মারধর ও নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে বাধ্য হয়ে গত ১১ সেপ্টেম্বর ‘সা রে গা মা পা’খ্যাত গায়ক মাইনুল আহসান নোবেলকে তালাকের নোটিশ পাঠান তার স্ত্রী মেহরুবা সালসাবিল মাহমুদ। গতকাল বুধবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসলে নেটদুনিয়ায় শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা।
কাছে নোবেল দাবি করেন, সালসাবিল তাকে ‘বিষ খাইয়ে’ মারার চেষ্টা করেছিলেন। শুধু তাই না, নোবেলের পাসপোর্ট, জাতীয় পরিচয়পত্র গায়েব করে দিয়েছেন সালসাবিল। ব্যাংক থেকেও বড় অঙ্কের টাকা সরিয়েছেন তিনি।
এছাড়াও নোবেল জানান, বাংলাদেশের একজন বড় সেলিব্রেটি সালসাবিলকে হায়ার করেছে, তার ক্যারিয়ার নষ্ট করার জন্য। এছাড়াও স্ত্রী সালসাবিল সম্পর্কে নানা অভিযোগ করেন এই গায়ক।
এসব অভিযোগের সত্যতা যাচাই করতে যোগাযোগ করা হয় সালসাবিলের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘নোবেল মানসিকভাবে অসুস্থ। এই সময় ওর চিকিৎসা দরকার। বাধ্য হয়েই একজন বাঙালি নারী তার স্বামীকে তালাক দেয়। আমার বেলায়ও তাই হয়েছে। তালাক দেওয়ার পর এখন সে আমাকে নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে। আমি আজ-কালের মধ্যে ওর নামে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করবো।’
কী হুমকি দিচ্ছে জানতে চাইলে সালসাবিল বলেন, ‘আমার আশপাশের লোকজনদের মাধ্যমে নোবেল বলে বেড়াচ্ছে, আমাকে মেরে ফেলবে। আমাকে এসিড মারবে। আমার পরিবারের ক্ষতি করবে। আমার নামে নানা বাজে কথাও বলছে সে।’
নোবেলের অভিযোগ, বাংলাদেশের বড় একজন সেলিব্রেটি নাকি আপনাকে হায়ার করেছে, তার ক্যারিয়ার নষ্ট করার জন্য। এমন প্রশ্নের উত্তরে সালসাবিল বলেন, ‘বিষয়টি হাস্যকর। সে অন্যদের বলে বেড়াচ্ছে, জেমস (নগর বাউল’খ্যাত ব্যান্ড তারকা) নাকি আমাকে হায়ার করেছে। জেমস ভাই আমাকে চেনেন-ই না। আর সে কেন ওর ক্যারিয়ার নষ্ট করবে। আমাকে তার সঙ্গে জড়িয়ে নানা অপপ্রচার সে করছে। এছাড়াও আরও অনেক বাজে বাজে কথা বলছে, যা এখানে বলা যাচ্ছে না।’
ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই নানা বিতর্কের জন্ম দিয়ে আসছেন নোবেল। আর আপনারা সংসার শুরু করেছেন ২০১৯ সালের ১৫ নভেম্বর। এত কথা শোনার পরও কেন এক হলেন? ‘আমি নোবেলের পেছনের এসব কর্মকাণ্ডের কথা জানতাম না। জানলে কখনোই ওর সঙ্গে সংসার শুরু করতাম না’ বললেন তার স্ত্রী।
নোবেল দাবি করেছে, তার পাসপোর্ট, জাতীয় পরিচয়পত্র এবং ব্যাংক থেকেও বড় অঙ্কের টাকা নাকি আপনি সরিয়েছেন? উত্তরে সালসাবিল বলেন, ‘আমার সঙ্গে পরিচয় হওয়ার চার মাস আগে খুলনায় ও বন্ধুদের নিয়ে বেড়াতে গিয়েছিল। সেখানে ও তার পরিচয়পত্র হারিয়েছে। এ নিয়ে একটি জিডিও করা হয়েছে। আর ব্যাংক থেকে টাকার বিষয়টি শুধুই হাস্যকর। ওর টাকা আমি কীভাবে সরাবো।’
‘বিষ খাইয়ে’ হত্যাচেষ্টার অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সালসাবিল বলেন, ‘আমি ওকে কি বিষ খাওয়াবো! ও তো নিজেই বিষ খাওয়ার ওপরে থাকে। যেসব মাদক নোবেল গ্রহণ করে, তা বিষ থেকে কোনো অংশে কম না।’
সঙ্গে যোগ করে সালসাবিল আরও বলেন, ‘এমন কোনো নেশা নেই যা নোবেল করে না। হেরোইন, এলএসডি, ফেনসিডিল, মদসহ সকল নেশাই ও করে। এগুলো কি বিষ না? নেশা করেই আমার উপর নির্যাতন করত। কারণে-অকারণে মারধর করত।’