বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় সনাতনী হিন্দু সম্প্রদায়ের বসতবাড়ি, মন্দির,পূজা মণ্ডপে হামলা এবং প্রতিমা ভাংচুরের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জারসি রাজ্যের সাউথ জার্সিতে বসবাসরত প্রবাসী হিন্দু সম্প্রদায়।
গত ১৯ অক্টোবর, মংগলবার রাতে ৫৭১, দক্ষিন পোমনা রোডে অবস্হিত হিন্দু জৈন মন্দিরে জাগরনী কালচারাল সোসাইটির উদ্যোগে আয়োজিত শারদীয় দুর্গোৎসবের শেষ দিনে এই প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন গৌতম নাগ, পিনটু রায়, শম্পা চক্রবর্তী প্রমুখ।
প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন,পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হিন্দুদের প্রাণের উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজায় দেশের বিভিন্ন স্থানে হামলা, প্রতিমা ভাংচুর ও পূজা অর্চনা ভন্ডুল করা হয়েছে। পূর্বেও এরকম পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
বক্তারা আরো বলেন, আগে সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনা ঘটতো নির্বাচন কেন্দ্রিক, এখন তা শুরু হয়েছে উৎসব কেন্দ্রিক , যা অত্যন্ত আশংকার।
বক্তারা বলেন, বর্তমান সরকার সব সময়ই বলে থাকেন, বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক দেশ। আমরাও তা অন্তরে ধারণ করি, লালন করি।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা অসাম্প্রদায়িকতার ফসল। কিন্তু যদি তাই হয়, তবে স্বাধীনতার এত বছর পরও কেন এই সাম্প্রদায়িক সহিংসতা! মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এই ঘটনার সাথে জড়িতদের শাস্তি হবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও এই নাশকতার সাথে জড়িতদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনার আশ্বাস দিয়েছেন। আমরা দ্রুত এর বাস্তবায়ন চাই।’
বক্তারা সরকারের কাছে আবেদন জানিয়ে বলেন, ‘যারা এ হামলার সাথে জড়িত তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিন, যাতে এই অপশক্তিরা বোঝে যে অন্যের ধর্মের ক্ষতি করে নিজের ধর্মের মহিমা প্রতিষ্ঠা করা যায় না, রাষ্ট্রও সে অপরাধ ক্ষমা করে না।
বিপুল সংখ্যক প্রবাসী হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন এই প্রতিবাদ সভায় যোগ দেন।তাদের অনেকেই প্রতিবাদস্বরূপ বুকে কালো ব্যাজ ধারন করেন।