‘আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কে হচ্ছেন তা নেত্রী ও আল্লাহ জানেন’ বলে মন্তব্য করেছেন ওবায়দুল কাদের। বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগের ২১তম জাতীয় সম্মেলন মঞ্চ পরিদর্শন শেষে এসব কথা বলেন ক্ষমতাসীন দলের এ সাধারণ সম্পাদক।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মিশন ও ভিশন বাস্তবায়নে উপযোগী শক্তি হিসেবে আওয়ামী লীগকে গড়ে তোলাই সম্মেলনের মূল লক্ষ্য। জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর অঙ্গীকার থাকবে সম্মেলনে।
দ্বিতীয় মেয়াদে সাধারণ সম্পাদক কে হচ্ছেন এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, তা আল্লাহ এবং নেত্রী জানেন। তিনি বলেন, সম্মেলনে দলের গঠনতন্ত্র ও ঘোষণাপত্রে কিছু সংশোধনী আছে। নির্বাচনে যে প্রতিশ্রুতি আমরা দিয়েছি সে প্রতিশ্রুতি আমরা অক্ষরে অক্ষরে পালন করবো। সেই প্রতিশ্রুতি পালন এবং আমাদের নেত্রীর ভীষণ বাস্তবায়নে ট্রাডিশন এবং টেকনোলজির সমন্বয় ঘটিয়ে ব্যালেন্স করে আমরা আওয়ামীলীগকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
কাদের বলেন, সামনে আমাদের চ্যালেঞ্জ রয়েছে। বিজয়ের মাসে আমাদের এই জাতীয় সম্মেলন হতে যাচ্ছে। বিজয়কে সংহত করার ক্ষেত্রে কিছু কিছু বাধাও আছে। সাম্প্রদায়িক অপশক্তির কিছু ভিতিও আছে। জঙ্গিরা ভিতরে ভিতরে হামলার প্রস্তুতি নিতে পারে। তারা দেশ থেকে চলে গেছে এটা বলা যাবে না। তারা নিষ্ক্রিয় রয়েছে। ভেতরে ভেতরে তারা সক্রিয় রয়েছে বলে আমাদের বিশ্বাস। সেই জঙ্গিবাদকে দেশ থেকে মুলোৎপাটন করতে হবে। এটিও আমাদের সম্মেলনের অঙ্গিকার।
এক প্রশ্নের জবাবে সেতু মন্ত্রী বলেন, আমাদের সামনে যে চ্যালেঞ্জ আছে সে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সরকার কাজ করবে।
সরকার শক্তিশালী কখনও হবেনা যদি দল শক্তিশালী না হয়। দলের মধ্যে কিছু কিছু সমস্যা আছে সেগুলো দুর করে
একটি মর্ডান, স্মার্ট, আধুনিক
পার্টি হিসেবে আমরা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে দেশের জনগণের সামনে উপস্থাপন করতে চাই।
বিদায়ী কমিটির কতটুকু সফল মনে করছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সফলতার পাশাপাশি কিছু ব্যর্থতা ও আছে।
সর্বোপরি দেশের জনগণ আমাদের সফলতা ও ব্যর্থতার মূল্যায়ন করবেন।
সফলতা থাকলে সেখানে কিছু কিছু ব্যর্থতাও থাকে।
আমরা অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনে নবতর পথে যাত্রা করব।