রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৩২ অপরাহ্ন

বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৯
  • ২৭০ বার

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে ঢাকার মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ শনিবার সকাল ৭টার দিকে রাষ্ট্রপতি স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা জানানো শেষে সর্বস্তরের মানুষ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। শ্রদ্ধা জানান শহীদ বুদ্ধিজীবী ও মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের সদস্যরাও। বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ছাড়াও রাজধানীর স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরাও স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানান।

উল্লেখ্য, ১৪ ডিসেম্বর চার দিকে যখন বিজয়ের রব, মুক্ত পরিবেশে মানুষ যখন রাস্তায় বের হয়ে আসতে শুরু করছে, ঘরে ফিরতে শুরু করছে, মানুষ যখন প্রাণভরে মুক্ত নিঃশ্বাস নেয়ার অনুপম আনন্দে শিহরিত, বিজয়কে বরণের আনন্দে দুলছে ঠিক তখনই এক শোকাবহ ঘটনার অবতারণা ঘটাল স্বাধীনতার শত্রুরা। বিজয়ের মাত্র দুই দিন আগে জাতির কৃতী সন্তানদের তারা বাসা থেকে ধরে নিয়ে ঠাণ্ডা মাথায় হত্যা করে। বিভিন্ন শ্রেণিপেশার বরেণ্য ব্যক্তিত্ব তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের নামকরা শিক্ষক, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, সাংবাদিক, সাহিত্যিক, শিল্পীদের হত্যা করা হলো বেছে বেছে; যাতে এ জাতি স্বাধীনতা পেলেও আর কখনো মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে না পারে। তাদেরকে ধরে নিয়ে রায়েরবাজার বেড়িবাঁধ এলাকা ও মিরপুরে জড়ো করে হাত-পা ও চোখ বেঁধে হত্যা করে তাদের লাশ ডোবার মধ্যে ফেলে রাখা হয়, যা এখন বধ্যভূমি নামে পরিচিত। ১৪ ডিসেম্বর তাই আমাদের জাতীয় ইতিহাসে এক শোকাবহ দিন। শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস।

বুদ্ধিজীবী নিধন প্রক্রিয়ায় যারা চিরকালের জন্য নিখোঁজ হয়েছেন এবং বধ্যভূমিতে যাদের লাশ শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে, তাদের অন্যতম হলেনÑ অধ্যাপক মুনীর চৌধুরী, সাংবাদিক সাহিত্যিক শহীদুল্লাহ কায়সার, ড. জেসি দেব, অধ্যাপক জ্যোতির্ময় গুহ ঠাকুরতা, অধ্যাপক আনোয়ার পাশা, সন্তোষচন্দ্র ভট্টাচার্য, ড. ফজলে রাব্বী, ড. মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী, অধ্যাপক মুনীরুজ্জামান, অধ্যাপক গিয়াসউদ্দিন আহমেদ, ড. আলিম চৌধুরী, সাংবাদিক সাহিত্যিক সিরাজউদ্দিন হোসেন, ড. গোলাম মোর্তজা, ড. মোহাম্মদ শফি, সাংবাদিক নিজামউদ্দিন আহমেদ, লাড়– ভাই, খন্দকার আবু তালেব, আ ন ম গোলাম মোস্তফা, শহীদ সাবের, আলতাফ মাহমুদ, রশীদুল হাসান, আবুল বাশার, ড. মুক্তাদির, সায়ীদুল হাসান, সেলিনা পারভীনসহ আরো অনেকে।

বস্তুত ১৪ ডিসেম্বরের আগে থেকেই বেশ কিছু নামকরা বুদ্ধিজীবী নিখোঁজ হতে থাকেন। তবে ১৪ ডিসেম্বর সবচেয়ে বেশিসংখ্যক বুদ্ধিজীবীকে হত্যা করা হয়। জাতির সেই কৃতী সন্তানদের স্মরণে প্রতি বছর ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।

এ দিকে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019 bangladeshdailyonline.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com