বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য একটি কার্যকরী আন্দোলন গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শনিবার সন্ধ্যায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন, দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, ড. আবদুল মঈন খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের দলের চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া অত্যন্ত অসুস্থ এবং তার চিকিৎসার জন্য আমরা আইনগত যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলাম, যে জামিন তার প্রাপ্য সেটা তাকে না দেয়ায় ইতিপূর্বে আমরা আমাদের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছি, আমরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছি এবং অবিলম্বে তাকে মুক্তি দেয়ার জন্য জোর দাবি জানানো হয়েছে। তার মুক্তির জন্য মুক্তির জন্য একটি কার্যকরী আন্দোলন গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, আগামী ৩০ ডিসেম্বর সেই কলঙ্কজনক নির্বাচন। যা বাংলাদেশের সবচেয়ে কলঙ্কজনক দিন হিসেবে আমরা মনে করি। যা বাংলাদেশের মানুষের অধিকারকে হরণ করেছে। সেই দিনটিকে গণতন্ত্র দিন হিসেবে পালন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, এই দিনটি যথাযোগ্য গুরুত্বের সাথে পালন করার জন্য জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট, বিশ দলীয় জোট এবং বিএনপি তারা তাদের কর্মসূচি গ্রহন করবেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আগামী ১৯ জানুয়ারি স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকী। জন্মবার্ষিকী যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করার জন্যে দলের যারা দায়িত্বে রয়েছে তাদেরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এবং যথাযোগ্য মর্যাদায় দেখতে পালন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, আগামী বছর স্বাধীনতার অর্ধশত বার্ষিকী। এই স্বাধীনতা অর্ধশত বার্ষিকী পালন করার জন্য একটি উপকমিটি গঠন করা হয়েছে। যে উপ-কমিটির সারা বছরে অর্ধশত বার্ষিকী পালন করার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করবেন। ড.খন্দকার মোশাররফ হোসেন সাপকে এই উপ কমিটির কনভেনার করা হয়েছে। কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়,ডক্টর মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান ও বেগম সেলিমা রহমান। তারা চাইলে কমিটিতে অন্যান্য সদস্য যোগ করতে পারবেন বলে জানান তিনি।
আওয়ামী লীগের সম্মেলনের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ একটি পুরনো ঐতিহাসিক রাজনৈতিক দল। নিঃসন্দেহে জাতি গঠনের, জাতির স্বাধীনতা সংগ্রামে, গণতন্ত্রের সংগ্রামে অতীতে অনেক গৌরবময় ইতিহাস রয়েছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে এদের হাতেই বারবার গণতন্ত্র নিহত হয়েছে। ১৯৭৫ সালে তার একবার বাকশাল গঠন করেছিল। আবার গত এক দশক ধরে সুপরিকল্পিতভাবে একদলীয় শাসন চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে। তারপরও আওয়ামী লীগ একটি রাজনৈতিক দল।
সকল রাজনৈতিক দলকে আমরা সবসময় সহযোগিতা করি। স্বাগত জানাই। আওয়ামী লীগের যখন নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে আমরা এটাকে স্বাগত জানচ্ছি। আমরা আশা করব নতুন যে কার্যকারী পরিষদ গঠিত হয়েছে। এই কার্যকরী পরিষদ অতীতের সব অপকর্ম ভুলে যেয়ে জনগণের অধিকারকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য অতি দ্রুত একটি নির্বাচনের ব্যবস্থা করবেন। যে নির্বাচনটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে হবে। যার মাধ্যমে মানুষের ভোটের অধিকারকে ফিরিয়ে দিবে।