কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আমদানি রোধের পদক্ষেপ ও বৈদেশিক বাণিজ্যে মুদ্রা বৈচিত্র্যকরণ সত্ত্বেও দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এখন ৩৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের নিচে নেমে গেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, বুধবার বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৩৬ দশমিক ৯০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। যা গত সোমবার ছিল ৩৭ দশমিক শূন্য আট বিলিয়ন ডলার।
এই মাসের প্রথম সপ্তাহে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (এসিইউ) জুলাই-আগস্টের বকেয়া এক দশমিক ৭৪ বিলিয়ন ডলার বিল পরিশোধ করায় রিজার্ভ কমে ৩৭ দশমিক শুন্য ছয় বিলিয়ন হয়ে গিয়েছিল। গত বছরের ২৫ আগস্ট পর্যন্ত রিজার্ভ ছিল ৪৮ দশমিক ৬০ বিলিয়ন ডলার। সে অনুযায়ী এক বছরে রিজার্ভ কমেছে ১১ দশকিম পাঁচ বিলিয়ন ডলার ।
এলসি কেনার জন্য মার্কিন ডলার বিক্রির চাপ, ভ্রমণ, চিকিৎসার খরচ ও বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি মেটাতে ব্যক্তিগত চাহিদা বৃদ্ধির কারণে এটি হচ্ছে।
১ সেপ্টেম্বর ২০২২ এ বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ৩৯ দশমিক শুন্য পাঁচ বিলিয়ন ডলার।
বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে ‘স্থিতিশীলতা’ আনতে গত অর্থবছরের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক দু’মাসে (জুলাই-আগস্ট) এবং চলতি অর্থবছর ২০২২-২৩-এ রিজার্ভ থেকে দুই দশমিক ৫৭ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আতিউর রহমান বলেন, রেমিটেন্স বাড়লেও ডলার বিক্রি অব্যাহত থাকায় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমেছে।
তিনি বলেন, ‘বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে রিজার্ভ ৩৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে নেমে গেলেও কোনো সমস্যা নেই। কারণ, এই রিজার্ভ দিয়ে ছয় মাসের বেশি আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব।
সূত্র : ইউএনবি