সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫, ০৫:২৮ অপরাহ্ন

সিরাজগঞ্জ ইউপি আ.লীগের ৪৫ নেতাকর্মীর একযোগে পদত্যাগ

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ৮ এপ্রিল, ২০২২
  • ২৭৩ বার

সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার ভদ্রঘাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক খানের বিরুদ্ধে নির্যাতন ও সংগঠনবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগ এনে দলের সাধারণ সম্পাদকসহ ৪৫ নেতাকর্মী একযোগে পদত্যাগ করেছেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর বিষয়ক সম্পাদক হামিদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘৪৫ নেতাকর্মীর পদত্যাগপত্র আমি রিসিভ করেছি।’

পদত্যাগ করা নেতাকর্মীদের মধ্যে রয়েছেন- ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক টি এম মোস্তফা জয়, সহ-সভাপতি মো. আনিছুর রহমান, মো. নজরুল ইসলাম, এস এম লুৎফর রহমান বাবু, যুগ্ম সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম ভূঁইয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল ওয়াহব, কোষাধ্যক্ষ আব্দুল খালেক, আইন সম্পাদক বাবুলাল সাহা, সাংস্কৃতিক সম্পাদক মো. রুহুল আমিন, প্রচার সম্পাদক মো. আব্দুল লতিফ, দপ্তর সম্পাদক ছালাম খন্দকার, ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল হাইয়ুম, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মোছা. সিরিয়া বেগম, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. আবুল কাশেম, সহ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক লিটন সরকারসহ ৪৫ নেতাকর্মী।

পদত্যাগের বিষয়ে সাধারণ সম্পাদক টি এম মোস্তফা জয় জানান, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুল মালেক খান দীর্ঘদিন ধরে সংগঠনবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত রয়েছেন। সম্প্রতি তিনি নিজের বাহিনী দ্বারা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নজরুল ইসলামকে অপহরণ করে শারীরিক নির্যাতন করেছেন।

এ ছাড়া অপর দুই সহ-সভাপতি আনিছুর রহমান ও এস এম লুৎফর রহমান বাবুকে দিনে দুপুরে মারধর ও গালিগালাজ করেন। তিনি বিভিন্ন সময়ে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অন্তত ১৫ নেতাকর্মীকে নির্যাতন করেছেন। এসব বিষয় নিয়ে গত ৪ এপ্রিল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সভায় মোট ৬৪ জন সদস্যের মধ্যে ৫০ জন উপস্থিতি ছিলেন।

ওই সভায় আমরা ৪৫ জন একযোগে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ইতোমধ্যে পদত্যাগপত্র উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি/সম্পাদক বরাবর এবং জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি/সম্পাদক বরাবর প্রেরণ করা হয়েছে, বলেন টি এম মোস্তফা জয়।

এ বিষয়ে সভাপতি আব্দুল মালেক খান বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। মূলত এই কমিটির দুই গ্রুপের মধ্যে বালু মহল নিয়ে জটিলতা চলছে। আমি বিষয়টি সমঝোতার চেষ্টা করেছি বলে তারা সবাই এই মিথ্যা অভিযোগ করেছে। জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আমি নেতাকর্মীদের সহায়তা করে থাকি।’

জানতে চাইলে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট কে এম হোসেন আলী হাসান বলেন, ‘আমি আজ একটি পদত্যাগপত্র হাতে পেয়েছি। তবে বিস্তারিত এখন বলতে পারছি না।’

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019 bangladeshdailyonline.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com