রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৫৯ অপরাহ্ন

মুহিবুল্লাহ কাদের টার্গেটে ছিলেন

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ৩ অক্টোবর, ২০২১
  • ১৫৩ বার

আরাকান রোহিঙ্গা ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের চেয়ারম্যান মুহিবুল্লাহ হত্যার পর দেশে ও বিদেশের ক্ষমতাবানদের দুঃখ ও বেদনাগুলো ভাষা পেয়েছে বেশ তীব্রভাবেই। আন্তর্জাতিক হিউম্যান রাইটস সংগঠনগুলো ও জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর মুহিবুল্লাহ হত্যার বিষয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বাংলাদেশকে এই হত্যার জন্য অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন, মুহিবুল হত্যায় যুক্তরাষ্ট্র মর্মাহত, স্বচ্ছ তদন্তের দাবি করেছেন বাংলাদেশের কাছে। উখিয়ার লম্বাশিয়া শরণার্থী শিবিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যরা প্রতিটি মোড়ে পাহারা বসিয়েছে। শরণার্থী রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মধ্যে কেবল আতঙ্কই বিরাজ করছে না, তারা তাদের নিরাপত্তার ব্যাপারে শঙ্কিত। পরিস্থিতি খুবই থমথমে। কারণ ১২-১৪টি রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গ্রুপ উখিয়ার বিভিন্ন শিবিরে এমনিতেই নাশকতায় লিপ্ত থাকে। মুহিবুল্লাহ হত্যার পর তারা গা-ঢাকা দিয়ে থাকলেও তাদের অস্ত্রগুলো মুখিয়ে রয়েছে যে কোনো পরিস্থিতিতে সক্রিয় হতে। উখিয়ার ২৪টি আশ্রয় শিবিরে পুলিশ-র‌্যাব-বিজিবি-এপিএনআর পাহারা দিয়েও কোনো কিছু করতে পারেনি। কারণ শিবিরগুলো পাহাড়ি এলাকায়। আর চলাচলের পথগুলো সংকীর্ণ। চোরাগোপ্তা হামলার জন্য রাতের বেলায় সন্ত্রাসীরা সুবিধাজনক অবস্থানেই থাকে বা থাকবে- এটা নিশ্চিত করেই বলা যায়।

চোর বা খুনে-সন্ত্রাসী গা-ঢাকা দেওয়ার পর পুলিশের উপস্থিতি পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টাকে আর যাই হোক, ভালো কোনো উদাহরণ হিসেবে দেখার কোনো কারণ নেই। অতীতে বহুবারই এমনটা আমরা দেখেছি। কিন্তু কোনো ফল হয়নি। আশ্রয় শিবিরগুলোর চারপাশে কাঁটাতারের বেড়া আছে। বাইরে আইনশৃঙ্খলার সশস্ত্র সদস্যরা পাহারায়, তার পরও কীভাবে শিবিরগুলোতে সন্ত্রাসীরা চোরাইপথে ইয়াবা-সোনা আনে এবং ভেতরের দোকানগুলোতে ব্যবসা চালায়, তার জবাব সবকিছুর আগে খুঁজে বের করতে হবে। ১২-১৪টি সশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুপ শিবিরগুলোতে থাকে আর পুলিশ-র‌্যাব তাদের আটকের কোনো আয়োজন করে না। তা হলে ওই রকম পাহারা বসানোর মানে কী? আমরা তো ধারণা করছি, আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্যই পুলিশকে রোহিঙ্গা শিবিরে রাখা হয়েছে। নিঃসন্দেহে বিষয়টি স্পর্শকাতর। কারণ সন্ত্রাসীরা নির্বিঘ্নে শিবিরে বাস করতে পারলে বাংলাদেশি পুলিশের সেখানে আইনশৃঙ্খলার দায়িত্ব পালনের দরকার নেই। শিবিরগুলো থেকে ওই সন্ত্রাসীদের আটক করলেই মুহিবুল্লাহ হত্যার আসল কারণ জানা যাবে। তা না হলে আসল কারণ জানা যাবে না।

সন্দেহ নেই মুহিবুল্লাহ ওইসব সন্ত্রাসী গ্রুপের স্বার্থহানিকর কাজে ব্যস্ত ছিলেন। অর্থাৎ রোহিঙ্গাদের রাজনৈতিক ও সামাজিক এবং রাখাইনে বসবাসের লক্ষ্যে ফিরে যাওয়ার কাজ করছিলেন, যাতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে দ্রুত কোনো পদক্ষেপ নেয়। রোহিঙ্গারা ফিরে যেতে পারলে বা তারা ফিরে গেলে সন্ত্রাসীদের আজকের যেসব অবৈধ ও জীবনহানিকর ইয়াবা ব্যবসা চলছে, তা হারাবে। সেই ক্ষতি তারা মেনে নিতে রাজি নয়। সে কারণেই মুহিবুল্লাহ হত্যার শিকার হয়েছে।

এখন এটা খুঁজে বের করা জরুরি নয় যে, এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে আরাকান রোহিঙ্গা সালভেশন আর্মি নাকি ডাকাত হাকিম নামের এক রোহিঙ্গা শরণার্থী সন্ত্রাসী। শরণার্থী শিবিরে থাকা সন্ত্রাসী গ্রুপগুলোকে চিরুনি অপারেশনের মাধ্যমে আটক করা কঠিন নয়। আর যদি তারা পালিয়ে যেতে পারে, তা হলে পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পালাবে, অন্য কোনোভাবে পালাতে পারবে না। কারো না কারো সহযোগেই তারা যেমন ইয়াবা ও সোনাসহ নানান অবৈধ ব্যবসা করছে, ঠিক পালানোর পথও তারা সেভাবেই করে নেবে। স্থানীয় অনেকেই বলেছেন, সন্ত্রাসীদের সঙ্গে যোগসাজশ আছে ওই এলাকার জনগোষ্ঠির নেতাদের। তারাও শামিল হয়েছে ওই অবৈধ চোরাচালানির সহযোগী হিসেবে। এই অভিযোগ সত্য কী মিথ্যা তা যাচাই করবে সরকার ও তার সহযোগী প্রতিষ্ঠান। তবে এটা মনে রাখতে হবে যে, স্থানীয়দের সহযোগ ছাড়া ইয়াবা-স্বর্ণ চোরাচালানের মতো ভয়াবহ অবৈধ ব্যবসা সন্ত্রাসীদের পক্ষে চালানো সম্ভব নয়।

যারা রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা দিতে সেখানে কর্তব্যরত তারা নিরাপত্তা দূরে থাক, আন্তর্জাতিক এনজিও, ইউএনএইচসিআরসহ আর সব এনজিও কর্মীর নিরাপত্তাও দিতে পারছে না। মুহিবুল্লাহকে খুন তার যেমন প্রমাণ, তেমনি প্রায়ই বিভিন্ন শিবিরে অব্যাহত গোলাগুলির ঘটনা, হত্যার কোলে ঢলে পড়ার খবর, ধর্ষণসহ নানা অপতৎপরতার খবর পড়লেই বোঝা যায় সেখান আইনের কোনো বালাই নেই। সাম্প্রতিককালের কয়েকটি পত্রিকার হেডিং তুলে দিলেই বোঝা যাবে, সেখানে কী চলছে, নিরাপত্তা কেমন। ‘উখিয়া সীমান্তে বিজিবির সঙ্গে গোলাগুলিতে নিহত ১’, ‘কক্সবাজারে বিজিবির সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত ২’, ‘ভাসানচর থেকে পালানো ১১ রোহিঙ্গা শরণার্থী উখিয়া শিবিরে আটক’, ‘৩ কেজি ক্রিস্টাল মেথ আইসসহ রোহিঙ্গা গ্রেপ্তার’, ‘মুহিবুল্লাহকে হত্যা করেছে প্রত্যাবাসন বিরোধীরাই’- এসব নিউজের কেন্দ্রবিন্দু শরণার্থী শিবিরগুলো, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে যে, রোহিঙ্গারা বসবাস করছে স্বাধীনভাবে। ১১ লাখ রোহিঙ্গার যদি নিরাপত্তা ও তাদের শিবিরগুলো সন্ত্রাসমুক্ত না রাখা যায়, তা হলে কী করা উচিত?

উচিত অতিদ্রুত তাদের রাখাইনে, মানে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো। কিন্তু এর প্রধান বাধা কেবল শিবিরগুলোর সন্ত্রাসী গ্রুপগুলোই নয়, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কোনো কোনো দেশ এর সঙ্গে জড়িত। রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা উখিয়া ও টেকনাফেই স্থায়ীভাবে বাস করতে চায় এবং অবৈধ ব্যবসা করতে চায়। কারণ এই অবাধ সুযোগ তারা হাতছাড়া করতে চায় না। কেউ বাধা হয়ে দাঁড়ালে তাকে হত্যা করতে পিছপা নয় তারা। মুহিবুল্লাহ হত্যার পেছনেও এমন হয়েছে কিনা খতিয়ে দেখা দরকার।

আমাদের কক্সবাজার জেলার সামাজিক ও সাংস্কৃতিক জীবন যে শরণার্থী রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী ও অভিবাসীপ্রত্যাশীদের কারণে প্রায়ই বিপর্যয়ের কবলে পড়ছে, তা কি দেশবাসী জানেন না? প্রশাসনের নজরে আছে এসব ঘটনার সবকিছু। মানবিক কারণে আশ্রয় দিয়ে সরকার এখন ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখে পড়েছে। উগ্রচণ্ড রোহিঙ্গাদের কী কী উদ্দেশ্য আছে, তা আমাদের জানা ও বোঝার দরকার নেই। প্রধানমন্ত্রী দয়াপরবশ হয়ে শরণার্থীদের জীবন বাঁচাতে গিয়ে দেশের ওই এলাকাটিকে সন্ত্রাস ও চোরাচালানের স্বর্গে পরিণত হতে দিয়েছেন। এটা তো তার অভিপ্রায় ছিল না বা এখনো তা নেই। আজকে রোহিঙ্গা শরণার্থীরা তেমনভাবে ছড়িয়ে না পড়লেও কালকে যে তারা ঢাকায় এসে পৌঁছাবে না, এ নিশ্চয়তা কে দেবে? আর আমরা কি জানি না, গত শতকের ৭ ও ৮-এর দশকে যেসব রোহিঙ্গা শরণার্থী আশ্রয় পেয়েছিল, তাদের সবাই তো আর ফিরে যায়নি। অনেকে পালিয়ে গিয়ে মিশেছে সমাজে। অনেকে পাড়ি জমিয়েছে বিভিন্ন দেশে। দীর্ঘকাল ধরে বাংলাদেশে অবস্থান করতে পারলে, তাদের একটা অংশ নানা কায়দায় দেশের মূল স্রোতের সঙ্গে মিশে যাবে এবং কেউ কেউ বাংলাদেশি পাসপোর্ট সংগ্রহ করে বিদেশেও পাড়ি জমাবে- এতে কোনো ভুল নেই। এ রকম অভিযোগ আমরা জেনেছি, শুনেছি। এর বাস্তবতাও আছে। আমাদের সমাজে পাকিস্তানি বিহারি শরণার্থীরা যেমন ১৯৭২ সাল থেকেই ধীরে ধীরে সমাজের মূল স্রোতে মিশে গেছে তেমনটাই হবে রোহিঙ্গা সাধারণ ও সন্ত্রাসীরা। ঘুষের বিনিময়ে বাংলাদেশে প্রায় সবই পাওয়া সম্ভব। রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের ১২-১৪টি গ্রুপের উপস্থিতিই তা প্রমাণ করে।

২.

মনে খুবই দুঃখ পেয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্তনি ব্লিঙ্কেন। মুহিবুল্লাহ হত্যার পর তার বিবৃতি ও টুইটে সে রকম কথাই তিনি বলেছেন। আমরা আরও কয়েকটি রাষ্ট্রের তরফে দুঃখ প্রকাশের বাণী পেয়েছি। তাদের দুঃখ যেভাবে প্রকাশিত হয়েছে, তাতে মনে হয় মুহিবুল্লাহ সত্যিই ভালো কাজ করছিলেন। আমরাও সেটাই বলি, মুহিবুল্লাহ একজন মানবিক গুণসম্পন্ন মানুষ হিসেবে দেশ থেকে বিতাড়িত মানুষের কল্যাণসাধন ও স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মতো মৌলিক কাজ করছিলেন। নিজে একজন শরণার্থী হয়েও তিনি রোহিঙ্গাদের দেশে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে রাজি করিয়েছিলেন। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশ সরকার আরও বেশি কিছু করেছেন বা করে চলেছেন, তা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় জানে। আমাদের মতো জনবহুল এবং অর্থনৈতিক সংগ্রামে ব্যস্ত দেশ ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে। তাদের জন্য ভাসানচরে সুন্দর সুন্দর আশ্রয়ণ প্রকল্পও করেছে। কিন্তু রোহিঙ্গারা নির্যাতিত হয়ে আমাদের দেশে আশ্রয় নিলেও তাদের মধ্যে লুকিয়ে থাকা কিছু সন্ত্রাসী তাদের অপকর্ম ত্যাগ করতে পারেনি। তারা চোরাকারবারে উৎসাহী ও ব্যস্ত। তারা দেশে ফেরার চেয়ে এ দেশে বসে চোরাই ব্যবসা করে আমাদের পরিবেশ নষ্ট করে চলেছে।

জাতিসংঘ সংশ্লিষ্ট দেশগুলো যদি চায়, তা হলে রোহিঙ্গা শরণার্থী সমস্যার রাজনৈতিক সমাধান হতে পারে, অতিদ্রুতই। তবে তাদের এটা অনুধাবন করতে হবে যে, যে কারণে বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে, তা দীর্ঘায়িত হলে আমাদের সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিবেশ-পরিস্থিতি ব্যাহত হবে। এবং তার সূচনাও হয়েছে বলেই মনে করা যায়। রাষ্ট্রই কেবল রোহিঙ্গা শরণার্থী নিয়ে ভাবিত নয়, দেশের সচেতন জনগোষ্ঠীও আজ অনেকটাই সন্ত্রস্ত। এই পরিস্থিতির অবসান দরকার।

মুহিবুল্লাহ হত্যার ন্যায়সঙ্গত বিচার হওয়া দরকার। এটা পৃথিবীর প্রায় সব দেশই চায়। কিন্তু গতকাল পর্যন্ত পুলিশ মুহিবুল্লাহ হত্যার কোনো মামলা করেনি। কেন করেনি এই রক্তাক্ত হত্যাকাণ্ডের বিবরণসহ মামলা? মুহিবুল্লাহর ছোট ভাই হাবিবুল্লাহ একজন প্রত্যক্ষদর্শী। তিনি হত্যাকারীদের তিনজনকে চিনতে পেরেছেন। কিন্তু তার কাছ থেকে এখনো কোনো তথ্য নেয়নি পুলিশ। মানবাধিকার যে চরম সংকটের মধ্যে নিপতিত হলো, মুহিবুল্লাহ হত্যা তারই এক নমুনা। দেশে দেশে নানা কায়দায় মানবাধিকার হরিত হচ্ছে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল চেষ্টা করেও মানুষের মতপ্রকাশের স্বাধীনতার বিষয়টিকে ক্ষমতাসীনদের কানে গ্রহণযোগ্য করে তুলতে পারেনি। বর্তমানে পৃথিবীর কর্তৃত্বপরায়ণ সরকারগুলো ক্ষমতার টুঁটিতে এমন চাপ দিচ্ছে যে জনগণের নাভিশ্বাস ওঠার জোগাড়। এ রকম পরিস্থিতির মধ্যে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা পরিস্থিতি গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মতো। দেশের সরকার ও জনগণ চায় শান্তি ও স্থিতিশীল থাক পরিবেশ-পরিস্থিতি। সেই সঙ্গে আশ্রিত রোহিঙ্গারা যাতে খুব দ্রুত দেশে ফিরে যেতে পারে তার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে মিয়ানমারের সামরিক ও রাজনৈতিক নেতাদের ওপর চাপ দিতে হবে। রোহিঙ্গা মুসলিমদের সঙ্গে মিয়ানমার সেনারা যে নৃশংস আচরণ করেছে, হাজার হাজার রোহিঙ্গা মুসলমানকে হত্যা করেছে, তাদের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিয়ে দখল করে নিয়েছে জায়গা-জমি, তা ফেরত দিয়ে সে দেশে রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। তাদের নাগরিকত্ব ফিরিয়ে দিয়ে এটা স্বীকার করতে হবে যে, রোহিঙ্গারা ওই দেশেরই নাগরিক ও আদিবাসিন্দাদের অংশ। মুসলিম বলে তারা বাংলাদেশের, বাংলায় কথা বলে, এর জন্য তারা ভিন্ন দেশের মানুষ বা বাসিন্দা এই প্রাগৈতিহাসিক ধ্যান-ধারণা পরিত্যাগ করতে হবে মিয়ানমার প্রশাসনকে। মানুষকে মানুষ হিসেবে গণ্য করতে হবে, ধর্ম দিয়ে নয়, কালচার দিয়ে নয়।

ড. মাহবুব হাসান : কবি ও সাংবাদিক

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019 bangladeshdailyonline.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com