সময় বদলের সঙ্গে সঙ্গে বদলে যায় অনেক কিছুই। শুভ্রর বয়স প্রায় ৩০ ছুঁই ছুঁই। প্রথমে পড়াশোনার চাপ আর পরে চাকরির চেষ্টা, ইচ্ছা থাকলেও প্রেমের জন্য আলাদা করে সময় বার করতে পারেননা তিনি। ইদানীং ডেটিং অ্যাপে অ্যাকাউন্ট খুলেছেন শুভ্র। অনেকের সঙ্গেই বেশ কথাবার্তা হচ্ছে, কিন্তু দিন দিন তাদের তার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন। কোথাও কোন কমতি থেকে যাচ্ছে, বুঝে উঠতে পারছেন না তিনি।
এই সমস্যা একা শুভ্রর নয়। অনেকেই বুঝতে পারেন না ভুলটা কোথায় হচ্ছে! সব নারীদের নির্দিষ্ট কিছু পছন্দ-অপন্দ থাকে। তবে পুরুষের এমন নির্দিষ্ট কিছু স্বভাব থাকে, যা একেবারেই পছন্দ করেন না বেশির ভাগ নারীরা। যাকে বলা যায় একেবারে চক্ষুশূল। কিন্তু এই তারতম্যের কারণ কি?
চরিত্রহীন পুরুষদেরকে নারীরা একেবারেই সহ্য করতে পারেন না। যেসব পুরুষ একাধিক নারীর পেছনে পেছনে ঘোরে কিংবা অতিরিক্ত নারী ঘেঁষা হয়, সেই ধরনের পুরুষদেরকে নারীরা পারতপক্ষে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করেন। কারণ এ ধরনের পুরুষদের সঙ্গ নারীরা নিরাপদ মনে করেন না।
ব্যক্তিত্বহীন
ব্যক্তিত্বহীন পুরুষদেরকে নারীরা একেবারেই সহ্য করতে পারে না। যেসব পুরুষরা ব্যক্তিত্বহীন আচরণ করে তাদেরকে নারীরা এড়িয়ে চলার চেষ্টা করে সবসময়। ব্যক্তিত্বহীন পুরুষদের আচরণ, মেলামেশা ও সকল কাজকর্মই বেশ বিরক্তির দৃষ্টিতে দেখেন নারীরা।
দায়িত্বহীন
যেসব পুরুষরা একটি বড় দায়িত্ব নিয়ে সেটি রক্ষা করতে পারে না অথবা অবহেলা করে সেসব পুরুষদেরকে নারীরা একেবারেই পছন্দ করে না। নারীরা পুরুষের কাছে চায় নির্ভরতা ও আশ্রয়। যেসব পুরুষ একেবারেই নির্ভর করার মতো না কিংবা দায়িত্বগ্রহণ করার যোগ্য না তাদেরকে নারীরা সাধারণত সহ্য করতে পারে না।
অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসী
আত্মবিশ্বাসী পুরুষদেরকে নারীরা খুবই পছন্দ করে। পুরুষের আত্মবিশ্বাস পুরুষত্বকে যেন আরও বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু তাই বলে অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস নারীরা একেবারেই পছন্দ করে না। যেসব পুরুষদের অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস তারা সাধারণত নিজের মতামতের বাইরে আর কারও কোনও কথা কিংবা পরামর্শ শুনতে চায় না। তাই এ ধরনের পুরুষদেরকে নারীরা সহ্য করতে পারে না।
অসামাজিক পুরুষ
এরা নিজেও আত্মীয়-স্বজন, পরিবার-প্রতিবেশী থেকে দূরে থাকে। এবং তারা চায় তার জীবনসঙ্গীও যেন সবার কাছ থেকে দূরে থাকুক। এমন অসামাজিক পুরুষদেরকে কোনও নারী পছন্দ করেন না।
বেখেয়ালি পুরুষ
কিছু পুরুষ আছেন যারা খুবই বেখেয়ালি স্বভাবের। কোনও কিছু বললে কখনই খেয়াল থাকে না তাদের। বেশিরভাগ সময়েই অন্যমনস্ক স্বভাবের কারণে যত গুরুত্বপূর্ণ কথাই বলা হল ভুলে যায় তারা। এ ধরনের পুরুষদেরকে নারীরা একেবারেই পছন্দ করেন না।
অতিরিক্ত অহংকারী পুরুষ
নিজের অর্থ, চেহারা, গায়ের রঙ, বংশ কিংবা চাকরি নিয়ে অতিরিক্ত অহংকার করা পুরুষদেরকে নারীরা সহ্য করতে পারে না। নারী কিংবা পুরুষ কাউকেই অহংকার করা মানায় না একেবারেই। বিশেষ করে পুরুষরা যদি চেহারা কিংবা অর্থ নিয়ে অহংকারী আচরণ করে তাহলে তা খুবই দৃষ্টিকটু দেখায়।
নারী বিদ্বেষী
নারী বিদ্বেষী পুরুষদেরকে মহিলারা পছন্দ করেন না। যে পুরুষ সারাক্ষণ মহিলা সহকর্মী, বান্ধবী, কিংবা নিকট নারী আত্মীয় সম্পর্কে খারাপ মন্তব্য করেন, মহিলাদের পোশাক এমনকী চরিত্র নিয়ে নেতিবাচক কথা বলেন সেসব পুরুষ থেকে মেয়েরা দূরে থাকতে পছন্দ করেন।
হাড় কিপ্টে
হাড় কিপ্টে পুরুষদের কোটি টাকা থাকলেও তারা বন্ধু-বান্ধবীর সঙ্গে রেস্টরেন্টে খেতে গিয়ে এক কাপ চায়ের বিল দিতে চায় না। হাড় কিপ্টে পুরুষদের পকেট থেকে টাকা বের করে আনা কষ্টকর ব্যপার। এসব পুরুষদের কাছ থেকে মেয়েরা দশ হাত দূরে থাকতে চায়।
অতিরিক্ত মা ঘেষা
নিজের মাকে যে পুরুষ শ্রদ্ধা করেন, সে অন্য নারীকেও শ্রদ্ধা করেন। মাকে ভালোবাসেন এমন পুরুষ নারীর পছন্দের শীর্ষে। কিন্তু কিছু কিছু পুরুষ আছেন যারা মাকে অতিরিক্ত শ্রদ্ধা-ভক্তি করেন, মায়ের কথা ছাড়া এক ইঞ্চি জায়গা নড়াচড়া পর্যন্ত করেন না, সেসব পুরুষদেরকে নারীরা একেবারে অপছন্দ করেন।