পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলায় নদী-হ্রদের পানিতে ফুল ভাসিয়ে আজ মঙ্গলবার শুরু হয়েছে চাকমা ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর তিনদিনের সবচেয়ে বড় সামাজিক অনুষ্ঠান বৈসাবি। করোনার বাধা কাটিয়ে চিরচেনা রূপ ফিরে পেয়েছে উৎসবটি। আজ মঙ্গলবার সকালে পানিতে ফুল ভাসিয়ে নতুন বছরের জন্য শুভকামনা জানিয়ে গঙ্গাদেবীর কাছে প্রার্থনা করা হয়।
সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে ফুল বিজু উপলক্ষে শহরের রাজবাড়ীঘাট, পলওয়েল পার্ক, কেরানী পাহাড়সহ বিভিন্ন স্থানে প্রশাসন, সাংগঠনিক ও ব্যক্তিগত উদ্যোগে পানিতে ফুল ভাসানো হয়
রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ত্রিপুরাদের বৈসু, মারমাদের সাংগ্রাই, ম্রোদের চানক্রান, খিয়াংদের সাংগ্রান, খুমিদের সাংক্রাই, চাকমাদের বিজু ও তঞ্চঙ্গ্যাদের বিষুর আদ্যাক্ষর নিয়ে দাঁড়িয়েছে ‘বৈসাবি’। অনেকেই এই উৎসবকে সম্মিলিতভাবে ‘বৈসাবি’ বলে থাকেন।
এদিন সকালে চাকমা ছেলেমেয়েরা নদী-হ্রদে ফুল ভাসিয়ে পুরোনো বছরকে বিদায় দেয় ও নতুন বছরকে স্বাগত জানায়। সে সময় তারা সবার মঙ্গল কামনায় প্রার্থনা করে।
ঐতিহ্য অনুযায়ী, আজ চাকমা পরিবারের লোকজন ফুল দিয়ে তাদের ঘর সাজাবেন। আগামীকাল বুধবার উৎসবের প্রধান দিন ‘মূল বিজু’ উদযাপিত হবে। উৎসব শেষ হবে আগামী বৃহস্পতিবার ‘গজ্যাপজ্যা’ বা বিশ্রামের মধ্য দিয়ে।
এ বিষয়ে রাঙামাটির বিজু, সাংগ্রাই, বৈসু, বিষু, বিহু, সাংক্রান উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব ইন্টু মনি তালুকদার বলেন, ‘গত দুই বছর করোনার কারণে কোনো আনুষ্ঠানিকতা ছিল না। কিন্তু এ বছর চিরচেনা রূপ ফিরে পেয়েছে বৈসাবি উৎসব। এই ফুল বিজুর দিনে আমাদের একটাই কামনা আগামী দিনগুলোতে যেন পাহাড়ি বাঙালি সকলে মিলে সুখে শান্তিতে বসবাস করতে পারি।’