জাতীয় পার্টির নবম কেন্দ্রীয় কাউন্সিলে আবারো চেয়ারম্যান হলেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ছোট ভাই ও জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের। পার্টির মহাসচিব হয়েছেন মসিউর রহমান রাঙ্গা।
শনিবার দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে পার্টির কাউন্সিলে তারা এসব পদে আগামী তিন বছরের জন্য নির্বাচিত হন।
এছাড়া বর্তমানে জাতীয় পার্টির ‘সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান’ পদে থাকা সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ দলটির ‘প্রধান পৃষ্ঠপোষক’ হয়েছেন।
কাউন্সিলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম তাদের নাম প্রস্তাব করলে উপস্থিত কাউন্সিলর ও ডেলিগেট এতে অনুমোদন দেন।
এর আগে সকালে কাউন্সিলের উদ্বোধন করেন পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের।
জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মৃত্যুর পর এবারই প্রথম দলটির কাউন্সিল হচ্ছে। এর আগে ৮টি কাউন্সিলই হয়েছে এরশাদের জীবদ্দশায় এবং তার উপস্থিতিতে।
জাতীয় পার্টির গঠনতন্ত্রে তিন বছর পরপর কাউন্সিল করার বিধান থাকলেও পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মৃত্যুর কারণে ২৮ ডিসেম্বর নবম কাউন্সিলের তারিখ নির্ধারণ করা হয়।
সর্বশেষ ২০১৬ সালের ১৪ মে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় পার্টির সর্বশেষ কাউন্সিল হয়। এতে দলটির প্রায় ৫০ হাজার কাউন্সিলর ও ডেলিগেটসহ লক্ষাধিক প্রতিনিধি যোগ দেন।
কাউন্সিলে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ কো-চেয়ারম্যানের পদ তৈরি করে তাতে ভাই জিএম কাদেরকে আসীন করেন। স্ত্রী রওশন এরশাদ তাতে ক্ষিপ্ত হলে পরে তার জন্য এরশাদ তৈরি করেন সিনিয়র কো-চেয়ারম্যানের পদ। এরশাদ চলতি বছরের ৫ মে তার জিএম কাদেরকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ঘোষণা করেন।
১৪ জুলাই ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান এরশাদ। এর চার দিনের মাথায় বনানীতে পার্টির চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা চেয়ারম্যান হিসেবে জিএম কাদেরের নাম ঘোষণা করেন।
এ সময় রওশনপন্থীরা পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করে রওশন এরশাদকে দলের চেয়ারম্যান ঘোষণা করে জিএম কাদেরের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ আনার কথা বলে। পরে দু’পক্ষের সমঝোতা হলে ৮ সেপ্টেম্বর আরেক সংবাদ সম্মেলনে রাঙ্গা জানান, জিএম কাদের পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবেই দায়িত্ব পালন করবেন। আর রওশন এরশাদ হবেন সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা।