বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের সবচেয়ে বড় ধাক্কা আগামী ২০২৪ ও ২০২৬ সালে আসবে বলে জানিয়েছেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, এর মধ্যে প্রথম চাপটা আসবে চীন থেকে।
বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) ‘বাংলাদেশের বৃহৎ ২০টি মেগা প্রকল্প : প্রবণতা ও পরিস্থিতি’ শীর্ষক এক ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে এসব কথা জানান তিনি।
তিনি বলেন, বড় বড় অনেক প্রকল্পের দায়দেনা পরিশোধের সময় এগিয়ে আসছে, অর্থাৎ সাশ্রয়ী সময় শেষ হয়ে যাচ্ছে। এখন পরিশোধ করতে হবে দেনা।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য জানান, বাংলাদেশে ২০টি মেগা প্রকল্প চলমান। এসব প্রকল্পের মোট ব্যয় ৭০ দশমিক শূন্য ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বাংলাদেশী মুদ্রায় যা প্রায় ৫ লাখ ৫৬ হাজার ৯৫৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে বিদেশী ঋণই ৪৩ বিলিয়ন ডলার।
এসব ঋণের সবচেয়ে বড় অংশ রাশিয়া, জাপান ও চীনকে দিতে হবে বলে জানান তিনি।
‘ঋণের বড় অংশ যাবে রাশিয়ার কাছে ৩৬ দশমিক ৬ শতাংশ, দ্বিতীয় যাবে জাপানের কাছে প্রায় ৩৫ শতাংশ, আর তৃতীয় অংশ চীনের কাছে প্রায় ২১ শতাংশের ওপরে,’ বলেন তিনি।
অর্থাৎ এই মুহূর্তে বাংলাদেশ সব থেকে বেশি দেনাদার রাশিয়া, চীন ও জাপানের কাছে। দেনার গ্রেস পিরিয়ড শেষ হয়ে যাচ্ছে। সব থেকে বড় বড় অংকের দেনা ২০২৪ ও ২০২৬ সালে পরিশোধ করতে হবে বলে জানান দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
তিনি বলেন, রাশিয়া ও চীনকে বেশি দেনা পরিশোধ করতে হবে। এর মধ্যে ২০২৪ সালে চীনকে দেনা পরিশোধ করতে হবে বেশি। পদ্মাসেতু দেশীয় অর্থায়নে বাস্তবায়নের কারণে অন্যান্য খাতে টাকা কমিয়ে দেয়া হয়েছে।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য আরো বলেন, মেগা প্রকল্পগুলোতে অনুদান এসেছে জাতিসঙ্ঘ ও জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) থেকে।