মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:৪৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
সিন্ডিকেট করে দাম বাড়ানোদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে চুরি করা ভারতীয় চিনি ছিনতাই করতে গিয়ে বিএনপির ২ নেতা আটক শহিদ আবু সাঈদকে ‘সন্ত্রাসী’ বলা ঊর্মির এবার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন, চেয়ারম্যান বিচারপতি গোলাম মর্তুজা সাবেক কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক গ্রেপ্তার পাকিস্তানে শিয়া-সুন্নি সংঘাত, নারী-শিশুসহ নিহত ১৬ থানায় ধর্ষণের অভিযোগ করা নারী খুন, গ্রেপ্তার পুলিশ চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা নিয়ে সুপারিশের ব্যাখ্যা দিলেন আবদুল মুয়ীদ তারেক রহমানের সব মামলা প্রত্যাহার না হলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি পিরিয়ডের সময় যেসব খাবার খাবেন

ধর্ষকদের দ্রুত বিচার নিশ্চিত করুন : কিশোরীকে গণধর্ষণ

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ২৭ জানুয়ারী, ২০২০
  • ৩৫৬ বার

গত ১৫ জানুয়ারি এক কিশোরীকে গণধর্ষণের পর ৪ ধর্ষক উল্লাস করে তা ভিডিও করে ফেসবুকে আপলোড করেছিল। শুক্রবার রাতে ওই ৪ ধর্ষককে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। আমরা মনে করি এদের শুধু যথাযথ শাস্তি নিশ্চিত করাই যথেষ্ট হবে না, অপরাধ সংঘটনের প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে তাদের যে বিকৃত মানসিকতা ও অপরিণামদর্শিতার প্রকাশ ঘটেছে, তা নিয়েও গভীরভাবে চিন্তা করতে হবে।

বুধবার বিকালে এক বান্ধবীর সহায়তায় ওই চার বন্ধু জন্মদিনের কথা বলে কৌশলে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার নয়নপুর এলাকার একটি বাসায় ওই কিশোরীকে ডেকে নিয়ে যায় ও জন্মদিনের কেক কেটে সবাই মিলে আনন্দ উল্লাস করে। একপর্যায়ে আসামিরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে ওই কিশোরীকে এনার্জি ড্রিংসের সঙ্গে নেশাজাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে পান করিয়ে অজ্ঞান করে। পরে পাশের একটি ঝোপের ভেতর নিয়ে কিশোরীর হাত, পা ও মুখ বেঁধে পালাক্রমে গণধর্ষণ করে।

বলার অপেক্ষা রাখে না বিকৃত মানসিকতার ধর্ষকের সংখ্যা এই সমাজে নেহাত কম নয়। ধর্ষণকা- এখন প্রতিদিনের সংবাদ। সরকারকে এখন এদিকে নজর দিতে হবে। ধর্ষণের বিচার প্রক্রিয়ার দুর্বলতা ও বাধাগুলো দূর করার উদ্যোগ নিতে হবে। দ্রুত ধর্ষণ মামলা নিষ্পত্তি করতে বেশি বেশি ট্রাইব্যুনাল ও বিচারক নিয়োগ দিতে হবে।

নারী ও শিশুদের অধিকার নিয়ে কাজ করা সংস্থাগুলো বলছে, পুলিশ থেকে শুরু করে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো ঠিকমতো কাজ করছে না বলে ধর্ষণের মামলার বিচার প্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত হয় এবং অপরাধীদের শাস্তি হয় না। ধর্ষণের আলামত সংগ্রহ থেকে শুরু করে মামলার তদন্ত প্রক্রিয়ায় পুলিশের অদক্ষতা, আন্তরিকহীনতা, দুর্নীতি প্রবণতা, ধর্ষকের রাজনৈতিক পরিচয়, প্রভাবশালীদের হস্তক্ষেপ, নারীর প্রতি নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি ইত্যাদি কারণে অধিকাংশ ধর্ষণ মামলায় আদালতে অপরাধ প্রমাণিত হয় না বলে ধর্ষক ছাড়া পেয়ে যায়। ধর্ষণের ঘটনার দ্রুত বিচার ও ধর্ষকের শাস্তি নিশ্চিত করা গেলে এত বেশিসংখ্যক ধর্ষণের ঘটনা ঘটতে পারত না। আমরা বারবার বলছি, বিলম্বিত বিচার ও বিচারহীনতার পরিবেশ ধর্ষণ প্রবণতা বৃদ্ধির অন্যতম প্রধান কারণ। অপরাধীরা ধরা পড়েছে, তাদের দ্রুত বিচার ও শাস্তি নিশ্চিত করা হোক। প্রতিটি ধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষকরা সাজা পাচ্ছেÑ এটা আমরা দেখতে চাই।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019 bangladeshdailyonline.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com