রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৫৫ অপরাহ্ন

রাজনৈতিক সংকট নিয়ে আলোচনা নেই কেন?

মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ৩১ আগস্ট, ২০২১
  • ১৪৪ বার

চলমান রাজনৈতিক সংকট নিরসন করতে না পারলে দেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতা আসবে না। অথচ এ নিয়ে সরকারের দিক থেকে কোনো আলোচনা নেই। সব আলোচনা এখন কেন্দ্রীভূত করোনা, পরীমনি, চার দশক আগে নিহত জিয়ার কবর এবং পাঁচ দশক আগে মুক্তিযুদ্ধে তার অংশগ্রহণ নিয়ে। পরীমনির ব্যাপারে মিডিয়ার বাড়াবাড়ি ছিল অপ্রয়োজনীয়।

তার গ্রেফতারের দৃশ্য দেখে মনে হয়েছে শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা পালিয়ে থাকা সশস্ত্র দস্যু ফুলন দেবীকে গ্রেফতার করতে এসেছেন। অবশ্য করোনাকেন্দ্রিক আলোচনা ঠিক আছে। কারণ, এখানে জীবন-মরণের প্রশ্ন জড়িত। কিন্তু এই ইস্যুতে গৃহীত সরকারি পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনার সমালোচনা হয়েছে। সমালোচনা হচ্ছে সবকিছু খুলে দিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা নিয়ে।

এ কথা সর্বজনবিদিত যে, বাংলাদেশের ফার্মাসিস্টরা যথেষ্ট অভিজ্ঞ। সূচনালগ্ন থেকে গণস্বাস্থ্য, স্কয়ার, বেক্সিমকোসহ বড় ওষুধ কোম্পানিগুলোর খ্যাতিমান ফার্মাসিস্টদের নিয়ে ভ্যাকসিন তৈরির লক্ষ্যে একটি বিশেষজ্ঞ দল করে তাদেরকে সরকারি প্রণোদনা দিলে আজ আমরা নিজের প্রয়োজন মিটিয়ে ভ্যাকসিন রপ্তানি করতে পারতাম।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রকম বক্তব্য প্রদান যুগপৎ শিক্ষার্থী ও নাগরিক সমাজকে বিরক্ত করেছে। ঢাকাসহ বড় সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রায় সব শিক্ষক এবং অধিকাংশ শিক্ষার্থীর টিকা প্রদান সম্পন্ন হয়েছে। অগ্রাধিকার দিয়ে ভ্যাকসিন সরবরাহ করলে স্বল্প সময়ের মধ্যে বাকি শিক্ষার্থীদের টিকা প্রদান করা সম্ভব। অথচ মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয় অক্টোবরের মাঝামাঝি বা তারও পরে খুলে দেওয়া হবে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষার শিডিউল ঘোষণা করেছে। সেপ্টেম্বরের শুরুতে আমার নিজের বিভাগসহ আরও অনেক বিভাগে পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। অথচ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পরীক্ষার্থীদের জন্য হল না খুলে তাদেরকে মানসিক ও আর্থিক যাতনা দিচ্ছে।

করোনাকে সঙ্গে নিয়ে বিশ্বকে অনেক বছর চলতে হবে। কাজেই এ নিয়ে সব দেশেই আলোচনা হবে। কিন্তু তাই বলে দেশের রাজনৈতিক সংকট সমাধান না করে দেশকে দীর্ঘকাল অস্থিতিশীল করে রাখা ঠিক হবে কি? অথচ এ ব্যাপারে সরকারি পক্ষ সামান্যতম কথাবার্তাও বলছে না। উল্লেখ্য, সর্বসম্মতভাবে গৃহীত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা এককভাবে বাতিল করার পর নির্বাচনী ব্যবস্থা এরশাদ শাসনামলের নির্বাচনের চেয়েও বড় প্রহসনে পরিণত হয়েছে। যুগপৎ নির্বাচন কমিশন এবং নির্বাচনের ওপর ভোটারদের আস্থা নেই। অথচ সরকার চাইলে শান্তিপূর্ণ উপায়ে এ অবস্থায় ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারে।

ইসির ওপর জনগণের আস্থা আনার লক্ষ্যে সরকার নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য জাতীয় সংসদে আইন পাশ করতে পারে। জাতীয় সংসদে সরকারি দলের দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় এ কাজে সরকারের অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। এ আইনে এমন বিধান রাখতে হবে, যাতে যোগ্য ও দক্ষ ব্যক্তিরা কমিশনে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে নিরপেক্ষ ও স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারেন। কিন্তু সরকারের তেমন ইচ্ছা আছে বলে মনে হচ্ছে না। অনুসন্ধান কমিটি করে নির্বাচন কমিশন গঠন করলে সে কমিশনের চরিত্র কেমন হয় তা নাগরিক সমাজ একাধিকবার প্রত্যক্ষ করেছে। কাজেই সরকার শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠন করতে চাইলে উচিত হবে অচিরেই ইসি গঠনের জন্য একটি আইন পাশ করা। অন্যথায় কয়েক মাস পর গতানুগতিক প্রক্রিয়ায় নতজানু নির্বাচন কমিশন গঠিত হলে সে কমিশন যে ভালো নির্বাচন করতে পারবে না তা বলা যায়।

বর্তমান বাস্তবতায় দলীয় সরকারের অধীনে যে ভালো নির্বাচন করা যায় না, তা বহুবার পরীক্ষিত হয়েছে। সরকার অধিকাংশ রাজনৈতিক দল ও জনমত উপেক্ষা করে এককভাবে তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বাতিল করেছে। কাজেই এখন সুষ্ঠু নির্বাচন করতে চাইলে রাজনীতিকদেরই নতুন নাম দিয়ে একটি নির্দলীয় সরকার গঠন করতে হবে। ওই সরকারের নাম ‘অন্তর্বর্তীকালীন’, ‘অস্থায়ী’, ‘নির্বাচনকালীন’, ‘তদারকি’ বা অন্য যাই হোক না কেন, তাতে অসুবিধা নেই। নির্দলীয় সরকার গঠন ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। যে কারণগুলোর জন্য রাজনীতিকরা সম্মিলিতভাবে তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থার উদ্ভাবন করেছিলেন, সে কারণগুলো রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে এখনো বর্তমান।

অথচ অসুখ নিরাময়ের আগে ওষুধ বন্ধ করার আহাম্মকি সিদ্ধান্তের মতো অধিকাংশ রাজনৈতিক দল, এমিকাস কিউরি, সুশীল ও নাগরিক সমাজের মতামত উপেক্ষা করে উচ্চ আদালতের একটি বিতর্কিত ও খণ্ডিত (৪:৩) রায়ের সংক্ষিপ্ত আদেশের একাংশ ব্যবহার করে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বাতিল করা হয়েছে। যদিও উচ্চ আদালতের ওই বিতর্কিত রায়ে সংসদের অনুমোদনসাপেক্ষে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আরও দুটি সংসদ নির্বাচন করার সুযোগ ছিল। সংকীর্ণ দলীয় স্বার্থে সে সুযোগ ব্যবহার করা হয়নি। এ কথা স্বীকার্য, তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে কিছু বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছিল এবং কতিপয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের গঠন প্রক্রিয়া ও কার্যক্রমে কিছু ভুলত্রুটি ছিল। কিন্তু সরকার চাইলে এ ব্যবস্থায় সংস্কার করে সে ত্রুটিগুলো নিরসন করে তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থাকে অধিকতর কার্যকর করতে পারত। কিন্তু তত্ত্বাবধায়ক সরকার সংস্কারের পরিবর্তে এ ব্যবস্থাকে বাতিল করে মাথাব্যথার চিকিৎসা না করে মাথা কেটে ফেলার মতো বোকামি করা হয়েছে। অন্যভাবে বলা যায়, দলীয় স্বার্থ হাসিল, বা ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করার স্বার্থে তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বাতিল করা হয়েছে।

তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বাতিল করা যে একটি ভুল সিদ্ধান্ত ছিল সে বিষয়টি এখন সবাই উপলব্ধি করছেন। দেশবাসীকে এ ভুলের মাশুল দিতে হচ্ছে। এ কারণে সংবিধান অনুযায়ী বর্তমানে চলমান দলীয় ব্যবস্থায় সংসদ নির্বাচন করাকে নাগরিক সমাজ সমর্থন দিচ্ছেন না। কারণ, এমন ব্যবস্থায় প্রধানমন্ত্রীকে তার নিজ পদে রেখে, এমপিদের তাদের পদে রেখে, সংসদ না ভেঙে, নতজানু ও হুকুমবরদার নির্বাচন কমিশনের অধীনে দলীয়করণকৃত আমলাদের তত্ত্বাবধানে কাগজের ব্যবহারবিহীন প্রশ্নবিদ্ধ ইভিএমে নির্বাচন হলে সে নির্বাচনে কেবল সরকারদলীয় প্রার্থীরা জিততে পারবেন। লোক দেখানোর জন্য এহেন নির্বাচনে কতজন বিরোধীদলীয় প্রার্থীকে জিততে দেওয়া হবে, এটাও তাদের পক্ষে নির্ধারণ করা সম্ভব হবে।

সংবিধান মানুষের জন্য। দেশের প্রয়োজনে ১৭ বার সংবিধান সংশোধিত হয়েছে। গণতান্ত্রিক নির্বাচন এবং ভোটের মর্যাদা প্রতিষ্ঠার স্বার্থে প্রয়োজনে আরও একবার সংবিধান সংশোধন করা অন্যায় হবে না। এ সংশোধনীতে নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য আইন করতে হবে। সেই সঙ্গে স্বল্পমেয়াদি নির্দলীয় নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখা তৈরি ও তা পাশ করে ওই সরকারের অধীনে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন করলে অনুষ্ঠেয় নির্বাচন গ্রহণযোগ্যতা পাবে। এমনভাবে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে নির্বাচিত সরকার সবার সহযোগিতা নিয়ে সামাজিক শান্তি ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করলে সে উদ্যোগ সফল হবে।

আর যদি সরকার ক্ষমতায় থাকার বিষয়টিকে বড় করে দেখে, তাহলে এমনটি হবে না। সংবিধান সংশোধন না করে নিজেরা ক্ষমতায় থেকে সরকার চাইলে দশম বা একাদশ সংসদ নির্বাচনের মতো একটি প্রহসনমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হতে পারবে। সে ক্ষেত্রে দেশে-বিদেশে সরকারের গ্রহণযোগ্যতা প্রতিষ্ঠিত হবে না। আন্তর্জাতিক মহলে দেশের গণতান্ত্রিক ভাবমূর্তি ভূলুণ্ঠিত হবে। দেশের অভ্যন্তরে দেখা দেবে সামাজিক অস্থিরতা ও রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা। বেগবান হবে সরকারবিরোধী এবং গণতন্ত্র ও ভোটের মর্যাদা প্রতিষ্ঠার আন্দোলন।

সরকার চাইলে চলমান ব্যবস্থায় নতজানু নির্বাচন কমিশন সৃষ্টি করে দলীয় ব্যবস্থাধীনে নির্বাচন করতে পারবে। সে নির্বাচনে ভোটাররা ভোটকেন্দ্রমুখী না হলেও অনায়াসে উচ্চ কাস্টিং রেট ম্যানুফ্যাকচার করে সরকার গঠনপূর্বক ক্ষমতায়ও থাকা যাবে। নির্বাচনের আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে ‘অগণতান্ত্রিক সরকার’, ‘অসাংবিধানিক সরকার’ বলে সমালোচনা করে সরকারদলীয় নেতারা উচ্চকণ্ঠে বক্তৃতাও করতে পারবেন। কিন্তু তাতে লাভ কী? নির্বাচন তো সুষ্ঠু হবে না। উল্লেখ্য, চলমান রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে দলীয় সরকারের অধীনে স্বচ্ছ নির্বাচন করা সম্ভব না।

এ বক্তব্য প্রদান প্রথমে আওয়ামী লীগ এরশাদ শাসনামলে সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলনে বিএনপি-জামায়াতকে সঙ্গে নিয়ে শুরু করেছিল। সে আন্দোলন সফল হলে ১৯৯১ সালে তিন জোটের রূপরেখার ভিত্তিতে বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আহমদের নেতৃত্বাধীন সর্বসম্মত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের তত্ত্বাবধানে সুষ্ঠুভাবে পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। পরবর্তী সময়ে নির্বাচিত বিএনপি সরকার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে না চাইলে আবারও আওয়ামী লীগ জামায়াত-জাপাকে নিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে দীর্ঘমেয়াদি লাগাতার হরতাল-আন্দোলন করে উল্লিখিত দাবি মানতে খালেদা জিয়াকে বাধ্য করে।

বিএনপি অসাংবিধানিকভাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে চায়নি। আওয়ামী লীগ আন্দোলনের এক পর্যায়ে জাতীয় সংসদ থেকে সম্মিলিতভাবে পদত্যাগ করলে বিএনপি সংসদে সংবিধান সংশোধনের জন্য প্রয়োজনীয় দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারায়। ফলে সম্মিলিত বিরোধীদলীয় আন্দোলনের চাপে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে সংবিধান সংশোধনের জন্য বিএনপি একটি যেনতেন ও সন্ত্রাসকবলিত ষষ্ঠ সংসদ নির্বাচন করে।

এ নির্বাচনের পর ষষ্ঠ সংসদে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী পাশের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন করার আইন পাশ করে বিএনপি সংসদ ভেঙে দিয়ে সপ্তম সংসদ নির্বাচন দেয়। সংবিধান অনুযায়ী বিচারপতি হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার সপ্তম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান করে। আওয়ামী লীগ ওই নির্বাচনে জয়লাভ করে সরকার গঠন করে। কাজেই নির্বাচনী ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যায়, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য সবচেয়ে বেশি আন্দোলন করেছে আওয়ামী লীগ। অথচ পরে এ দলটিই ক্ষমতায় থাকার স্বার্থে এ ব্যবস্থাকে এককভাবে বাতিল করে। এখন আর এ সরকার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা শুনতে চায় না।

দলীয় ব্যবস্থাধীনে সংসদ নির্বাচন করতে গিয়ে আওয়ামী লীগ নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করেছে। গত দুটি (দশম ও একাদশ) সংসদ নির্বাচন যে মানের হয়েছে তা ব্যাখ্যা না করে বলা যায়, এমন নির্বাচন বিদেশে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ভাবমূর্তি বিনষ্ট করেছে। দেশের মধ্যে তৈরি করেছে অরাজকতা, অস্থিরতা ও রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা। কাজেই দলীয় ব্যবস্থাধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের মানসিকতা থেকে বেরিয়ে এসে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন সরকারের অধীনে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা না করলে বাংলাদেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও সামাজিক শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে না। এখন বল সরকারের কোর্টে।

সরকার যদি আবারও দলীয় ব্যবস্থাপনায় নির্বাচন অনুষ্ঠানের গোয়ার্তুমি করে, তাহলে দেশে নির্দলীয় সরকারের অধীনে সংসদ নির্বাচনের দাবিকেন্দ্রিক আন্দোলন তীব্রতা পাবে। সামাজিক নৈরাজ্য, দুর্নীতি এবং রাজনৈতিক অশান্তি ও অস্থিতিশীলতা বাড়বে। সে জন্য সরকার, রাজনৈতিক দল ও সুশীল সমাজ এবং নাগরিকদের উচিত হবে এখন থেকে চলমান রাজনৈতিক সংকট সমাধানের পথ বের করা।

 

ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার : অধ্যাপক, রাজনীতিবিজ্ঞান বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019 bangladeshdailyonline.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com