সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৪৭ পূর্বাহ্ন

মুক্তির সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিব শতবর্ষের যৌক্তিক মূল্যায়ন

ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী
  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২১
  • ১৪৯ বার

বিশ্ব ইতিহাসে প্রতিষ্ঠিত সত্য হচ্ছে, বাঙালি জাতির হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ সন্তান স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রামের সমন্বিত ফসল ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং লাল-সবুজ পতাকা খচিত স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ অর্জন।

বঙ্গবন্ধুর প্রত্যক্ষ নেতৃত্বে অপরিমেয় ত্যাগ-তিতিক্ষা এবং রক্তের বিনিময়ে পরিশুদ্ধ এ মহান মুক্তিযুদ্ধের পটভূমিতে ছিল বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামের বিশাল ও বিস্তৃত এক ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট।

কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক বিষয় হলো, স্বাধীনতা প্রাপ্তির কয়েক বছর না পেরোতেই এই যুগান্তকারী মহাযজ্ঞকে অতি কুৎসিত এবং অশোভন মিথ্যাচারের মোড়কে ভিন্ন ও বিভ্রান্ত খাতে প্রবাহিত করার অপচেষ্টা অব্যাহত ছিল, যা এখনো পরিপূর্ণভাবে মুক্ত হতে পারেনি। দীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রামের ফলে সৃষ্ট জনযুদ্ধের পরিবর্তে মহান মুক্তিযুদ্ধকে একটি নির্দিষ্ট সময়ের কাঠামোয় সামরিক যুদ্ধ হিসাবে চিহ্নিত করার ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রও হয়েছে।

নির্মম বাস্তবতা হলো, ইতিহাসকে সাময়িকভাবে পালটানো যায়; কিন্তু কালক্রমে ইতিহাসের অধ্যায় নিজের অবস্থানকে নিজেই সত্যের কাঠিন্যে সুদৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠা করে। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিব শতবর্ষের আড়ম্বর আয়োজন ঘিরে স্মরণযোগ্য পাণ্ডুলিপি পাঠোদ্ধারে নৈর্ব্যত্তিক দৃষ্টিভঙ্গিতে দেশবাসী, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্ম দেশকে উপলব্ধি করার বোধোদয়ে ঋদ্ধ হবে-এটুকু প্রত্যাশা করা মোটেও অমূলক নয়।

এটি সর্বজনবিদিত যে, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট মানবসভ্যতার পাঠচক্রে নিষ্ঠুর-নৃশংস-বর্বরতম হত্যাযজ্ঞের মাধ্যমে সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে শাহাদতবরণের কলঙ্কজনক কালো অধ্যায় রচিত হয়েছিল। ধারাবাহিকতায় স্বাধীনতা যুদ্ধে পরাজিত বাহিনীর কূট প্ররোচনা ও তৎকালীন সামরিক রাষ্ট্রযন্ত্রের প্রত্যক্ষ পৃষ্ঠপোষকতায় ১৯৭৮ সালের ২য় ঘোষণাপত্র আদেশ নং-৪ এর দ্বিতীয় তফশিল বলে সন্নিবেশিত সংশোধনী এনে বাংলাদেশের পবিত্র সংবিধানে অতি জঘন্য ও ন্যক্কারজনকভাবে ইতিহাসের সাবলীল ও শাশ্বত ধারাকে পালটানোর অশুভ প্রয়াস চালান হয়েছিল।

পবিত্র সংবিধানের শুরুতেই যে প্রস্তাবনা লিপিবদ্ধ ছিল, তার দ্বিতীয় লাইনে ‘জাতীয় মুক্তির জন্য ঐতিহাসিক সংগ্রাম (a historic struggle for national liberation)’ সন্নিবেশিত করে মহান মুক্তিযুদ্ধের পটভূমিতে ৫২’র ভাষা আন্দোলন থেকে একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধসহ সব আন্দোলন-সংগ্রামকে স্বীকৃতি দেওয়ার এক অসাধারণ যুক্তি ও চেতনা সক্রিয় ছিল। যৎসামান্য বিবেক-বুদ্ধিসম্পন্ন সচেতন যে কোনো ব্যক্তি সূক্ষ্মভাবে বিবেচনা করলে সংবিধানে উল্লেখিত জাতীয় মুক্তি ও ঐতিহাসিক সংগ্রাম অর্থাৎ ‘মুক্তি’ ও ‘সংগ্রাম’ প্রত্যয় দুটোর তাৎপর্য-গভীরতা-বিশালতা সহজেই অনুধাবন করতে পারবেন।

১৯৭২ সালে প্রণীত ও গৃহীত পবিত্র সংবিধানের এ মৌলিক বিষয়ের পরিবর্তন সাধন করে ১৯৭৮ সালে সংযোজিত হয়-‘জাতীয় স্বাধীনতার জন্য ঐতিহাসিক যুদ্ধ’। বস্তুতপক্ষে ১৯৭২ সালে সংবিধানে ‘জাতির মুক্তির জন্য ঐতিহাসিক সংগ্রাম’র স্থলে ‘জাতীয় স্বাধীনতার জন্য ঐতিহাসিক যুদ্ধ’ সন্নিবেশিত করে দীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রামকে পরিপূর্ণ অবজ্ঞায় শুধু ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের নয় মাসের একটি নির্দিষ্ট সময়কে কেন্দ্রীভূত করা এবং পরে ধারাবাহিকভাবে ইতিহাস বিকৃতির কূটকৌশলের আশ্রয় নেওয়ার বিষয়টি কারও অজানা নয়। অত্যন্ত চতুরতা ও অশুভ চক্রান্তের আড়ালে ইতিহাসের ধারা পালটানোর যে প্রাতিষ্ঠানিক অপপ্রয়াস এবং তারই কদর্য আলোকে দেশের দরিদ্র-নিরীহ এবং অধিকাংশ অশিক্ষিত জনগোষ্ঠী তথা বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বিভ্রান্ত করার লক্ষ্যে পরিচালিত ইতিহাস বিকৃতির হীন চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্রের বেড়াজালে আবদ্ধ করার অব্যাহত অপচেষ্টা দেশবাসী ঘৃণাভরে পর্যবেক্ষণ করেছে।

বিভিন্ন গণমাধ্যম, ইলেকট্রনিক্স মিডিয়া এবং ভাড়াটে লেখকদের সমাবেশ ঘটিয়ে সর্বস্তরে মিথ্যাচার ও বিবেক বর্জিত ইতিহাস-বিকৃতির নৈরাজ্য প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর দীর্ঘ সংগ্রামী জীবন, জেল-জুলুম, নির্যাতন-নিপীড়ন সহ্য করার গৌরবগাথা; তাকে ম্লান ও দেশবাসীর হৃদয় থেকে মুছে ফেলার অনাকাঙ্ক্ষিত-অনভিপ্রেত ও অশুভ গতিপ্রবাহের রুদ্ধতাকে চ্যালেঞ্জ করা দুরূহ ব্যাপার ছিল।

বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য তনয়া দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার দেশ পরিচালনায় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত না হলে ১৯৭২ এর সংবিধানে ফিরে যাওয়া এবং দেশ-জাতি ও দেশবাসীকে এই বিকৃত ইতিহাসের নগ্ন থাবা থেকে কোনোভাবে উদ্ধার করা যেত না।

বাংলাদেশের সর্বজনশ্রদ্ধেয় প্রগতিশীল সাহিত্যিক ও বুদ্ধিজীবী আবুল ফজলের ভাষায়, ‘বাংলাদেশের সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ও সর্বাধিক উচ্চারিত নাম শেখ মুজিবুর রহমান।

বাংলাদেশের ইতিহাসের তিনি শুধু নির্মাতা নন, তার প্রধান নায়কও। ঘটনাপ্রবাহ ও নিয়তি তাকে বারবার এ নায়কের আসনের দিকে ঠেলে দিয়েছে। বলা যায়, যেন হাত ধরে টেনে নিয়ে গেছে।

তাকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশের গত পঁচিশ বছরের ইতিহাস রচিত হতে পারে না। শত চেষ্টা করেও তার নাম ইতিহাস থেকে মুছে ফেলা যাবে না।

ইতিহাস দেয় না তেমন কিছু করতে। ইতিহাস নিজের অঙ্গ নিজে করে না ছেদন। শেখ মুজিব ইতিহাসের তেমন এক অচ্ছেদ্য অঙ্গ।

বাংলাদেশের শুধু নয়, বিশ্ব-ইতিহাসেরও।’ দেশ এবং দেশের বাইরে সব বিবেকবান ব্যক্তি, রাষ্ট্রনায়ক, লেখক ও বুদ্ধিজীবী; যে কারও লেখনীতে বঙ্গবন্ধুর অবদান আবিষ্কারে সাহিত্যিক আবুল ফজলের মতোই বিশ্লেষণ করা হয়েছে।

বাংলাদেশের স্বনামধন্য কৃতী সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও রাজনৈতিক ভাষ্যকার আবুল মনসুর আহমদের মতে, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক ১৯৪০-এ লাহোরে যা শুরু করেছিলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালে তা সমাপ্ত করেছেন। স্বাধীন সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের পবিত্র ফসল। এই মুক্তিযুদ্ধ একটি আকস্মিক বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এ ঘটনার একটা Dialectic আছে।

এ ঘটনার একটি ধারাবাহিকতা আছে। সে ধারাবাহিকতা ঐতিহাসিক বস্তুবাদ থেকে প্রতিষ্ঠিত। সেই বস্তুবাদের ঘটনা পরম্পরা মাইলস্টোনের মতো সুস্পষ্ট।

আমাদের এই স্বাধীনতা অতীত সংগ্রাম ও ঘটনাগুলোর সমষ্টিগত ফল। উল্লেখিত এসবের পিছনে রয়েছে সিপাহি বিপ্লব, স্বরাজ ও খেলাফত আন্দোলন, কৃষক-প্রজা আন্দোলন, পাকিস্তান আন্দোলন, ভাষা আন্দোলন, ৫৪’র যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ’৬৬-র ছয় দফা ও ’৬৯-র গণআন্দোলন এবং ’৭০-এর জাতীয় নির্বাচন।

উল্লেখিত আন্দোলন-ঘটনাগুলোর পর্যালোচনা ব্যতিরেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে বঙ্গবন্ধুর অতুলনীয় অবস্থানকে কোনোভাবেই সঠিক উপলব্ধিতে আনা যাবে না।

এসব উজ্জ্বল পটভূমিকে আড়ালে রেখে ’৭১-র মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে সংবিধান সংশোধনীর মাধ্যমে সামরিক যুদ্ধের ফসল হিসাবে আখ্যায়িত করা শুধু নির্লজ্জ অপপ্রয়াস নয়; বঙ্গবন্ধুর আকাশচুম্বী জনপ্রিয় কর্মকাণ্ডকে অস্বীকার করার একটি বিকৃত অভিলাষ ও দুঃস্বপ্নও বটে।

আমাদের সবার জানা, ১৯৪০ সালে বাঙালি নেতা শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকই পাকিস্তান আন্দোলন খ্যাত লাহোর প্রস্তাব পেশ করেছিলেন। ১৯৪৬ সালে সাধারণ নির্বাচনে মুসলিম বাংলার ভোটাররা প্রায় এক বাক্যে পাকিস্তানের পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন। তৎকালীন ভারতে মুসলিম প্রাধান্য প্রদেশগুলোর মধ্যে এটিই ছিল একমাত্র ব্যতিক্রম। তথাপি পাকিস্তানের ২৫ বছরের শাসনামলে এই পূর্ব বাংলার প্রতি পশ্চিমা শাসকগোষ্ঠীর নির্মম, আত্মঘাতী ও অদূরদর্শী ঔপনিবেশিক দুর্ব্যবহার সম্পর্কে সবাই সম্যক অবহিত। প্রকৃতপক্ষে সাবেক পাকিস্তান গণসমর্থিত কোনো রাষ্ট্র ছিল না। এই তথাকথিত রাষ্ট্রে ২৩ বছরে কোনো সাধারণ নির্বাচন এবং রাষ্ট্রের একটি শাসনতান্ত্রিক সংবিধান রচিত হয়নি। নয় বছরের চেষ্টায় যে একটি শাসনতন্ত্র রচিত হয়েছিল, একদিনের সামরিক আঘাতে তা সম্পূর্ণ ধূলিসাৎ করা হয়। পুরো ইতিহাস নির্মিত হয়েছে সামরিক ও বেসামরিক আমলাতান্ত্রিক চক্রান্ত ও নৈরাজ্যের ইতিবৃত্তে।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা দেখতে পাই দীর্ঘ সময়কাল ধরে বঙ্গবন্ধুর বিভিন্ন সংগ্রামী কর্মকৌশল। নিখিল ভারত (বঙ্গ) মুসলিম ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর থেকে ছাত্রদের মধ্যে দুটো গ্রুপ বিদ্যমান ছিল। একটি গ্রুপের পৃষ্ঠপোষকতা করতেন জিন্নাহ সাহেব এবং সমর্থক ছিলেন খাজা নাজিম উদ্দিন এবং অন্যটি ছিল প্রগতিশীল রাজনৈতিক আদর্শে উজ্জ্বল, যার পৃষ্ঠপোষক ছিলেন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী এবং তার সমর্থক শেখ মুুজিব। সে সময় থেকে বাংলার জনগণের প্রতি বঙ্গবন্ধুর অকৃত্রিম ভালোবাসা সুস্পষ্ট হয়েছে। পরবর্তীকালে ঢাকাকে রাজধানী করে পূর্ব-পাকিস্তান প্রদেশ সৃষ্টির পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের নিয়ে রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের পক্ষে বঙ্গবন্ধুর সেই সাংগঠনিক দক্ষতা আরও বেগবান হয়।

মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর নেতৃত্বে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ গঠিত হওয়ার সময় তিনি জেলবন্দি ছিলেন এবং সহ-সম্পাদকের গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত হন। ১৯৬৮ সালের ৬ ডিসেম্বর মওলানা ভাসানীর জনসভায় সংগ্রামী জনতার উচ্চারণ ধ্বনিত হলো ‘জেলের তালা ভাঙ্গব, শেখ মুজিবকে আনব’। তার পরবর্তী ইতিহাস ’৭০-র নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অভূতপূর্ব বিজয়-পূর্ব পাকিস্তানে ১৬২ আসনের মধ্যে ১৬০ আসনে জয়লাভ; যার ফলে পাকিস্তানের শাসন ক্ষমতার কর্ণধার তথা প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সব পথ উম্মুক্ত হয়। কিন্তু সামরিক জান্তা ইয়াহিয়া খান ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের এ বিজয়কে নস্যাৎ করার পরিকল্পনা করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ’৭১-র ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু ঘোষণা দেন, ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’।

সামরিক জান্তা ইয়াহিয়া বিভিন্ন আলোচনার নামে সময় ক্ষেপণের মাধ্যমে ভুট্টোর সঙ্গে ষড়যন্ত্রে আবদ্ধ হয়ে ২৫ মার্চ কালোরাতে ইপিআর, পুলিশসহ সব স্তরের নিরস্ত্র জনগণের ওপর ইতিহাসের নির্মম গণহত্যা পরিচালনা করে। মধ্যরাতে তারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে গ্রেফতার করার আগেই বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন। ওয়্যারলেসযোগে বঙ্গবন্ধু চট্টগ্রামে আওয়ামী নেতা জহুর আহমদ চৌধুরীর কাছে স্বাধীনতা ঘোষণার বাণী প্রেরণ করেন।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ২৬ মার্চের স্বাধীনতার ঘোষণা মুজিবনগরে ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল ৭০’র নির্বাচনে বিজয়ী সংসদ সদস্যদের সভায় আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদিত হয়, যা ১৯৭২ সালের ১০ এপ্রিল বাংলাদেশ গণপরিষদের স্বীকৃতি লাভ করে। স্বাধীনতার এই ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতেই মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক হিসাবে বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে মুজিবনগর সরকারের নেতৃত্বে পরবর্তী ৯ মাস সশস্ত্র যুদ্ধের মাধ্যমে ১৬ ডিসেম্বর স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা লাভ করে।

এ আলোচনা থেকে এটি অতি সুস্পষ্ট যে, হাজারো অপচেষ্টা করে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সংগ্রাম এবং স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে কোনোদিন কোনোভাবে বঙ্গবন্ধুর অবিস্মরণীয় নেতৃত্বকে খাটো বা আড়াল করা যাবে না।

ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী : শিক্ষাবিদ; সাবেক উপাচার্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019 bangladeshdailyonline.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com