যাত্রা শুরুর এক যুগ পূর্তিতে এমন শিরোনাম দেখে পাঠক মাত্রই আত্মসমালোচনা করার এবং আরও দায়িত্বশীল হওয়ার পরামর্শ দেবেন। কেননা এক যুগ যে কত লম্বা সময়, তা কবি সৌগতবর্মন বা অভিজিৎ দাসের প্রেম ও বিরহের কবিতা পড়লেই উপলব্ধি করা যায়। আর মূলত যুগপূর্তি কেন্দ্র করে এবার এটিই আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবসের মূল প্রতিপাদ্য নির্ধারিত হয়েছে।
হ্যাঁ, এবারই আমাদের তথ্য অধিকার আইন প্রণয়ন, বাস্তবায়ন ও তথ্য কমিশনের যুগপূর্তি হয়েছে। নিঃসন্দেহে এক যুগেও দেশের সব জনগণ তথ্যে তার অধিকার বা মালিকানা সম্পর্কে জানতে পারেনি। যারা জানেন, তাদের অনেকেই স্পষ্ট বোঝেন না। বুঝলেও তার জীবনমান উন্নয়নে তা প্রয়োগ করেন না বা করতে পারেন না। এখনো সাধারণের ধারণা, তথ্যের মালিক রাষ্ট্র বা সরকার তথা আইনের ভাষায় কর্তৃপক্ষ। এটি কর্তৃপক্ষের নিজস্ব বিষয়। সর্বসাধারণ জানবে ততটুকুই, কর্তৃপক্ষ দয়া পরবশে যতটুকু যেভাবে জানাবে। আবার অনেকের ধারণা, এগুলো উন্নত বিশ^ বা পশ্চিমাদের বিষয়। অন্যদিকে তথ্য যারা দেবেন বা যাদের কাছে জনগণের তথ্য আছে- তাদের অনেকের এক যুগেও তথ্য গোপন রাখার সংস্কৃতি অথবা মানসিকতা কিংবা দৃষ্টিভঙ্গি বদলায়নি, গোপনীয়তার বেড়াজালে আটকে আছেন।
২০০২ সাল থেকে বিশ^ব্যাপী ২৮ সেপ্টেম্বর তথ্য জানার অধিকার হিসেবে দিবসটি পালিত হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৫ সালে ইউনেস্কো ও ২০১৯ সালে জাতিসংঘ কর্তৃক দিবসটিকে international day for universal access to information অর্থাৎ ‘আন্তর্জাতিক সর্বজনীন তথ্যে অভিগম্যতা দিবস’ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়ে দেশে দেশে পালিত হচ্ছে। মূল উদ্দেশ্য হলো সব মানুষের তথ্যে প্রবেশাধিকার নিশ্চিতকরণ। বাংলাদেশে তথ্য অধিকার আইন ২০০৯ আইনটি পাসের মাধ্যমেই সব নাগরিকের তথ্য চাওয়া, পাওয়া ও প্রয়োজনীয় সব তথ্যে সাবলীল প্রবেশ এবং এর প্রয়োগে উপকারভোগী হওয়ার আবশ্যিক ও আইনি স্বীকৃতি লাভ করেছে। তথ্যের অবাধপ্রবাহ সৃষ্টি ও জনগণের তথ্য অধিকার নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে তাদের ক্ষমতায়নের পথ রচিত হয়েছে। কর্তৃপক্ষের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি বৃদ্ধি, দুর্নীতি হ্রাস ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে গণতন্ত্র বিকাশের পথ সুগম হয়েছে। তাই যুগপূর্তিতে এর বাস্তবায়ন নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ জনস্বার্থেই প্রয়োজন।
পৃথিবীতে তথ্য জানার অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বিবর্তনের মধ্য দিয়ে। এর পেছনে অনেক দ্বন্দের ইতিহাস রয়েছে। তবে তথ্য জানার ধারণাটি মানবসভ্যতার ঊষাকাল থেকেই পৃথিবীতে বিরাজমান। আবার সাধারণ মানুষের অধিকার বঞ্চনার ইতিহাসের মতোই তথ্য বঞ্চনার পুরনো ইতিহাস রয়েছে। সভ্যতার ক্রমবিকাশের যে পর্যায়ে সমাজে শ্রেণিবিভাজন হয়েছে, ওই পর্যায়ে ক্ষমতাবানরা সাধারণ মানুষকে অন্ধ করে রেখেছে। তাদের বিত্তবৈভব, সম্পদ-স্বাচ্ছন্দ ও ক্ষমতাকে নিরাপদ রেখেছে। আবার সভ্যতার ক্রমবিকাশের যে পর্যায়ে গণতন্ত্র বিকশিত হয়েছে, ওই পর্যায় থেকেই জনগণের জানার অধিকারের বিষয়টি বিবেচনায় এসেছে। তাই গণতন্ত্র বিকাশের সঙ্গে চৎবংং ভৎববফড়স ও তথ্য অধিকারের সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড়। পঞ্চদশ শতকে যান্ত্রিক প্রেস আবিষ্কারের সঙ্গে সঙ্গে যেন বিপ্লব ঘটল। পুস্তক, সংবাদপত্র ও অন্যান্য প্রকাশনার বিস্তার ঘটতে থাকল। ছাপানো পুস্তক হাতে হাতে চলে গেল। ফলে বিভিন্ন ধারণা, চিন্তা, ভাব, বিশ^াস ও অনুভূতিরও দ্রুত বিস্তার ঘটতে থাকল। ক্ষমতাবান কোনো কোনো রাজনৈতিক ও ধর্মীয় কর্তৃপক্ষ এগুলোকে সত্যিকার ঈযধষষবহমব মনে করে রাষ্ট্রদ্রোহ বিবেচনায় প্রত্যেক্ষভাবে প্রকাশনায় হস্তক্ষেপ শুরু করল।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের মাধ্যমে বাঙালি জাতিকে জাগ্রত করে ধাপে ধাপে স্বাধীনতার মন্ত্রে দীক্ষিত করেন। তার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ আত্মপ্রকাশ করে। স্বাধীন বাংলাদেশে তিনি ১৯৭২ সালে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান রচনা করেন। জনগণকে সব ক্ষমতার মালিক হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করা হয়। সংবিধানে মানুষের সব মৌলিক অধিকারের সঙ্গে ৩৯ অনুচ্ছেদে চিন্তা, বিবেক ও বাকস্বাধীনতার অধিকার তথা তথ্য অধিকারকে নাগরিকের অন্যতম মৌলিক মানবাধিকার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করেন। এভাবেই তিনি প্রথমবারের মতো জাতিসংঘ অর্থাৎ বিশ^সভার সিদ্ধান্তের প্রতিফলন ঘটান। সংবিধানের ওই শক্তিতে ভর করে পরবর্তীকালে মানবাধিকারকর্মী, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব, একাডেমিসিয়ান, সুশীল সমাজ, বেসরকারি সংস্থা- সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় তথ্য অধিকার বিষয়ে আইনের খসড়া তৈরি করা হয়। ২০০৮ সালে অধ্যাদেশ হয়। ২০০৮ সালেই জাতীয় নির্বাচনের প্রাক্কালে তৎকালীন বৃহৎ দলগুলোর মধ্যে কেবল আওয়ামী লীগ তাদের নির্বাচনী ম্যানিফেস্টোয় তথ্যের অবাধপ্রবাহ নিশ্চিতকরণের অঙ্গীকার করে। ২০০৯ সালের ২৯ মার্চ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনেই তথ্য অধিকার আইনটি পাস করে, গেজেট প্রকাশ এবং কার্যকর ও কমিশন গঠন করে। তখন থেকেই বাংলাদেশে জনগণের ক্ষমতায়নে তাদের তথ্য অধিকার প্রতিষ্ঠার আইনি স্বীকৃতি পায়।
বাংলাদেশে তথ্য অধিকার আইন ২০০৯ একটি আধুনিক, অনন্য ও প্রাগ্রসর আইন। এই আইনের মাধ্যমে বিরাজমান বিভিন্ন নীতি, আদর্শ ও চেতনায় চধৎধফরমস ঝযরভঃ হয়েছে। এই আইনে জনগণ কর্তৃপক্ষের ওপর ক্ষমতা প্রয়োগ করে; কর্তৃপক্ষের কাজ, সেবা ও বাজেটের হিসাব চায়। অন্যান্য আইনে কর্তৃপক্ষ জনগণের ওপর ক্ষমতা প্রয়োগ করে। এসব কারণে অনেক বোদ্ধা আমাদের আইনটিকে আধুনিক ও প্রাগ্রসর বলে মনে করেন। আইনের মূল চেতনার সঙ্গে পুরোপুরি খাপ খাইয়ে নেওয়ায় বা এটিকে পরিপূর্ণভাবে উপলব্ধি করার জন্য সাধারণ মানুষ কিংবা কর্তৃপক্ষের কিছুটা সময়ের প্রয়োজন আছে বৈকি।
জনস্বার্থে প্রতিষ্ঠিত আইনটির বাস্তবায়নে যথেষ্ট ইতিবাচক পদক্ষেপ গৃহীত হয়েছে। অর্জনও নেহাত কম নয়। তথ্যপ্রাপ্তি, সংরক্ষণ, ব্যবস্থাপনা, প্রকাশ, প্রচার, অভিযোগ দায়ের, নিষ্পত্তি ইত্যাদি সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় প্রায় সব বিধি, প্রবিধি, নির্দেশিকা, সহায়িকা প্রভৃতি প্রণীত হয়েছে। সারাদেশে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন কর্তৃপক্ষে ৪২ হাজার ৪৫০ দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এসব কার্যালয়ে বিকল্প দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও আপিল কর্মকর্তা নিয়োজিত হয়েছে। তথ্য কমিশন থেকে কেন্দ্র ও সব জেলা ছাড়াও শুধু উপজেলা পর্যায়েই জনউদ্বুদ্ধকরণ অনুষ্ঠান ৫০৪টি, প্রশিক্ষণ কর্মসূচি ৫০৬টি এবং যথেষ্ট সংখ্যায় মতবিনিময় সভা-সেমিনার সম্পন্ন হয়েছে। তথ্য কমিশন ছাড়াও বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সংস্থা, গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান ও জাতীয় সব প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান এ ধরনের কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। বিভিন্ন গণমাধ্যমে ব্যাপক প্রচার; স্কুল, কলেজের সিলেবাসে অন্তর্ভুক্তকরণ ইত্যাদি হয়েছে। কেন্দ্রসহ বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস পালিত হয়। জনগণের তথ্য অধিকার বাস্তবায়নে সরকার সব শ্রেণির ব্যক্তির সমন্বয়ে সুনির্দিষ্ট ঞড়জসহ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, বিভাগ, জেলা ও উপজেলা অর্থাৎ ৪ স্তরে কমিটি গঠন করে দিয়েছে। তা ছাড়া মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের তত্ত্বাবধানে প্রতিটি মন্ত্রণালয়/বিভাগ অহহঁধষ চবৎভড়ৎসধহপব অমৎববসবহঃ (অচঅ) বাস্তবায়নে বাধ্যতামূলকভাবে জনগণের তথ্য অধিকার বাস্তবায়ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে। সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ ঘোষণার আওতায় তথ্যে অবাধপ্রবাহ নিশ্চিতকরণে তৃণমূল পর্যন্ত ইন্টারনেটের সমন্বিত নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠা, শক্তিশালী মোবাইল নেটওয়ার্ক স্থাপন, অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন প্রোগ্রামের আওতায় সারাদেশে স্থাপিত প্রায় ৫ হাজার ইউনিয়ন/পৌর ডিজিটাল সেন্টার তৃণমূলে তথ্যসেবা দিচ্ছে। তথ্যপ্রাপ্তি, সহজ ও নিশ্চিতকরণে ওয়েবসাইট স্থাপন ও সিটিজেন চার্টার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। তাই বাংলাদেশে এখন বিশ্বের সর্ববৃহৎ ওয়েব পোর্টাল রয়েছে। তৃণমূলে ইউনিয়ন পরিষদসহ দেশের প্রায় সব সরকারি কার্যালয়ের নিজস্ব ওয়েবসাইট রয়েছে এবং প্রতিটি ওয়েবসাইট খুললেই দেখা যায় তথ্যে মানুষের অভিগম্যতা নিশ্চিতকরণের পথ নির্দেশনাবিষয়ক একটি কর্নার রয়েছে। স্বপ্রণোদিত তথ্য প্রকাশ ও প্রচারের সব মাধ্যমকে উৎসাহিত করা হচ্ছে। ফলে দেশের প্রান্তিক পর্যায় পর্যন্ত ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে ঘরে বসেই তথ্যপ্রাপ্তির সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে, অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন সম্ভব হচ্ছে এবং উন্নয়নের মহাসড়কে প্রান্তিক জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হচ্ছে। ফলে সম্প্রতি জাতিসংঘে এসডিজি অগ্রগতি পুরস্কারে ভূষিত হওয়ার মাধ্যমে বিশ^দরবারে বাংলাদেশের গৌরবোজ্জ্বল অবস্থান সুদৃঢ় হয়েছে।
করোনা সংকটের শুরুতেই তথ্য কমিশন ভার্চুয়াল শুনানি কার্যক্রম গ্রহণ করে এবং এর সুফলও পাওয়া যাচ্ছে। কোনো পক্ষকেই ঢাকায় তথ্য কমিশনে সশরীরে হাজির হওয়ার প্রয়োজন হচ্ছে না। এতে অর্থ বা সময় যেমন সাশ্রয় হচ্ছে, তেমনি বিড়ম্বনা এড়ানো যাচ্ছে। ইতোমধ্যে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে তথ্য কমিশনে ১৭১টি অভিযোগের শুনানি সম্পন্ন হয়েছে। এর মধ্যে ১৬৪টি অভিযোগের চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হয়েছে। ভবিষ্যতে এ কার্যক্রমকে আরও বেগবান করা হবে এবং সবস্তরেই চালু করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার দল নির্বাচনী ম্যানিফেস্টোয় তথ্যের অবাধপ্রবাহ নিশ্চিতকরণের অঙ্গীকার করে তার নবগঠিত সরকার ২০০৯ সালে সংসদের প্রথম অধিবেশনেই তথ্য অধিকার আইন পাস এবং কার্যকর করে রাজনৈতিক সদিচ্ছার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছেন। শুধু তা নয়, প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীরা মহান সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বের মাধ্যমে, করোনা সংকট ছাড়াও সময়ে সময়ে ভিডিও কনফারেন্স বা প্রেস কনফারেন্স করে এবং মন্ত্রিসভা বৈঠকের আলোচিত ও গৃহীত সিদ্ধান্ত বিষয়ে নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে জাতির সামনে স্বপ্রণোদিত তথ্য প্রকাশের উদাহরণ সৃষ্টি করে যাচ্ছেন। সর্বশেষ সচিব সভায় প্রধানমন্ত্রী সুশাসন প্রতিষ্ঠায় দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সের বিষয়টি পুনর্ব্যক্ত করে বিভিন্ন অনুশাসন দিয়েছেন। উল্লেখ্য, স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও দুর্নীতি প্রতিরোধে তথ্য অধিকার আইন একটি বিশেষ হাতিয়ার।
সম্প্রতি জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী কয়েকটি অনুষ্ঠানে সরকারের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি বৃদ্ধিকল্পে স্বপ্রণোদিত তথ্য প্রকাশ এবং তথ্য অধিকার আইন প্রয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন। এভাবে তৃণমূল থেকে শুরু করে সব পর্যায়ের সম্মানিত জনপ্রতিনিধি কর্তৃক সব শ্রেণির মানুষকে নিয়ে জনগণের তথ্য অধিকার বাস্তবায়নকে একটি সামাজিক আন্দোলনে রূপ দিতে পারলে তথ্যে সর্বজনীন অভিগম্যতা দ্রুত নিশ্চিত হবে। বিশেষত সাধারণ নাগরিকের তথ্যে মালিকানাবোধ তৈরি হবে; তথ্য প্রদানে অনাগ্রহী বা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারীরা আরও সচেতন, দক্ষ এবং জনগণের প্রতি ইতিবাচক ও সংবেদনশীল হবেন; সব উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ এবং বাস্তবায়ন কর্মকা-ে জনগণের অংশীদারিত্ব প্রতিষ্ঠিত হবে; রাষ্ট্র, সরকার ও জনগণের মধ্যে সেতুবন্ধন রচিত হবে; আস্থার সম্পর্ক সুদৃঢ় হবে; গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক সব প্রতিষ্ঠান আরও সুসংহত হবে।
মরতুজা আহমদ : প্রধান তথ্য কমিশনার, তথ্য কমিশন