সদ্য সমাপ্ত কাউন্সিলে দলের গঠনতন্ত্রে পরিবর্তন এনেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। তাদের সংশোধিত গঠনতন্ত্রে বলা হয়েছে, ২০২১ সালের মধ্যে ৩৩ শতাংশ নারী নেতৃত্ব নিশ্চিত করবে। তবে এ সংশোধন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে আইনসিদ্ধ হয়নি বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ৫৭তম কমিশন সভাশেষে রোববার বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি এ মন্তব্য করেন।
এক সাংবাদিক জানতে চান, শনিবার ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নতুন নেতৃত্ব নির্বাচিত হয়েছে। কাউন্সিলে দলটি তাদের গঠনতন্ত্র সংশোধন করে দলের সর্বস্তরে নারী নেতৃত্ব ৩৩ শতাংশ নিশ্চিত করার বাধ্যবাধকতা ২০২০ সালের পরিবর্তে ২০২১ সাল পর্যন্ত বাড়িয়েছে। গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশে (আরপিও) এখন পর্যন্ত ২০২০ সাল থাকার পরও তাদের গঠনতন্ত্রের এ পরিবর্তন আইনসিদ্ধ হয়েছে কি না? জবাবে সিইসি বলেন, আমাদের আইন অনুযায়ী, দলগুলোকে ২০২০ সালের মধ্যে সর্বস্তরে ৩৩ শতাংশ নারী সদস্য পদ পূরণ করতে হবে। রাজনৈতিক দল কীভাবে কী করছে, সেটা তাদের ব্যাপার। কোনো দল যদি শর্তটি পূরণ করতে না পারে, তখন আমরা বিবেচনা করবো।
নারী নেতৃত্ব নিশ্চিতের বিষয়ে সময় বাড়াবেন? জানতে চাইলে নূরুল হুদা বলেন, তখন পর্যন্ত কোনো দল যদি এটি পূর্ণ করতে না পারে, তখন সেটা বিবেচনা করা যাবে। এটা অ্যাডভান্স বলা যাবে না।
সিইসি বলেন, নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ভোটারদের নিরাপত্তার দায়িত্ব আমরা নেবো। তারা ভোট দিয়ে নিরাপদে বাড়ি ফিরবেন, সেই নিরাপত্তা আমরা নিশ্চিত করবো। তিনি বলেন, ভোটারদের উদ্দেশে বলছি, আপনারা ভোটকেন্দ্রে আসেন। নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ভোটারদের দায়িত্ব আমরা নেবো। সুতরাং ভোটাররা ভোট দিয়ে নিরাপদে বাড়ি ফিরবেন। সেই নিরাপত্তা আমরা নিশ্চিত করবো। তাই আহ্বান করবো-ভোটাররা যেন ভোট দিতে আসেন।
সিইসি বলেন, বর্তমান মেয়ররা নির্বাচন করতে চাইলে তাদের পদত্যাগ করে নির্বাচনে অংশ নিতে হবে। আর করপোরেশনের স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনার বিষয়টি নির্ধারণ করবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।
নতুন ৩৬টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলররা আদালতে গেলে আইনি জটিলতা সৃষ্টি হবে কিনা, জানতে চাইলে তিনি বলেন, সিটি করপোরেশনে ব্যক্তি কখন নির্বাচন হলো কি না হলো, সেটা নিয়ে কিছু বলা নেই আইনে। সিটির মেয়াদের কথা আইনে বলা আছে। তাই আইনি জটিলতা হবে না। নতুন ভোটার হবে ৩১ জানুয়ারির পর। তাই নতুন ভোটাররাও কোনো আইনি জটিলতা সৃষ্টি করতে পারবে না।
এই নির্বাচন কি সব দলের জন্য, নাকি একটি দলকে জেতানোর জন্য-এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি হুদা বলেন, এটা কোনো কথা হলো। নির্বাচন কমিশন কোনোদিন একটি দলের জেতার জন্য কাজ করে? সবার জন্য উন্মুক্ত। প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন হবে। এটা চিন্তা করার অবকাশ নেই।
তিনি বলেন, নির্বাচনে সেনা থাকবে না। পুলিশ, বিজিবি থাকবে। তবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন পরিচালনার জন্য প্রতি কেন্দ্রে দুইজন করে সেনা সদস্য থাকবে।