রাজধানীর তুরাগ থানার রাজাবাড়ী এলাকায় রিকশার গ্যারেজে বিস্ফোরণে দগ্ধ শফিকুল ইসলাম (৩২) নামে আরো একজন মারা গেছেন। এ নিয়ে বিস্ফোরণের ঘটনায় আহত আট জনের মধ্যে সাতজনেরই মৃত্যু হলো। আর একজন যিনি এখনো বেঁচে আছেন তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
সোমবার (৯ আগস্ট) রাত সাড়ে ৮টার দিকে শেখ হাসিনার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান শফিকুল।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শেখ হাসিনার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা: এস এম আইউব হোসেন।
তিনি বলেন, তুরাগ এলাকা থেকে রিকশার গ্যারেজে বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়ে আটজন আমাদের এখানে এসেছিল। তাদের মধ্যে শফিকুল ইসলাম চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তার শরীরের ৮০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। এ ঘটনায় এখনো একজন চিকিৎসাধীন আছেন। আটজনের মধ্যে সাতজনই মারা গেছেন।
বর্তমানে মো: শাহীন (২৫) হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তার চিকিৎসা চলছে।
এর আগে মারা যাওয়া ব্যক্তিরা হলেন, গ্যারেজটির মালিক গাজী মাজহারুল ইসলাম (৪৭), রিকশাচালক আল-আমিন (৩০), মো: মাসুম আলী (৩৫), মো: আলম (২৩), নূর হোসেন (৬০) ও শাহিন (২৬)।
শনিবার (৬ আগস্ট) দুপুরে তুরাগ থানার রাজাবাড়ী এলাকায় রিকশার গ্যারেজে কেমিক্যাল বিস্ফোরণে আটজন দগ্ধ হন। পরে তাদের উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে নেয়া হয়।
দগ্ধদের হাসপাতালে নিয়ে আসা মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম নামে একজন জানিয়েছিলেন, উত্তরা কামারপাড়া এলাকার ওই রিকশা গ্যারেজের পাশে ভাঙারির ব্যবসা রয়েছে। ওই দোকানে হঠাৎ বিস্ফোরণ হয়। এতে রিকশার গ্যারেজে থাকা আটজন গুরুতর আহত হন।