আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক উপ-কমিটি থেকে সদ্য বহিষ্কৃত হেলেনা জাহাঙ্গীরকে দুই মামলায় জামিন মঞ্জুর করেছেন দায়রা আদালত। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েশ এই জামিনের আদেশ দেন। গুলশান থানায় দায়ের করা বিশেষ ক্ষমতা এবং পল্লবী থানার প্রতারণা মামলায় আদালত এই জামিন মঞ্জুর করেছেন। তবে এখনই মুক্তি মিলছে না তার।
এর আগে পল্লবী থানার টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলায় গত ১৭ আগস্ট ঢাকার সিএমএম আদালত হেলেনা জাহাঙ্গীরের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন। এই মামলাসহ তিন মামলায় জামিন পেলেও এখনই তার মুক্তি মিলছে না। কারামুক্ত হতে হলে তাকে গুলশান থানার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় জামিন পেতে হবে।
হেলেনা জাহাঙ্গীরের আইনজীবী শফিকুল ইসলাম জানান, তার আসামির বিরুদ্ধে চার মামলার মধ্যে তিনটিতে জামিন পেলেন। কিন্তু ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় তার জামিন এখনো হয়নি। এজন্য তিনি কারামুক্ত হতে পারছেন না।
র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা ও র্যাব-১ এর অভিযানে গত ২৯ জুলাই দিবাগত রাতে রাজধানীর গুলশান-২ এলাকার ৩৬ নম্বর রোডের ৫ নম্বর বাড়ি ‘জেনেটিক রিচমন্ড’-এ অভিযান পরিচালনা করে হেলেনা জাহাঙ্গীরকে (৪৯) গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযানে ১৯ বোতল বিদেশি মদ, একটি ক্যাঙ্গারুর চামড়া, একটি হরিণের চামড়া, দুটি মোবাইল, ১৯টি চেক বই ও বিদেশি মুদ্রা, দুটি ওয়াকিটকি সেট এবং জুয়া (ক্যাসিনো) খেলার সরঞ্জামাদি- ৪৫৬টি চিপস জব্দ করা হয়।
ওইদিনই দিবাগত মধ্যরাতে তার জয়যাত্রা টেলিভিশন স্টেশনেও অভিযান পরিচালনা করা হয়। পরে রাতেই র্যাব-৪ বিটিআরসির সহযোগিতায় মিরপুরে অবস্থিত হেলেনা জাহাঙ্গীরের অনুমোদনহীন জয়যাত্রা টেলিভিশন স্টেশন সিলগালা করে এবং অবৈধ মালামাল জব্দ করে। পরে হেলেনা জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে চারটি পৃথক মামলা দায়ের করা হয়। পৃথক চার মামলায় তাকে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নেওয়া হয়।