বিশ্বজুড়ে ‘ডলার সাম্রাজ্যবাদ’ আবার হানা দিয়েছে। পৃথিবীর বহু দেশ ডলারে কারবার করে মারাত্মক লোকসানের ঘানি টানছে। যুক্তরাষ্ট্রে যাদের পণ্য রফতানি হয় আপাত দৃষ্টিতে মনে হতে পারে তারা ভালো ব্যবসায় করছে। কিন্তু যাদের রফতানি দেশের মোট আমদানির সামান্যই, ডলারের রফতানি আয়ে স্বস্তি লাভ করা তাদের জন্য সত্যিই এক বড় ধরনের আত্মপ্রবঞ্চনা। বিশ্বব্যাপী মুদ্রা বিনিময় হারে যে অস্থিরতা চলছে তার পেছনেও রয়েছে ‘ডলার সাম্রাজ্যবাদ’। ডলার ঋণ নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর এখন মাথায় হাত! সাধারণ এবং কতকটা অবিকল্প বিনিময় মাধ্যম হয়ে জেঁকে বসা ডলারের ওপর কার্যত একক নির্ভরশীলতা ছোট দেশগুলোর অর্থনৈতিক মেরুদণ্ড ভেঙে দিতে চলেছে। এখনো কি বিশ্ববাসীর ডলারের মোহ কাটবে না?
উন্নয়নশীল ও স্বল্পোন্নত দেশগুলোর ঝুঁকিই বেশি। কেননা তাদের নিত্যপণ্য, শিল্পের কাঁচামাল, যন্ত্রপাতি ও সেবাপণ্য বেশির ভাগই আমদানি করতে হয়। তাদের রফতানির জন্যও প্রসেসিং প্রক্রিয়া প্রযুক্তিনির্ভর বিধায় সেগুলো আমদানি করতে হয়। যে দেশ থেকে মোটা অঙ্কের আমদানি বিল মেটাতে হয়, তাদেরও নিজস্ব মুদ্রা রয়েছে। যেমন- সুইস ফ্রাংক, রাশিয়ান রুবল, ব্রিটেনের পাউন্ড, ইতালিয়ান লিরা, ফ্রান্সের ফ্রাংক, চীনের ইউয়ান বা আরএনবি, অস্ট্রেলিয়ার নিজস্ব ডলার, সমগ্র ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের ইউরো ইত্যাদি। কিন্তু আমদানির ঋণপত্র (এলসি) খুলতে গেলে সবার চোখ পড়ে ওই সর্বনাশা ডলারের দিকেই। বিশ্বের মোট বাণিজ্যের প্রায় অর্ধেকটাই লেনদেন হয় মার্কিন ডলারে। অথচ ডলার কোনো বহুজাতিক বা বহুপাক্ষিক কিংবা আঞ্চলিক মুদ্রা নয়; নিতান্তই যুক্তরাষ্ট্রের নিজস্ব জাতীয় মুদ্রা। ডলারের মালিক হলো মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভ।
অথচ পৃথিবীর অর্ধেক ব্যবসায় চলে সেই ডলারে। তাহলে বিশ্ববাসী মুদ্রার সুবিচার বা ন্যায্য অংশ পায় কিভাবে? ১৯৫৬ সালে রোম চুক্তির ফলে ডলারের একচেটিয়া প্রভাব যেন উইলিয়াম বেন্টিংকের ‘চিরস্থায়ী বন্দোবস্তে’ পরিণত হয়েছে। ডলারের এই একচেটিয়া রাজত্ব চলেছে প্রায় ৪০ বছর ধরে।
১৯৯৫ সালে প্রথম মহাদেশীয় ঐক্যবদ্ধ মুদ্রা ইউরো মাথা সোজা করে দাঁড়াতে শুরু করে। ইউরো সেই অর্থে মহাদেশীয় ঐক্যের শুধু মুদ্রা প্রতীকই নয়, ডলার সাম্রাজ্যবাদকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানোরও এক সাহসী পদক্ষেপ। ব্রিটেন স্বার্থপরের মতো বেঈমানি করে ব্রেক্সিটের মাধ্যমে মহাদেশীয় ঐক্য সংঘ থেকে ফারাক না হয়ে গেলে ইউরো এতদিনে আরো তেজি ও তাকতসম্পন্ন হয়ে উঠতে পারত। ব্রিটেন ইউরোপের দেশ। কিন্তু সংসার করে মহাসমুদ্রের ওপারে। তার আনুগত্য সবসময়ই তার মার্কিন বড় কুটুমের সাথে। আমেরিকাই বা এমন উপযাচক মিত্রের স্বেচ্ছামৈত্রীকে বরণ করবে না কেন? দুই দু’টি মহাযুদ্ধে ধ্বংস হয়েছে ইউরোপ। কিন্তু লাভের ফসল ঘরে তুলেছে আমেরিকা। ভূগোল সব সময়ই তাদের পক্ষে।
দরিয়ার ব্যবধান সব সময়ই তাদের জন্য আশীর্বাদ বয়ে এনেছে। ব্রেটন উড চুক্তি কিংবা রোম চুক্তির মতো সমঝোতা মার্কিন ক্ষমতার মতো ডলারের একাধিপত্যকেও করেছে নিষ্কণ্টক, অপ্রতিরোধ্য। বিশ্বকে তারা সাহায্য করেছে যতটা, বিশ্ব থেকে লুট করেছে তার চেয়ে অনেক বেশি। তাদের মার্শাল পরিকল্পনা যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউরোপকে নতুন করে গড়ে তোলার ছলে বিশ্বের এক বড় অংশকে পথের কাঙাল বানিয়েছে। শিল্প বিপ্লবের সূচনা হয়েছে ইংল্যান্ডে; কিন্তু তার সমুদয় লভ্যাংশ স্তূপীকৃত হয়েছে ডলারের ভাঁড়ারে।
১৯১৪ সালে প্রথম ডলার (বিল নোট) ছাপা শুরু হওয়ার আগেই যুক্তরাষ্ট্র কার্যত গোটা বিশ্বের সব স্বর্ণ মজুদের এক বড় অংশ হাতিয়ে নেয়। কেননা, প্রথম ও দ্বিতীয় মহাযুদ্ধে যুদ্ধরত রাষ্ট্রগুলো মার্কিন অস্ত্রপাতি ও যুদ্ধসরঞ্জামের দেনা শোধ করত স্বর্ণ দিয়ে। তখন বিশ্বজুড়ে স্বর্ণই ছিল বিনিময়ের একমাত্র ধাতব স্ট্যান্ডার্ড। ৪৪টি দেশের প্রতিনিধিরা যখন আমেরিকার নিউ হ্যাম্পসায়ারের ব্রেটন উড শহরে মিলিত হয় তখন আমেরিকাই তাদের দিয়ে স্বর্ণ স্ট্যান্ডার্ডের প্রথা রহিত করে ইউএস ডলারে লেনদেনের মাধ্যম বানায়। কারণ ডলারের মানই ছিল স্বর্ণমানের সমতুল্য আর সেই স্বর্ণ তো আমেরিকা এর আগেই সারা বিশ্ব থেকে হাতিয়ে নিয়েছে! এরপর থেকে শুরু হয় কাগুজে ডলার নোট বিনিময় করে বাকি ধাতব স্বর্ণ হাতানোর পালা। বিশ্বজুড়ে বিরাজিত স্বর্ণ চাহিদা মেটাতে প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সনই প্রথম মুদ্রাবাজারে হস্তক্ষেপ করে ডলারকে স্বর্ণ ধাতু থেকে ফারাক করার অসীম সাহসী পদক্ষেপ নেন।
আমেরিকার ফেডারেল রিজার্ভ চক্র ডলারের প্রতাপ খর্ব করার নিক্সনীয় ‘বীরত্ব’ মোটেই ভালো চোখে দেখেনি। তার বদলা হিসেবে নিক্সন প্রশাসনকে কুপোকাত করার জন্য নেমে আসে ওয়াটারগেট কেলেঙ্কারি। ক’জনই বা আমরা সেই সব গোমরের কথা জানি? কিন্তু প্রেসিডেন্ট নিক্সন ডলারকে স্বর্ণ থেকে জুদা করলেও যে বিনিময় হার প্রথা প্রবর্তন করেন, তার জের আজ পর্যন্ত চলছে। ডলার একচ্ছত্র রিজার্ভ কারেন্সি হওয়ার সুবাদে নগদ ডলার ছাড়া শুরু হয় সমান্তরাল অনুপাতে ইউএস ট্রেজারি বন্ডের দৌরাত্ম্য। বিশ্বের সব কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ মুদ্রা হয়ে ডলারের মজুদ আজ এই ২০২২ সাল পর্যন্ত ১৩.৪ ট্রিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ আমেরিকার নিজস্ব মুদ্রাই আজ বিশ্বের বিনিময় জগতে ৫৯ শতাংশ দখলে নিয়ে বসে আছে। পৃথিবীর পরবর্তী দাপটশালী রিজার্ভ মুদ্রা হতে চলেছে ইউরো এবং চীনা রিনমিনবি (আরএনবি)। টানেলের শেষ প্রান্তে এটাই এখন আমাদের শেষ আশার আলোকরশ্মি।
২০০৭-০৮ সালের বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সঙ্কট তথা সিকিউরিটিজ ও মর্টগেজ মার্কেটে অকস্মাৎ ধস নামার পরও বিশ্ববাসীর চৈতন্যের উদয় হয়নি। ওই সঙ্কটের পর অন্তত স্বাধীন পৃথিবীর উচিত ছিল ডলারের একাধিপত্য ভেঙে বেরিয়ে আসার পদক্ষেপ নেয়া। ১৯৫৬ সালের স্যুয়েজ সঙ্কটের পর বিশ্ব মুদ্রাবাজারে ‘ব্রিটিশ পাউন্ড স্টার্লিং’-এর একাধিপত্যে ধস নামে। কিন্তু ২০০৭-০৮-এ নতুন মন্দা হানা দেয়ার পর মার্কিনিরা ডলারের তেজ কমার পরিণতি সামাল দিতে আগাম ব্যবস্থা নেয়। এবারের ইউক্রেন যুদ্ধের পরিস্থিতিতে সেই ডলার আবার চলে যেতে বসেছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। তা হলে সেই মুদ্রা যা তার দেশের নীতি মোতাবেক ওঠা-নামা করে, তাকে বিশ্বের নির্ভরযোগ্য বা স্থিতিশীল রিজার্ভ মুদ্রা বলে আমরা কেন গণ্য করব? ডলারের দেশ অমুক দেশের ওপর বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা দেবে, যার কারণে ওই মুদ্রা ধরার বাইরে চলে যাবে কিংবা তার বিপক্ষে দেশ থেকে পণ্য আনতে গেলে দ্বিপক্ষীয় মুদ্রায় লেনদেন না করে আবার সেই তৃতীয় মুদ্রা (অর্থাৎ ডলারেই) লেনদেন করতে গিয়ে দ্বিগুণ বিনিময় হারগত লোকসান ও ডলার সঙ্কটে পড়ব, তাহলে কী প্রয়োজন সেই ডলারের প্রতি এত আনুগত্যের? এত প্রেমপ্রীতির? আমরা তো রুবলেই রাশিয়ার গম, তেল, গ্যাস কিনতে পারি। আরএনবিতে ঋণপত্র খুলে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের চীনা আমদানির বিল দিতে পারি।
তাহলে আমাদের কেন্দ্রীয় ব্যাংক নগদ রুবল, আরএনবি, ইয়েন, রুপি, ফ্রাংক, লিরা, স্টার্লিং পাউন্ড, কানাডীয় বা অস্ট্রেলীয় ডলার, সুইস ফ্রাংক, সিঙ্গাপুরের ডলার, দিনার বা রিয়েলের মজুদ কেন রাখব না? নতুন আন্তর্জাতিক রিজার্ভ মুদ্রা ব্যবস্থার কথাই সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব আকারে গত জুনের ১৪তম ‘বিআরআইসি’ শীর্ষ সম্মেলনে তুলে ধরেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। আমরা (ইউক্রেন) যুদ্ধে পার্টি হওয়ার তাকত রাখি না, এটি সত্য। কিন্তু ডলার একাধিপত্য থেকে বের হওয়ার প্রয়াসে অংশ নিতে দোষ কী? আমাদের তো পিঠ ইতোমধেই দেয়ালে ঠেকে গেছে।
ডলারপ্রীতিতে আমরা ধ্বংস হতে বসেছি! পথে বসতে বসেছি!! যুক্তরাষ্ট্র অন্যায়ভাবে ইরান বা রাশিয়ার ওপর বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। শুধু বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞাই নয়, আমেরিকায় থাকা রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অর্থও বাজেয়াপ্ত করেছে, যা প্রায় ১২০ বিলিয়ন ডলারের অর্থসম্পদ। এই অর্থ আজ প্রায় ৩৭ বছর ধরে বাজেয়াপ্ত অবস্থায় পড়ে আছে। কেউ জানে না কবে বা আদৌ তারা এই অর্থ ছাড় করবে কি না? এমন ‘শাস্তি’ তো ফ্রাংকলিন ডি রুজভেল্টও দেননি জোসেফ স্ট্যালিনকে কিংবা চার্চিল মুসোলিনিকে কিংবা সম্রাট হিরোহিতো বা সেনানায়ক তোজেকে। রাশিয়ান রুবলকে আজ বৈশ্বিক পেমেন্ট সিস্টেম থেকে খারিজ করে দেয়া হয়েছে। ‘সুইফট’ কোড বাতিল করা হয়েছে তাদের। ইসরাইলকে কি গাজার নাগরিক গণহত্যার কারণে এসব থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে? খোদ যুক্তরাষ্ট্র কি লিবিয়া, ইরাক, সিরিয়া বা আফগানিস্তানে যুদ্ধ চাপানোর দায়ে কারো কোনো নিষেধাজ্ঞায় এসেছে? রুশ সরকারের যুদ্ধের জন্য রুশ জনগণ, বহুজাতিক করপোরেশন বা উদীয়মান রাশিয়ান বেসরকারি খাতকে দুর্ভোগ সইতে হবে কেন?
আমেরিকা স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে রাশিয়ার যে সম্পদ জব্দ করেছে এবং নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে, তার পেছনে যুক্তরাষ্ট্র-ইউরোপীয় ইউনিয়নের যৌথ সম্মতিও নেই। ইউরোপ রাশিয়ান গ্যাস, গম, তেল ও গোশত এখনো কিনতে চায়। তারা ইউরো দিয়ে এলসি খুলতে চায়। ক্যাশ রুবল ছাড়াও তাদের আছে রাশিয়ান বন্ড। বন্ড তো সার্বভৌম, যেমন- ইউএস ট্রেজারি বন্ড। এখানে কী যুক্তি দেয়া হবে? ইউরোপ ঠিকই রাশিয়ার গ্যাস নিচ্ছে বা আরো নিতে থাকবে। তারা তাদের মুদ্রায় কিনবে আর রাশিয়া সাথে সাথে তা রুবলে কনভার্ট কবে নেবে। তাহলে ডলারের এত ‘হ্যাডম’ থাকল কোথায়?
বাংলাদেশ, ভারত, রাশিয়া এমনকি মালয়েশিয়া পণ্য বিনিময় বা ‘বার্টারের’ মাধ্যমে ব্যবসা চালিয়ে যেতে পারে। বার্টার ব্যবস্থায় রিজার্ভ মুদ্রার দরকার হয় না, মুদ্রা বিনিময়ের লোকসান ও বিড়ম্বনা থেকেও বাঁচা যায়। ২০০৮ সালের মন্দার পর খোদ যুক্তরাষ্ট্রই বহু অনলাইন সওদাগর এজেন্সি ভোক্তা পর্যায়ে এই বার্টার ব্যবস্থা চালু করে অনেক লাভ করছে এবং সরাসরি ভোক্তারাও এর ফায়দা পেয়েছেন।
ইউরোপে বহু আগে থেকেই বিটুবি বার্টার পণ্য বিনিময় ব্যবস্থা চলে আসছে। বার্টারে ন্যায্য বাজারমূল্য ঘোষিত হয় বিধায় কর ভার থেকেও বহুলাংশে নাজাত পান ভোক্তারা। রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে এর বৃহত্তর প্রতিফলন ঘটলে অসুবিধা কোথায়? পণ্য সরবরাহ শৃঙ্খলে রাজনৈতিক স্ক্রু-ড্রাইভার না ঢুকালে ক্যাশ, কাগুজে নোট, ভার্চুয়াল ক্যাশ, বিট কয়েন কোনোটিরই কোনো প্রয়োজন হবে না! ২০০৯ সালে চীনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক গভর্ণর যথার্থই বলেছিলেন, ‘ধাতু মানভিত্তিক মুদ্রার পরিবর্তে আমরা যদি পণ্যভিত্তিক মুদ্রা চালু করতে পারি তাহলে বিনিময় হারের চঞ্চলতাজনিত বৈদেশিক মুদ্রার ওপর ক্ষতিকর নির্ভরতা থেকে আমরা বাঁচতে পারি।’ কথাটা অবশ্য নতুন পেক্ষাপটে বলা। কিন্তু বক্তব্যটি নতুন নয়। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধ পরবর্তী ব্রিটেনের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার প্রয়াসে এই বিকল্পটির কথা প্রথম ব্যক্ত করেন মেইনার্ড কিনস। ‘বিআরআইসি’ রাষ্ট্রপুঞ্জের সম্প্রতি সম্মেলনও এটি সুপারিশ করেছে। যেমন আমরা যদি পাটের সুতা বা পাটজাত সামগ্রীর বিনিময়ে মালয়েশিয়া থেকে অপরিশোধিত পাম তেল আনি তাহলে ভোজ্যতেলের দাম অটোমেটিক্যালি অর্ধেকে নেমে আসবে।
ইউরোর পর তৃতীয় একটি জোরালো আন্তর্জাতিক মজুদ মুদ্রাব্যবস্থা গড়ে তুলতে হলে প্রয়োজন স্বাধীনচেতা রাষ্ট্রগুলোর আঞ্চলিক ঐক্য এবং হয় মুদ্রার ঐক্য গড়ে অর্থনৈতিক ঐক্যের পথ রচনা করা কিংবা আগে অথনৈতিক ঐক্য গড়ে ঐক্যবদ্ধ মুদ্রা প্রবর্তন করা, যা ইউরোপ করেছে। পুরোটাই নির্ভর করছে ডলার আধিপত্য থেকে মুক্ত থাকতে চাওয়া দেশগুলোর রাজনৈতিক ঐকমত্য ও সদিচ্ছার ওপর।