আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং ডাকসুর সাবেক ভিপি তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে দেশ এখন তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে আমরা আওয়ামী লীগের পতাকা তুলে না দিলে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার বিচার হতো না, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হতো না। শেখ হাসিনা শুধু দেশে নয়, তিনি আন্তর্জাতিক পর্যায়ের নেতা।’
তোফায়েল আহমেদ শনিবার ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন। ছালীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়ের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের পরিচালনায় এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।এছাড়াও দর্শকসারিতে ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আবদুর রাজ্জাক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এবং তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
বক্তব্যের শুরুতে ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের পরিচয় করিয়ে দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক। এ সময় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের মধ্যে খালেদ মোহাম্মদ আলী, শেখ শহীদুল ইসলাম, বাহালুল মজনুন চুন্নু, ডা. মোস্তাফা জালাল মহিউদ্দিন, খ. ম জাহাঙ্গীর, আবদুল মান্নান, সুলতান মুহাম্মদ মনসুর, আবদুর রহমান, শাহে আলম, অসীম কুমার উকিল, মঈনুদ্দীন হাসান চৌধুরী, ইকবালুর রহিম, এনামুল হক শামিম, ইসহাক আলী খান পান্না, বাহাদুর বেপারী, অজয়কর খোকন, লিয়াকত সিকদার, নজরুল ইসলাম বাবু, মাহমুদ হাসান রিপন, মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী রোটন, এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ, সাইফুর রহমান সোহাগ, এস এম জাকির হোসাইন প্রমুখ মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শুধু রাজনৈতিক নেতা নন, তিনি রাজনীতির সীমানা পেরিয়ে এখন রাষ্ট্রনায়ক। বঙ্গবন্ধু দেশ স্বাধীনের জন্য ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ছাত্রলীগ-আওয়ামী লীগ, বঙ্গবন্ধু এবং বাংলাদেশ একই সুত্রে গাথা। তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। ঐক্যবদ্ধভাবে শেখ হাসিনাকে আমাদের সহায়তা করতে হবে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ছাত্রলীগে কোনো হত্যা মামলার আসামী এবং চাঁদাবাজের প্রয়োজন নেই। ছাত্রলীগকে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আদর্শ অনুসরন করে চলতে হবে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে মাথা উচু করে দাড়িয়েছে। ৪৪ বছরে একজন দক্ষ প্রশাসক, একজন দক্ষ কুটনীতিক এবং একজন সৎ রাজনীতিকের নাম শেখ হাসিনা।
সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালে দেশে না আসলে দেশের এতো উন্নয়ন হতো না, পদ্মাসেতু হতো না। সমুদ্র বিজয় ,মহাকাশ বিজয় হতো না। বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হতো না। শেখ হাসিনার ম্যাজিক নেতৃত্বের কারণে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।