ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সহ সভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুরকে দেখতে হাসপাতালে গিয়ে শিক্ষার্থীদের বাধার মুখে পড়েন আওয়ামী লীগের নতুন প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম। ওই সময় তাদের সাথে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য উপস্থিত ছিলেন। শিক্ষার্থীরা এ সময় তাদেরকে উদ্দেশে ভুয়া ভুয়া শ্লোগান দেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রোববার রাতে ডাকসু ভিপি নুরসহ আহতদের দেখতে গেলে ঢামেকে আইসিইউর সামনে শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়েন আওয়ামী লীগের নতুন পদ পাওয়া এ দুই নেতা। সেখানে ৫ থেকে ১০ মিনিট ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে তাদের বাকবিতণ্ডা হয়। ওই সময় তাদের উদ্দেশে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন শ্লোগান দেন।
এক পর্যায়ে সেখান থাকা শিক্ষার্থীরা প্রশ্ন তোলেন যে, যারা মেরেছে (ছাত্রলীগ) তারাই আবার দেখতে এসেছে। প্রথমে তাদেরকে আইসিইউর ভেতর ঢুকতে দেয়া হয়নি। পরে শেষ পর্যন্ত বাধা উপেক্ষা করে আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের এ দুই নেতা আইসিইউর ভেতরে ঢোকেন।
উল্লেখ্য, রোববার বেলা পৌনে ১টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি নুরুল হক নুর ও তার অনুসারীদের ওপর হামলা চালায় মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতাকর্মীরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ডাকসু ভবনের মূল ফটক বন্ধ করে নুরের ওপর লাঠিসোটা নিয়ে হামলা করা হয়। এছাড়া বাইরে থেকেও মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতাকর্মীরা ইট-পাটকেল ছুড়েন। এতে নুরসহ বেশ কয়েকজন রক্তাক্ত হন।
জানা গেছে, মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের একাংশের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলের নেতৃত্বে অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী এ হামলায় অংশ নেন।
এ সময় ডাকসুর সদস্য ও ছাত্রলীগ নেতা রাকিবুল ইসলাম ঐতিহ্য তাদেরকে বাধা দিতে গেলে তাকেও শিবির আখ্যা দিয়ে লাঞ্ছিত করেন মঞ্চের নেতাকর্মীরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নুরসহ সবাইকে কক্ষের লাইট অফ করে দিয়ে মারধর করা হয়। আহত হয়ে কয়েকজন সেখানেই পড়ে আছেন। প্রক্টরিয়াল টিম গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করছেন। কয়েকজনকে অ্যাম্বুলেন্স এবং রিকশাযোগে হাসপাতালে নেয়া হয়।