ভোটার তালিকা হালনাগাদ করার সময় সীমা ৩০দিন থেকে বাড়িয়ে ৬০ দিন করার বিধানের প্রস্তাব করে ‘ভোটার তালিকা (সংশোধন) আইন ২০২০’ নামে একটি বিল সোমবার সংসদে উত্থাপন করা হয়েছে।
এছাড়া অর্ডিন্যান্স রহিত করে ‘বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন আইন ২০২০’ নামে আরেকটি বিলও সংসদে উত্থাপিত হয়েছে।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠক চলাকালে সন্ধ্যায় আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বিল দুটি উত্থাপন করেন। পরে বিল দু’টি অধিকতর পরীক্ষা নিরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
‘ভোটার তালিকা সংশোধন আইন ২০২০’ বিলে ২০০৯ সালে প্রণীত ভোটার তালিকা আইনের ১১ ধারার ১ উপধারা সংশোধনের প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে জাতীয় ভোটার দিবসে’র সাথে মিল রেখে কম্পিউটার ডাটাবেজে সংরক্ষিত বিদ্যমান ভোটার তালিকা হালনাগাদ করার সময়সীমা প্রতি বৎসর ২ জানুয়ারি হতে ৩১ জানয়ারির পরিবর্তে ‘২ জানুয়ারি হতে ২ মার্চ’ প্রতিস্থাপন করার প্রস্তাব করা হয়েছে। বিলটি আইনে পরিণত হলে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করার সময়সীমা ৩০ দিন থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৬০ দিন হবে।
‘বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন আইন ২০২০’
১৯৬১ সালে প্রণীত ৩৫টি ধারা সম্বলিত ‘রোড ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশন অর্ডিন্যান্স’ যুগোপযোগী করতে ২৯ ধারা সমন্বয়ে ‘বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন আইন ২০১৯’ প্রস্তুত করা হয়। গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে আইনটি মন্ত্রিসভা অনুমোদন দেয়।
বিলে ‘বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন’-এর জন্য এক হাজার কোটি টাকা মূলধনের প্রস্তাব করা হয়েছে। এই মূলধন একশ’ কোটি সাধারণ শেয়ারে বিভক্ত হবে। ৫১ শতাংশ শেয়ার সরকরের মালিকানায় থাকবে। অবশিষ্ট ৪৫ শতাংশ শেয়ার জনগণের কাছে বিক্রির বিধান রাখা হয়েছে। এছাড়া বিলে ২৩ সদস্য বিশিষ্ট ‘বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন পরিচালনা পরিষদ গঠনের বিধান রাখা হয়েছে। এতে স্থানীয় সরকার, মন্ত্রিপরিষদ, অর্থ, সড়ক পরিহবণ ও মহাসড়ক এবং জননিরাপত্তা বিভাগ, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়, ডিটিসিএ, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর, শেয়ার হোল্ডারদের প্রতিনিধি এবং প্রশাসনিক বিভাগের প্রতিনিধি থাকবে।