বাংলাদেশের পাশাপাশি ওপার বাংলাতেও বেশ জনপ্রিয় চিত্রনায়ক ফেরদৌস। নব্বই দশক থেকে নিয়মিত কাজ করছেন সেখানেও। তবে লোকসভা নির্বাচনে প্রচারণায় অংশ নেওয়ার অপরাধে ২০১৯ সালে ভারত ভ্রমণের নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়েন ঢাকাই সিনেমার এই চিত্রনায়ক। অবশেষে সেই জটিলতা কাটিয়ে চলতি সপ্তাহে ভারত যাওয়ার অনুমতি পেয়েছেন ফেরদৌস।
এই অভিনেতা বলেন, ‘প্রায় আড়াই বছরের বেশি সময় পর ভারতের ভিসা পেয়েছি। দারুণ আনন্দ লাগছে। কারণ ১৯৯৮ থেকে নিয়মিত আমার সেখানে যাতাযাত। ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই দুই দেশে একসঙ্গে কাজ করেছি। সব সময় বলতাম, কলকাতা আমার সেকেন্ড হোম। ভারত সরকার ও আমার কলকাতার বন্ধুদের প্রতি কৃতজ্ঞতা।’
ফেরদৌস জানান, দ্রুতই পরিবার নিয়ে ভারত ভ্রমণে যাচ্ছেন তিনি।
এর আগে, ভারতের নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেওয়াটা তার ভুল হয়েছে; স্বীকার করে গণমাধ্যমকে ফেরদৌস বলেন, ‘অবশ্যই এটা আমার ভুল। আমি তো জানতাম না যে এমন কাজ করা যাবে না। আমাকে যারা নির্বাচনী প্রচারণায় নিয়ে গেছেন, তারাও জানতেন না আমি সেখানে যেতে পারব না। এটা অবশ্যই ভুল। জীবনে একটা উচিৎ শিক্ষা হয়েছে।’
উল্লেখ্য, ভারতের নিষেধাজ্ঞা থাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বায়োপিকে অভিনয় করতে পারেননি ফেরদৌস। ঐতিহাসিক এই সিনেমার একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে তার অভিনয়ের কথা ছিল। কিন্তু অনুমতি না পাওয়ায় সিনেমা থেকে সরে দাঁড়াতে হয় তাকে।