নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, স্বাধীনতার পরে ৪৮ বছরে বাংলাদেশের কপালের যত কলঙ্ক তার সবচেয়ে বড় তিলকচিহ্ন আওয়ামী লীগের কপালে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে খুবই গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা পালন করবার জন্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কৃতিত্ব দাবী করবার অধিকার আছে। তেমনি বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচাইতে কলঙ্ক রচনা করবার ইতিহাসও সেই দলটির আছে। দল হিসেবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এক বছরে যে দুঃশাসন কায়েম করেছে সেটা পৃথিবীর ইতিহাসে নজিরবিহীন।
রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের উদ্যোগে ২০১৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর ভোট ডাকাতির প্রতিবাদে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
বিক্ষোভ সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য মঈন খান, জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না ও ঐক্যফ্রন্টের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
সরকারের কাছে আহ্বান জানিয়ে মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, যত দ্রুত সম্ভব পাটকল শ্রমিকদের দাবি মেনে নিন। আমি কোনো সময়, সীমার কথা বলছি না। যদি আর একটা লাশ পরে তাহলে কার পদ কি সেটা দেখার মত ইচ্ছা আমাদের থাকবে না। ৪৮ বছরে বাংলাদেশের কপালের যত কলঙ্ক তার সবচেয়ে বড় কলঙ্কের তিলকচিহ্ন আওয়ামী লীগের কপালে। সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ফোর টুয়েন্টিগিরি বাদ দিন। বিশ্ববিদ্যালয় মারামারি হয়েছে সবাই দেখেছে। সিসি ক্যামেরা আছে সেটা ছবি তুলেছে সেই ছবিগুলো কোথায়? এখন নূরের নামে মামলা হয়, রাশেদের নামে মামলা হয়। সেই সাথে আরও ২০ জনের নামে মামলা হয়। পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন এই অভিযোগ যদি সত্যি হয় তাহলে দোষীদের গ্রেপ্তার করা হবে। ছাত্র আন্দোলনকে সবাই ভয় করত, এই সরকারও করে। ডাকসুকে সবাই ভয় করত, এই সরকারও সেটা করে। আমরা আজও বলি নুরের উপর হামলা করা হয়েছে, নুর কারো উপর হামলা করেনি। নূর এবং অন্যদের নামে যে মামলা আছে তা অতি দ্রুত প্রত্যাহার করেন।
টকশো নয় টেলিভিশনের উপস্থাপকরা একেকটা নাটক বানাবার চেষ্টা করে এমন মন্তব্য করে মান্না বলেন, দু-একটা টেলিভিশন আছে তারা টকশো সাজায়। তারা আবার জিজ্ঞেস করে বহিরাগত কি ছিল? মনে হয় জীবনে তারা বহিরাগত দেখে নাই।
সাবেক এই ডাকসুর ভিপি বলেন, আমরা যখন মাঠে নেমেছি, আমরা মাঠে থাকবো। গণতন্ত্র উদ্ধার আন্দোলন নামে একটা সংগঠন আমরা করেছি। কালকে মৎস্য ভবনের সামনে আমরা একটা সমাবেশ করবো। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, গায়ের জোরে ক্ষমতা আমরা মানি না। এই ভোট মানি না, আপনাকে মানি না, আপনার সরকারকেও মানিনা।
তিনি বলেন, পুলিশ ছাড়া আওয়ামী লীগ নাই, পুলিশ লীগ মানেই আওয়ামী লীগ। পুলিশ জনগণের সন্তান, ওরা মানুষ। সুতরাং ওরা মানুষের পক্ষেই থাকবে। তিনি আরো বলেন, আজকে আমাদের ধিক্কার জানাবার দিন। জাতির ইতিহাসের এত বড় কলঙ্কের তিলক আগে কখনো লাগে নি। যেটা গত বছর ২৯ ডিসেম্বর রাতে লেগেছে। এই ভোট বাতিল করতে হবে, এই সরকার বাতিল করতে হবে, পার্লামেন্ট বাতিল করতে হবে। নেমে যেতে হবে সরকারকে। আজকে সেই শপথ নেয়ার জন্য আমরা এখানে দাঁড়িয়ে আছি।