মূত্রনালিতে গনোকক্কাস নামক রোগের জীবাণু প্রবেশের ফলে এ জাতীয় রোগের সৃষ্টি হয়। তবে এটি অন্য ধরনের ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাসের মাধ্যমেও ঘটে থাকে। আবার কখনো কখনো কোনো ধরনের সংক্রমণ ছাড়াই ঘটতে পারে। যেমন- মূত্রনালিতে আঘাত বা কোনো ধরনের অপারেশন হলে প্রদাহ সৃষ্টি হতে পারে। গনোরিয়া, সিফিলিস ইত্যাদি রোগের কারণেও এটি দেখা দিতে পারে।
নারীর ক্ষেত্রে এ রোগের উপসর্গগুলো হলো- জ্বর ও শরীর ঠা-া হয়ে যাওয়া, পেটব্যথা, বেদনাদায়ক মূত্রত্যাগ, ঘন ঘন প্রস্রাব বা মূত্রত্যাগ এবং তখন প্রস্রাবের প্রচ- চাপ অনুভব। তলপেটে চাপ দিলে ব্যথা অনুভব করেন, সেই সঙ্গে কারো কারো কোমরের পাশের দিকে অথবা পেছনে মাঝামাঝি অংশে ব্যথা বা খিল ধরার মতো কিছু মনে হয়। মাঝে মধ্যে বমি হতে পারে।
নববিবাহিত নারীদের মধুচন্দ্রিমা যাপনকালে প্রস্রাবের প্রদাহ হতে পারে। বেশিরভাগ নারীর সহবাসের পর জীবাণু মূত্রনালি দিয়ে মূত্রথলিতে প্রবেশ করে। তবে ছত্রাক বা ফাঙ্গাসজনিত কারণে হলে মূত্রনালির মুখ বা যৌনাঙ্গে অবশ্যই চুলকানির লক্ষণ থাকবে।
গর্ভধারণের দ্বিতীয় বা তৃতীয় ট্রাইমিস্টারে (১২/১৬ সপ্তাহ পর) ব্যাকটোরিয়ার আক্রমণে মূত্রনালির যন্ত্রণা দেখা দিতে পারে। কিছু কিছু নারীর হরমোনজনিত ওষুধ সেবনের কারণে ব্যাকটেরিয়া বেড়ে যেতে পারে। তবে তা মাত্র ২ ভাগ অথবা মেনোপজের সময় একটু বেশি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। অ্যালার্জিজনিত কারণে হলে অবশ্যই যোনিমুখের আশপাশ লাল হয়ে ফুলে উঠবে। থাকবে উষ্ণ চুলকানি। যারা অপরিষ্কার অবস্থায় স্পার্মিসাইড বা কৃত্রিম ডায়াফ্রাম ব্যবহার করেন বা সজোরে যৌনমিলন করেন, তাদের ক্ষেত্রে ঝুঁকিটা বেশি।
লেখক : অধ্যক্ষ, বরগুনা হোমিওপ্যাথিক মেডিক্যাল কলেজ