যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ইমপিচমেন্টের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভস বা প্রতিনিধি পরিষদে ভোটাভুটি হবে স্থানীয় সময় বুধবার। ক্ষমতার অপব্যবহার ও পার্লামেন্টের কার্যক্রমে বাঁধা দেয়ার অভিযোগে তাকে ক্ষমতাচ্যুত করা হবে কি না সে বিষয়ে এদিন ভোট দেবেন নিম্নকক্ষের এমপিরা।
মার্কিন পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে বিরোধী দল ডেমোক্র্যাটদের। ৪৩৫ আসনের হাউজে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে লাগবে ২১৮টি ভোট। ডেমোক্র্যাটদের এমপি আছেন ২৩৩ জন। তাই এখানে ট্রাম্পের অভিসংশনের পক্ষেই প্রস্তাব পাস হবে সেটি আশা করছে তারা।
নিম্নকক্ষ হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে ইমপিচের পক্ষে প্রস্তাব পাস হলে সেটি উঠবে উচ্চকক্ষ সিনেটে। সেখানে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে তথ্য-প্রমাণ উপস্থাপন করা হবে। তার ভিত্তিতে রায় দেবে সিনেট।
১০০ আসনের সিনেটে আবার ক্ষমতাসীন রিপাবলিকাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে(৫৩)। তাই সেখানে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে প্রস্তাবটি। প্রেসিডেন্টকে ক্ষমতাচ্যুত করতে হলে পার্লামেন্টের উভয় কক্ষেই পাস হতে হবে। তবে কিছুসংখ্যক রিপাবলিকান সিনেটরকে যদি যদি ডেমোক্র্যাটরা রাজি করাতে পারে প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে ভোট দিতে তাহলে সেটি অসম্ভব নয়।
এর আগে সর্বশেষ যে প্রেসিডেন্টকে ইমপিচ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল তিনি বিল ক্লিনটন। সেটা ১৯৯৮ সালের ঘটনা। ক্লিনটনের বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্টের প্রক্রিয়া শুরু করার জন্যে ভোট পড়েছিল হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে। কিন্তু সিনেটে তার দল ডেমোক্র্যাটদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় বেঁচে যান ক্লিনটন।
এর আগে এরকম ঘটনা ঘটেছিল ১৮৬৮ সালে। তৎকালীন প্রেসিডেন্ট এন্ড্রু জনসনের বিরুদ্ধেও ইমপিচমেন্টের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। তার ক্ষেত্রেও ক্লিনটনের মতো ঘটনা ঘটেছিল।
সুতরাং, ইমপিচমেন্টের অর্থ এটি নয় যে এর প্রক্রিয়া শুরু হলেই প্রেসিডেন্টকে তার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এখনও পর্যন্ত কোন প্রেসিডেন্টকে ইমপিচমেন্টের কারণে প্রেসিডেন্টের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়নি।