জেলের ভেতরে আরিয়ান খানের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। সাধারণ সেল থেকে তাকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে স্পেশাল ব্যারাকে। সেখানে শাহরুখপুত্রের ওপর ২৪ ঘণ্টাই নজর রাখছেন পুলিশ কর্মকর্তারা। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম থেকে জানা গেছে, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের (এনসিবি) কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদ ছাড়া জেলে আরিয়ান কারও সঙ্গে কথা বলছেন না। জেলের পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতেও তার সমস্যা হচ্ছে। অন্যদিকে সেখানকার খাবার না খাওয়ায় স্বাস্থ্যঝুঁকিতে আছেন শাহরুখপুত্র। যদিও ক্যান্টিন খরচ বাবদ সাড়ে চার হাজার রুপি পরিবারের কাছে থেকে পেয়েছেন তিনি। কিন্তু খাবারে তার অনীহা বেশি চিন্তায় ফেলেছে কারা কর্তৃপক্ষকে।
এদিকে জেলে কাউন্সিলিং চলছে ২৩ বছর বয়সী আরিয়ানের। এনসিবির নিয়ম অনুযায়ী, মাদককা-ে কাউকে গ্রেপ্তার করা হলে তার কাউন্সিলিংয়ের বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়। শোনা যাচ্ছে, কাউন্সিলিংয়ের সময় যথেষ্ট সহযোগিতাও করছেন আরিয়ান। সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, জেল থেকে বেরিয়ে সমাজের জন্য কাজ করার কথা জানিয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত ২ অক্টোবর রাতে মুম্বাই থেকে গোয়াগামী একটি বিলাসবহুল প্রমোদতরীতে অভিযান চালিয়ে ১০ জনকে আটক করে ভারতের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের (এনসিবি) কর্মকর্তারা। আটক হওয়া সেই ১০ জনের মধ্যে ছিলেন আরিয়ানও। একই অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয় শাহরুখপুত্রের দুই বন্ধু মুনমুন ধামেচা ও আরবাজ মার্চেন্টকে।