০, মাগুরার ৪, চুয়াডাঙ্গার ৩, গোপালগঞ্জে ৬, ফরিদপুরের ৪, পিরোজপুরের ৩, বড়গুনার একজন (হিজড়া) রয়েছে।
১৯৮৯ সালে বাংলাদেশে প্রথম এইচআইভি আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। তারপর থেকে এইচআইভি রোগীর সংখ্যা বাড়তেই থাকে। ২০১৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে মোট ৮৬৯ জন এইচআইভি আক্রান্ত রোগী পাওয়া যায়। এর মধ্যে রোহিঙ্গা আছে ১৮৮ জন। ১৯৮৯ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে মোট এইচআইভি-এইডস রোগীর সংখ্যা ৬ হাজার ৪৫৫ জন। এর মধ্যে ১ হাজার ৭২ জন মারা যায়।
খুমেক হাসপাতালের পরিচালক ও প্রকল্পের পরিচালক ডা. এটিএম মঞ্জুর মোর্শেদ জানান, এইচআইভি-এইডস রোধে জনসচেতনতা সৃষ্টি ছাড়া কোনো উপায় নেই। এই বিষয়ে মানুষের নিজের উদ্যোগে সচেতন হতে হবে।
তিনি বলেন, ‘যদি এইচআইভি পরীক্ষার মাধ্যমে কোনো গর্ভবতী মায়ের রক্তে এইচআইভি শনাক্ত হয় তবে তাকে চিকিৎসা সেবার মাধ্যমে গর্ভের শিশুটির এইচআইভি প্রতিরোধ করা সম্ভব।’ইউএনবি