কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবরের পূর্ণদৈর্ঘ্য মিউজিক্যাল ফিল্ম ‘গহীনের গান’ শুক্রবার দেশের ১৩টি সিনেমা হলে মুক্তি পায়। ব্যতিক্রমধর্মী এই চলচ্চিত্রটি গড়ে উঠেছে ৯টি গানের সমন্বয়ে। পৌনে দুই ঘণ্টার এই চলচ্চিত্রের কাহিনী, চিত্রনাট্য, সংলাপ রচনা ও পরিচালনা করেছেন কথাসাহিত্যিক সাদাত হোসাইন। আর এর বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন আসিফ আকবর, সৈয়দ হাসান ইমাম, তমা মির্জা, তানজিকা আমিন, আমান রেজা, কাজী আসিফ প্রমুখ।
ঢাকার বেশ ক’টি সিনেমা হলে খবর নিয়ে জানা যায়, প্রথম চলচ্চিত্র দিয়ে বাজিমাত করেছেন সংগীতের যুবরাজ’খ্যাত আসিফ। মুক্তির পর থেকে প্রতিটি শোই বলা যায় হাউসফুল। প্রচণ্ড শীত উপেক্ষা করেও আসিফ ভক্তরা ‘গহীনের গান’ দেখতে ভিড় করছে সিনেমা হলে। শুধু তাই নয়, ফেসবুজ জুড়েও চলছে চলচ্চিত্রটি নিয়ে বেশ আলোচনা।
রাজধানীর ঐতিহ্যবাহী মধুমিতা সিনেমা হলের মালিক ও চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির সভাপতি ইফতেখার উদ্দিন নওশাদ জানান, ‘গহীনের গান’ ব্যতিক্রমধর্মী একটি সিনেমা। এটি একটি মিউজিক্যাল ফিল্ম। মানুষ আজকাল সিনেমায় সব ধরনের বিনোদন চায়। এই সিনেমাটি কিন্তু সে ধরনের না। তাতে এতে খুব সুন্দর একটি মেসেজ আছে। তাই এর প্রতি দর্শকদের আগ্রহও বেশ ভালো। প্রচণ্ড শীতের মধ্যেও মানুষ সিনেমাটি দেখার জন্য আসছে। বেশ ভালোই যাচ্ছে সিনেমাটি।’
শ্যামলী সিনেমা হলের পক্ষ থেকে আহসানউল্লাহ হাসান বলেন, ‘আমাদের এখানে প্রতিদিন “গহীনের গান”র ৪টা শো হচ্ছে। প্রথম দিন হলভর্তি দর্শক ছবিটি দেখেছেন। এরপর দর্শক কিছুটা কম ছিল। তবে দর্শক উপস্থিতি ছিলো চোখে পড়ার মতো। বাণিজ্যিক ঘরানার ছবির বাজারে “গহীনের গান” বেশ ভালো চলছে। আসিফ ভক্তরা বেশ আগ্রহ নিয়ে ছবিটি দেখছে।’
যমুনা ব্লকবাস্টার সিনেমাসের পক্ষ থেকে ইমরান হোসেন বলেন, ‘প্রচণ্ড শীতের মধ্যেও প্রতিদিন এর দর্শক সংখ্যা বাড়ছে। আমাদের এখানে প্রতিদিন এর তিনটি করে শো হচ্ছে। শীত কমলে এর দর্শক সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশা করি। তাছাড়া আসিফ ভক্তদের কাছে ছবিটি ঘিরে উৎসব কাজ করছে। যা ছবি চলাকালীন সময় অনেকটাই স্পষ্ট হয়ে ওঠে।’
‘গহীনের গান’ প্রযোজনা করেছে বাংলাঢোল। এর বেশির ভাগ গানই লিখেছেন, সুর ও সংগীত করেছেন তরুণ মুন্সী। দুটি গান লিখেছেন রাজীব আহমেদ আর একটি লিখেছেন পরিচালক নিজে।